নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ২২ মে, ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে গেছেন গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন। গতকাল তিনি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন। গত ২০ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নটরডেম তাঁকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে। ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা থেকে এই ডিগ্রি লাভের আগে তিনি নিউইয়র্কে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। এছাড়াও ড. কামাল হোসেন নিউইয়র্কে কয়েকজন সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যানকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্রিফ করেন। বিচারপতি সিনহার সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের কি বৈঠক হয়েছে সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলেননি। তবে ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ একজন আইনজীবী জানান, ড. কামালের সঙ্গে সিনহার বৈঠকটি পূর্ব নির্ধারিত। ঢাকা থেকেই এই বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছিল।
লন্ডনে ড. কামাল ব্যস্ত সময় কাটাবেন। লন্ডনে তাঁর তারেক জিয়ার সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবার কথা রয়েছে। এছাড়াও লন্ডনে বাঙালি সমাজ তাঁকে সংবর্ধনা দেবে। বাঙালি সমাজের আড়ালে আসলে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরাই এই সংবর্ধনার আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টি করাই ড. কামাল হোসেনের বর্তমান সফরের প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে। পাশাপাশি, তিনি বাংলাদেশে ঈদের পর কীভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করা যায়, সেব্যাপারেও পরামর্শ করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।