নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮
তারেক জিয়াকে নিয়ে নেতাদের কথাবার্তা কম বলার পরামর্শ দিলেন বেগম জিয়া। গতকাল শনিবার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে বিএনপির তিন নেতা দেখা করতে গেলে, তিনি তাদের এই পরামর্শ দেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলাম খান গতকাল বিকেলে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনার মধ্যে তারেক প্রসঙ্গ আসে। বেগম জিয়া বলেন, ‘রিজভীকে বকবক কমাতে বলেন। তারেক নিয়ে এত কথা বলার দরকার কি? ওকে নিয়ে বেশি কথা বললেই সরকার ওর ব্যাপারে আরও বেশি তৎপর হয়।’ কথায় কথায় তারেক প্রসঙ্গ না আনার জন্য বেগম জিয়া তিন নেতাকে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে তারেক জিয়াকে নিয়ে রাজনীতিতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তারেক জিয়ার পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব নিয়ে তর্কে মেতেছে। বেগম জিয়া মনে করেন, এর ফলে তারেক জিয়ার সমস্যা বাড়ছে। যুক্তরাজ্যে তাঁর থাকা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়াকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারেক নিয়ে তারা যথাসম্ভব কম কথা বলবেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।