নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০১৮
আওয়ামী লীগকে এখন অনেকেই তুলনা করেন ‘ব্রাজিল ফুটবল’ দলের সঙ্গে। ফুটবল বিশ্বে যেমন ব্রাজিল সবচেয়ে জনপ্রিয় দল তেমনি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসেও আওয়ামী লীগ সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি দল। ফুটবলের এত জনপ্রিয়তার জন্য যেমন ব্রাজিলের অবদান অস্বীকার করতে পারে না, তেমনি বাংলাদেশে রাজনীতি যে এখনো মানুষের প্রিয় বিষয় সেজন্য আওয়ামী লীগের ভূমিকাকে কেউ খাটো করতে পারে না। ব্রাজিলের কারণেই যে ফুটবল তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র, নিপীড়িত মানুষের কাছে পৌঁছেছে, তা অস্বীকার করবে না কেউই। তেমনি আওয়ামী লীগও এদেশের গণমানুষের কাছে রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ফুটবলের এমন একচ্ছত্র সাম্রাজ্যের পরও ব্রাজিল যেমন মাত্র ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে (অনেক ফুটবল বোদ্ধারা মনে করে ব্রাজিল যদি ১০ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতো তাহলে তার নামের প্রতি সুবিচার করা হতো) তেমনি আওয়ামী লীগ দলটি জাতির পিতার নেতৃত্বে এই দেশকে স্বাধীন করল, সেই দেশে ক্ষমতায় ছিল মাত্র সাড়ে তিন বছর। ৭০ দশকে ব্রাজিল ছিল বিশ্ব ফুটবলে নান্দনিকতার প্রতীক। কিন্তু ৭০ এর পর তাদের ছিল বিশ্বকাপের জয় খরা। তেমনি আওয়ামী লীগ, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগ বিপুল জনপ্রিয়তার পরও ক্ষমতায় ছিল মাত্র সাড়ে তিন বছর (৫৪’র যুক্তফ্রন্টের সরকার গঠন বাদ দিয়ে)। নব্বই এর দশকে এসে ব্রাজিল তার বিশ্ব জয়ের খরা কাটাতে নান্দনিকতার কৌশল ত্যাগ করে। গ্রহণ করে রক্ষণাত্মক, একঘেয়ে ফুটবল। জয়ের জন্য ফুটবল। তেমনি আওয়ামী লীগ যেন, ক্ষমতায় যেতে তার গণমানুষের চরিত্র পাল্টে কৌশলী হয়েছে। ক্ষমতায় যেতে যা যা করা প্রয়োজন সেটাই করেছে। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগ টানা দু মেয়াদে ক্ষমতায় থেকেছে। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাবার ক্ষেত্রে তারাই ফেভারিট। এনিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই অনেক সমালোচনা। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবীরা অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ তার আদর্শ থেকে দূরে। আওয়ামী লীগ আর গণমানুষের দল নেই বরং ব্যবসায়ী আর বিত্তবানদের দল। কিন্তু শেষ কথা হলো, জাতির পিতার হাতে গড়া দলটি ক্ষমতায় থেকে একে একে জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশের তালিকা থেকে বের করে এনেছে। একটা আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে দলটি শুধু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে। নির্যাতিত হয়েছে, নিপীড়িত হয়েছে। যে দলের নেতা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পিতা দীর্ঘ সংগ্রামের পর মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থাকতে পেরেছে,সেই দলটি আজ টানা ১০বছর ক্ষমতায়।
আওয়ামী লীগ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়তো ৬৯,৭০ এর মতো মানুষকে মাতাল করতে পারে না। জাতির পিতার আওয়ামী লীগের মতো শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ জনতার উত্তাল ঢেউ জাগাতে পারে না। কিন্তু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ জানে ক্ষমতায় থাকার কৌশল। আর ক্ষমতায় না থাকলে সব স্বপ্নই যে অধরা তা বাংলাদেশের মানুষের চেয়ে কে বেশি জানে। জাতির পিতা বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে তার স্বপ্নগুলোকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন নি। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্নই পূরণের দ্বারপ্রান্তে। জাতির পিতার মতো তিনি মহামানব নন, জাতির পিতার মতো তাঁর উদাত্ত কণ্ঠ নেই, নেই সম্মোহনী শক্তি। কিন্তু তিনি কৌশলী। ১৯৮১’র ১৭ মে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে তিনি এসেছিলেন পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণের এক আবছা স্বপ্ন নিয়ে। আজ সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবতার রূপ দিয়েছেন। ব্রাজিলের ফুটবল চিন্তা যেমন এখন পাল্টে গেছে, শেষ পর্যন্ত জয়ই হলো আসল। তেমনি আওয়ামী লীগকে তিনি গণমানুষের নিপীড়িতের দল থেকে টেনে তুলে ক্ষমতার অবয়বে সাজিয়েছেন। তিনিই এখন আওয়ামী লীগের প্রাণ ভোমরা। ১৭ মে তে তিনি না এলে আওয়ামী লীগ কি পেত কখনো এই সুখের সময়?
Read in English- https://bit.ly/2IGWRUl
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের
সুযোগ দিতে চাচ্ছে বিএনপি। সেক্ষেত্রে ভোট থেকে সরে এসে ক্ষমা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
বরাবর আবেদন করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে তার
সরে আসার খবর জানাতে হবে।
গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর শান্তিনগরে বিএনপির উদ্যোগে
পথচারীদের মধ্যে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতারা নির্বাচন থেকে
সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনো সুযোগ আছে যারা নির্বাচন
থেকে সরে দাঁড়াবেন, দল তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল
শনিবার আরো তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষৃ্কতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর
জেলার হালুয়াঘাট বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নম্বর
পৌর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির
উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।
একই কারণে এর আগের দিন শুক্রবার ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় পৌরসভায় একজন এবং ইউনিয়ন পরিষদে আটজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২১ এপ্রিল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৮৫ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন রুহুল কবীর রিজভী
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা
পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।
রোববার (২৮ এপ্রিল) শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার মনে হয় এরা (বিএনপি) পড়াশোনা করে না।
কথাটা বলেছেন (বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরীফ। পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের
উন্নয়ন দেখতে পায়। পাকিস্তান একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত। এতে রিজভীদেরই লজ্জা
পাওয়া উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে। শেহবাজ শরীফ যা দেখে সেটাও দেখে
না। তারা (বিএনপি) কেন দেখে না সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন’।
জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা
গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে।
ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে,
কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫'এর ১৫ আগস্টের
হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদত দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও
ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ
করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে
দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে’।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি শেখ জামাল নানী কবরস্থান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। রোববার (২৮ এপ্রিল) শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।