নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০১৮
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি সত্যি অসুস্থ? নাকি রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে আড়াল হবার জন্যই তিনি অসুস্থ হয়েছেন? তাঁর অসুস্থতা নিয়ে বিএনপিতে দিনভর নানা আলোচনার জন্ম হয়েছে। মাত্র একমাস আগে, বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। এরও দেড় মাস আগে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এনজিওগ্রাম করিয়েছিলেন। এখন আবার নতুন করে তিনি ড. মোমিনুজ্জামানের অধীনে একই হাসপাতালে ভর্তি হলেন।ডা. মোমিনুজ্জামান একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। একটি এনজিওগ্রামের পরপরই নতুন করে তাঁর অসুখের খবরে অনেকেই বিস্মিত। কারণ, তিনমাস আগে এনজিও গ্রামেই জানা গেছে তাঁর হার্টে কোন সমস্যা নেই। তাহলে কি তিনি রাজনৈতিক কারণে অসুস্থ?
জামাতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। নানা ইস্যুতে বিভক্ত বিএনপির অবস্থাও টালমাটাল। এর মধ্যে তিন সিটি নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচন নিয়েও বিএনপির মধ্যে নানা রকম মেরুকরণ চলছে। আর এই সব সমস্যার চাপ এসে পরছে বিএনপি মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপর। জামাত প্রকাশ্যেই বলছে, তারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিব হিসেবে দেখতে চায় না। জামাত বলছে, মির্জা ফখরুল বিএনপির দায়িত্ব নেওয়ার পরই জামাতকে এড়িয়ে চলছেন। কিছুদিন আগে জামাতের চাপেই ২০ দলের সমন্বয়ক থেকে সরে যেতে হয়েছে বিএনপি মহাসচিবকে। সমন্বয়কের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় নজরুল ইসলাম খানকে। একটি সূত্র বলছে, জামাত বলেছে, মির্জা ফখরুলকে সরিয়ে দিলেই তারা সিলেটে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করবে। জামাত মনে করে, মির্জা ফখরুল ভারত ঘেঁষা। দলের মধ্যেও ফখরুল বিরোধীদের চাপ বাড়ছে। বিএনপি মহাসচিব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান তিনি। কিন্তু বিএনপির তৃণমূলের সিংহভাগই বেগম জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছাড়া নির্বাচনে যেতে রাজি নয়। এনিয়ে বিএনপিতে মতবিরোধ ক্রমশ প্রকাশ্য হচ্ছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতাই মনে করেন, বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি যে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, তা মির্জা ফখরুলের ব্যর্থতা। এজন্য নানা অঙ্গসংগঠন তাঁর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আসছে। ঈদের আগে বিএনপি মহাসচিব গোপনে লন্ডন গিয়েছিলেন। সেখানে তারেক জিয়া তাকে তাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। সংগঠন গোছানোর জন্য তাঁকে এক মাস সময় দিয়েছিলেন। একমাস সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। বিএনপিতে দ্বন্দ্ব আরও বেড়েছে। এইসব নানামুখী চাপের কারণেই কি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মির্জা ফখরুল? এসব চাপ সইতে না পেরেই কি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন?
নাকি তাঁকে অসুস্থ সাজিয়ে অকার্যকর করা হলো। তাঁর অনুপস্থিতিতে বিএনপি-জামাতের সঙ্গে ফাটল ধরা সম্পর্কটা জোড়া লাগাবে? এইসব প্রশ্ন আর সন্দেহের উত্তর পাওয়া যাবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই।
Read in English- https://bit.ly/2MLqRwo
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ
থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে)
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও
প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে
একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে,
বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং
আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু
মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে
অনুরোধ করেছে।
এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে
মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১
মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের
বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।
ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে।
৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ভারত নির্বাচন বিজেপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন