নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০২ পিএম, ২৭ জুন, ২০১৮
পাঁচ বছর আগের কথা। ২০১৩ সাল। এক এক করে কয়েকটি সিটি নির্বাচন হলো, যার সবগুলোতেই জিতল বিএনপি। ওই সময় ক্ষমতার ঘ্রাণ পেয়েছিল তারা। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করল বিএনপি। এর পর কেটে গেছে পাঁচটি বছর। সম্প্রতি দুই সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন দুটি নির্বাচনেই বিপুল ব্যবধানে ধরাশায়ী বিএনপি। নির্বাচন নিয়ে দলটি অনেক কথাই বলছে। কারচুপি, কেন্দ্র দখল সহ কত অভিযোগ। কিন্তু বাংলাদেশের গতানুগতিক যেমন নির্বাচন তেমন নির্বাচনই হলো। বরং মাগুরা, ঢাকা ১০ নির্বচনের মতো ব্যাপক কারচুপিতে অভিযুক্ত নির্বাচনের চেয়ে দুই সিটি নির্বাচন বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ভাবেই হয়েছে। আর দেশও এখন অনেক বদলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের মিডিয়া অনেক বেশি কাভারেজে। সবাই দেখছে কীভাবে নির্বাচন হচ্ছে। বিদেশি পর্যটকরাও দেখেছে নির্বাচন কেমন হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো বিএনপি কেন সিটি নির্বাচনগুলোতে হারছে। পাঁচ বছরে কী পরিবর্তন হলো যে জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। সাদা চোখে দেখলে, মনে হবে, বিএনপির তো আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি জনগণের সহানুভূতি পাওয়া উচিত। দলটির চেয়ারপারসন কারান্তরীণ হয়ে আছেন চার মাসের বেশি হলো। দলটি শক্তিশালী কোনো আন্দোলন গড়ে তাদের চেয়ারপারসনকে মুক্তি করতে পারেনি। কিন্তু জনগণের সহানুভূতির বদলে প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে কেন বিএনপি।
বিএনপির ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বিএনপির ভরাডুবির জন্য পাঁচটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন।
১. বিএনপিতে একটি নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার, লন্ডনে পলাতক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলেও যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি এখনো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব হিসেবেই আসলে এখন বিএনপি চালাচ্ছেন। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো মির্জা ফখরুল একদিনের জন্যও কিন্তু গাজীপুর যাননি। বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে গাজীপুর সর্বোচ্চ ঘণ্টা দেড়েকের দূরত্ব। অথচ দলের মহাসচিব হয়েও দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন নির্বচনে দলের পক্ষে প্রচারণায় যাননি দলের বর্তমান নিয়ন্ত্রক। একটি দলের একজন সর্বময় ক্ষমতার নেতা থাকবেন, যাঁর নির্দেশনা এবং প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভূমিকাতেই দলের কার্যক্রম চলবে। এমনটি বিএনপিতে এখন অনুপস্থিত।
২. ২০০৬ সাল থেকেই বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় না থাকার কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। দিন দিন বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা কমছে। মানসিক বিপর্যয়ও দেখা যাচ্ছে কারও কারও। দলের জন্য তাঁদের ‘ডেডিকেশনও’ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ২০১৩ তে বিএনপির কর্মীদের ধারণা ছিল এই নির্বাচনে জিতলে তারা জাতীয় নির্বচনেও জিতবে। স্বভাবতই সামনে আশা দেখলে চরম হতাশ মানুষও কিছুটা প্রাণশক্তি ফিরে পায়। মানসিক ভাবে শক্তি পায়। কিন্তু এখন এমন কোনো আশা এখন বিএনপির কর্মীদের সামনে নেই। যে কারণে প্রাণশক্তিও নেই কর্মীদের মধ্যে। দুই সিটিতেই দেখা গেছে মাত্র কয়েকশ কেন্দ্র সেখানেই বিএনপির এজেন্ট দেওয়ার মতো লোকও পাচ্ছে না। বিএনপি বারবার অভিযোগ করছে তাদের এজেন্ট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা গণমাধ্যমে প্রমাণিত হয়নি। বরং রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সূত্রই নিশ্চিত করেছে, নির্বাচনের আগে পরে বিএনপির পক্ষ থেকে এজেন্ট হওয়ার কোনো কথা জানানোই হয়নি।
৩. বিএনপির অন্ত:কলহগুলো এখন প্রবল হয়েই দেখা দিয়েছে। খুলনার সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে বাদ বিএনপি সেখানে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয় নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। একই ভাবে গাজীপুরে গতবারের বিএনপি নির্বাচিত মেয়র আব্দুল মান্নানের পরিবর্তে বিএনপি মনোনয়ন পেল হাসান উদ্দিন সরকার। খুলনায় মনিরুজ্জামান গোপনে দলের বিপক্ষে গিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলেও গাজীপুরে মান্নানের লোকজনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীরের পক্ষে কাজ করার বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট। দুই সিটিতে দলের মধ্যেকার অন্ত:কলহগুলো বিএনপির ভরাডুবির অন্যতম কারণ। ২০১৩’র নির্বাচনে বিএনপি ছিল অনেক সংঘবদ্ধ। খুলনা ও গাজীপুরে তৎকালীন বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থেকেই নির্বাচন করেছিল। ঐক্যবদ্ধে সেই সাফল্য এখন অনৈক্যে হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি।
৪. মানুষ এখন উন্নয়নমুখী। এখন মানুষ চায় তার এলাকার উন্নতি হবে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে। তাঁর এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন জনপ্রতিনিধিরা। খুলনা-গাজীপুর দুই সিটি নির্বচনেই মানুষ তুলনা করেছে- আওয়ামী লীগ আমলে কী কাজ হয়েছে, আর বিএনপি আমলে কী কাজ হয়েছে। তুলনার কারণেই আওয়ামী লীগের ভোটের বাক্সই ভরেছে।
৫. লক্ষ্যহীনতাই বিএনপির বর্তমান সময়ের সব ব্যর্থতার কারণ। বিএনপির রাজনৈতিক লক্ষ্য কি? তারা আসলে কী করতে চায়? একজন কোনো দায়িত্ব নিতে চাইলেই হয় না-তাঁকে বোঝাতে হয় সে ওই দায়িত্ব নিয়ে কী করতে চায়। বিএনপি এখন একটি লক্ষ্যহীন রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। দুই সিটি নির্বাচনেই তাদের প্রার্থীরা নগরবাসীর জন্য কী করবেন-তার কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেননি। খুলনা, গাজীপুর দুই সিটির বিএনপি প্রার্থীরাই শুধু অভিযোগের কথা বলে বেরিয়েছেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে নগর নিয়ে পরিকল্পনার কথা তারা কয়বার বলেছেন। নগরবাসীর মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, বিএনপি প্রার্থী নগর পিতা হয়ে কী শুধু সরকারকে গালাগালিই করবে? নগরের কোনো উন্নয়ন না করে শুধু সরকারকে গালাগালির জন্য কোনো দলকে মানুষ ভোট দেবে কেন? বর্তমান সময়ে সব মানুষই নিজের, নিজের চারপাশের উন্নতি চায়। কারও সমালোচনার জন্য নিজের মহামূল্যবান ভোটাধিকার কয়জন দেবে বিএনপিকে।
এ তো গেল বিএনপির ব্যর্থতার পেছনের কারণ। আওয়ামী লীগ কীভাবে দুই সিটির নির্বাচনে এতটা সাফল্য পেল। এর পেছনে আছে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। আওয়ামী লীগ এবার দলীয় ঐক্যের ব্যাপারে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে। খুলনা-গাজীপুর দুই সিটিতেই গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার প্রধান কারণ ছিল দলীয় কোন্দল। এবার আওয়ামী লীগ সেই কোন্দলের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে। দুই সিটিতেই নেতাকর্মীদের ঐক্যের বিষয়টি নিরীক্ষণ করা হয় দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। এতেই সফলতা এসেছে খুলনা-গাজীপুর দুই সিটিতে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।