নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১২ জুন, ২০১৮
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন হলো জনগণের ইচ্ছার প্রকাশ। বলা হয়, একটা দিনই জনগণ রাষ্ট্রের মালিক হয়। সেই দিনটা হলো ভোটের দিন। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই আপ্ত বাক্যটি আর সর্বাংশে সত্যি নয়। নির্বাচনে এখন ‘জনগণের ভোট’ নিয়ন্ত্রিত হয় নানা এক্স ফ্যাক্টরে। এই এক্স ফ্যাক্টরে যাঁরা কর্তৃত্ব নিতে পারে, ভোটের বাক্স তাঁদের পক্ষের ভরে। যেমন: ধরা যাক ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের কথা। ঐ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, ১৩ জন গুরুত্বপূর্ণ সচিবকে বদলি করে দেওয়া হলো। সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের মধ্যে বার্তা গেল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগের পক্ষে নয়। ব্যস সব জেলা প্রশাসক, ইউএনওরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল। জনগণ মনে করল, আওয়ামী লীগের অবস্থা ভালো না। অনেকে ভয়ে ভোটই দিতে গেলো না। ২০০১ এর নির্বাচনের ফলাফল সবার জানা। আবার ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর ‘জনতার মঞ্চ’ নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনই কার্যত: দেশ চালিয়েছিল। ফলে, আওয়ামী লীগ আসছে এমন একটি বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।
৯১ সাল থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যালোচনা করে, আমরা মোটা দাগে চারটি এক্স ফ্যাক্টর পেয়েছি, যেগুলো নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রিত করেছে। এই এক্স ফ্যাক্টরগুলো হলো:
এক. সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় এক্স ফ্যাক্টর হলো সেনাবাহিনীর ভূমিকা। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন সেনাবাহিনীর জন্যই হতে পারেনি। আবার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির কলঙ্কিত নির্বাচন হয়েছিল সেনাবাহিনীর প্রচ্ছন্ন সমর্থনে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বিএনপি ২০০৭ এর আগে পর্যন্ত মনে করতো, সেনাবাহিনী তাদের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনে বেগম জিয়া তাঁর দুই পুত্রসহ গ্রেপ্তার হন সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতেই। এর পর বেগম জিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্যান্টনমেন্ট থেকে উৎখাত হন। এরপর বিএনপির প্রভাব এখন সেনাবাহিনীতে তেমন নেই। এখনকার সেনাবাহিনী অনেক বেশি পেশাদার। তাঁরা রাজনৈতিক বিতর্কের চেয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার এবং দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়েই বেশি উৎসাহী। তবে সেনাবাহিনীতে ৭৫ এর পর থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল, তা এখন আর নেই। নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে। নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে সংগঠিত এবং প্রশিক্ষিত এই শক্তির ভূমিকার উপর নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত হয় অনেকখানি।
দুই, সিভিল প্রশাসন। জাতীয় সংসদের নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা জন্য কমিশন অনেকটাই সিভিল প্রশাসন বা আমলাদের উপর নির্ভরশীল। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হন আমলারাই। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ মাঠ প্রশাসন নির্বাচনে একটি বড় ফ্যাক্টর। এই আসনে মাঠ প্রশাসন চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। দৃশ্যত: ১০ বছর ক্ষমতায় থাকায় সিভিল প্রশাসন এখন আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বিভক্ত এই দেশে এখন প্রচুর বিএনপি এবং জামাতপন্থী লোকজন সিভিল প্রশাসনে রয়েছে। এখন হয়তো তাদের চেনার উপায় নেই। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই সিভিল প্রশাসনের একটি অংশ হয়তো আওয়ামী লীগের পক্ষে নাও থাকতে পারে।
তিন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুলিশ ও র্যাব প্রতিটি নির্বাচনেই এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে স্বীকৃত। একটি আসনে পুলিশ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। এক দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করলেই অর্ধেক নির্বাচন শেষ হয়ে যায়।
চার, ভারত ও আন্তর্জাতিক মহল। নির্বাচনের চতুর্থ এক্স ফ্যাক্টর হলো ভারত এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের প্রভাব রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণমাধ্যম এবং সিভিল সোসাইটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। একটি নির্বাচনে এরা রাজনৈতিক দলের উপরও নানা চাপ সৃষ্টি করে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন