ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাকার অর্ধেকের বেশি আসনে আ. লীগের নতুন মুখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

ঢাকার ২০ টি আসনের মধ্যে ১৩ টিতেই নতুন মুখ আনতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। একাধিক জরিপ, বিগত সময়ে বিভিন্ন এমপির কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে এবং বার্ধক্য জনিত কারণে বর্তমানে এমপি অথবা গতবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন এমন অনেককে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার আসনগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকার আসনগুলোর মধ্যে ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই নতুন মুখ আসছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় নতুন মুখ নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিচিত মুখ ও ব্যবসায়ীরা প্রাধান্য পাবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার ঢাকার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) কোনো আসন দেওয়া হবে না। শুধু একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে সেটি হলো ঢাকা-৬। সেখানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে হয়তো ছাড় দেওয়া হতে পারে। এর বাইরে সব আসনই আওয়ামী লীগ রাখতে চায়।

ঢাকার আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের আসন বিন্যাস হতে পারে এমন:

ঢাকা (১৭৪ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: সালমা ইসলাম (জাতীয় পার্টি)

এলাকা: ঢাকা-১ আসনটি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: গতবার এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন আবদুল মান্নান খান। এবার তিনি আর মনোনয়ন পাচ্ছেন না। তাঁর স্থলে মনোনয়ন পেতে পারেন বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান।

ঢাকা (১৭৫ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: মো. কামরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-২ আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়ন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন, কেরানিগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার সুন্দরগঞ্জ ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: এই আসনে বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামই আবার মনোনয়ন পেতে পারেন।

ঢাকা (১৭৬ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: নসরুল হামিদ (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-৩ আসনটি ঢাকা জেলার কেরানিগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, আগানগর, তেঘরিয়া কোন্ডা ও শুভাঢ্যা এই ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: ঢাকা-২ এর মতো এই আসনেও বর্তমান এমপি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকেই মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা (১৭৭ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: সৈয়দ আবু হোসেন (জাতীয় পার্টি)

ঢাকা-৪ আসনটি ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন শ্যামপুর থানার শ্যামপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: ২০০৮ সালে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসন-২৪ এর এমপি সানজিদা খানম। এবার এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতির সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ড. আওলাদ হোসেন এগিয়ে আছেন। তবে আওলাদ হোসেনও শেষ পর্যন্ত পাবেন কিনা নিশ্চিত নয়। তিনি না হলে এই আসনেও আসছে অন্য নতুন মুখ।

ঢাকা (১৭৮ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি:  হাবিবুর রহমান মোল্লা (আওয়ামী লীগ)

এটি ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৮, ৪৯,ও ৫০ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডেমরা ইউনিয়ন, দনিয়া ইউনিয়ন, মাতুয়াইল ইউনিয়ন ও সারুলিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: এই আসনে বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা মনোনয়ন পাচ্ছেন না। পরিবর্তন করে এই আসনেও নতুন মুখ আনছে আওয়ামী লীগ। আর এই নতুন মুখ ব্যবসায়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ঢাকা (১৭৯ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: কাজী ফিরোজ রশীদ (জাতীয় পার্টি)

ঢাকা-৬ আসন ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: এটি ছিল বর্তমান ঢাকা দক্ষিণ মেয়র সাঈদ খোকনের সিট। গতবার এই আসন দেওয়া হয়েছিল জাতীয় পার্টিকে। এবার এখানে নতুন মুখ আনতে পারে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা (১৮০ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: হাজী মোঃ সেলিম (স্বতন্ত্র)

ঢাকা-৭ আসনটি ঢাকা জেলার লালবাগ, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি থানা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: অসুস্থতার কারণে হাজী সেলিম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন না। মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গতবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছে। এবার তিনিও মনোনয়ন পাচ্ছেন না। এখানেও নতুন মুখ আসতে পারে।

ঢাকা (১৮১ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: রাশেদ খান মেনন (বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি)

ঢাকা-৮ আসনটি ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ০৮, ০৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৯, ২০, ২১ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: এবারও এই আসনটি ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা (১৮২ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: সাবের হোসেন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-৯ আসনটি ঢাকা মেট্রপলিটন খিলগাঁও ও সবুজবাগ থানাধীন নাসিরাবাদ ইউনিয়ন, দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন ও মাণ্ডা ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬ ও ০৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীকেই মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা ১০ (১৮৩ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: শেখ ফজলে নূর তাপস (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১০ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি শেখ ফজলে নূর তাপসই সব জরিপে এগিয়ে। তাই এই আসনে তাঁকেই আবার মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা ১১ (১৮৪ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: এ কে এম রহমতুল্লাহ্ (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১১ আসনটি ঢাকা মেট্রপলিটন বাড্ড থানা ও ভাটারা থানাধীন বেরাইদ ইউনিয়ন ভাটারা ইউনিয়ন ও সাঁতারকুল ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১, ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহ্‌র এবার মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখানেও নতুন মুখ আনতে পারে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ১২ (১৮৫ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: আসাদুজ্জামান খাঁন (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১২ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ৩৫ ও ৩৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আবার মনোনয়ন পেতে পারেন।

ঢাকা ১৩ (১৮৬ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: জাহাঙ্গীর কবির নানক (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৩ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: ঢাকা-১২ এর মতোই এই আসনেও বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক মানোনয়ন পেতে পারেন।

ঢাকা ১৪ (১৮৭ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: মো. আসলামুল হক (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৪ আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০৭, ০৮, ০৯, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি মো. আসলামুল হকের বদলে এই আসনে নতুন মুখের কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ১৫ (১৮৮ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: কামাল আহমেদ মজুমদার (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৫ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০৪, ১৩, ১৪ ও ১৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: কামাল আহমেদ মজুমদার এবার আর মানোনয়ন পাচ্ছেন না, এখানেও আসছে নতুন মুখ।

ঢাকা ১৬ (১৮৯ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৬ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০২, ০৩, ০৫ ও ০৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ এর বদলে এখানেও নতুন মুখের কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ১৭ (১৯০ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: এস. এম, আবুল কালাম আজাদ (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ))

ঢাকা-১৭ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫,১৮, ১৯ ও ২০ এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বিএনপির সাবেক নেতা ও মন্ত্রী নাজমুল হুদা এই আসনটি চাচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিলে এই আসনে মনোনয়নও পেতে পারেন। সেটি না ঘটলে এই অসনেও নতুম মুখ আসছে। আর নতুন মুখ হতে পারেন একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।

ঢাকা ১৮ (১৯১ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: সাহারা খাতুন (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৮ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০১ ও ১৭ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রপলিটন হরিরামপুর ইউনিয়ন, উত্তরখান ইউনিয়ন, দক্ষিণখান ইউনিয়ন, ডুমনি ইউনিয়ন ও বিমানবন্দর এলাকা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি সাহারা খাতুন এবার হয়তো মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই আসনেও নতুন মুখ আনবে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ১৯ (১৯২ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: ডা. মো. এনামুর রহমান (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৯ আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া, ধামসোনা, পাথালিয়া ইয়ারপুর আশুলিয়া বিরুলিয়া বনগাঁও ইউনিয়ন এবং সাভার ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত হওয়া বর্তমান এমপি ডা. মো. এনামুর রহমান যে এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন না তা নিশ্চিত। এখানেও নতুন মুখ আনছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ২০ (১৯৩ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: এম এ মালেক (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-২ আসনটি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি এম এ মালেক এবার মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। এই আসনেও আওয়ামী লীগ নতুন মুখ আনতে পারে।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পানি ও শরবত বিতরণ

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ বিপর্যস্থ জনজীবনে পরিশ্রান্ত ও তৃষ্ণার্ত জনসাধারণের মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র নেতৃত্বে সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বুধবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্পট ঘুরে বেলা সাড়ে তিনটায় জিগাতলায় এসে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ- সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ হান্নান হাওলাদার শাওন প্রমুখ।


স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়া কি তারেকের ভুল কৌশলের শিকার?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে দলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

কয়েক দিন পর পর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে। তার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই নড়বড়ে বলেই মনে করছেন বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা। বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুখ, সেই অসুস্থতার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা দরকার এবং সেই চিকিৎসা দেশের সম্ভব নয়। এজন্য তারা মনে করেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেওয়া দরকার। তবে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ নেই। বরং তারেক জিয়ার অনাগ্রহের কারণেই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া প্রলম্বিত হচ্ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথম উপায় হল, তিনি যদি তার অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি তার অপরাধের দণ্ড মওকুফ করতে পারে বা দণ্ড হ্রাস করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি একজন মুক্ত মানুষ হতে পারেন। তখন তার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না।

বিএনপির অধিকাংশ নেতাই এই মতের বিরোধী। তবে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ তার ভাই এবং বোন তার জীবনের প্রয়োজনে সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করতে চান। তারা মনে করেন যে, বেগম জিয়ার এখন যে অবস্থা তাতে রাজনীতির চেয়ে তার চিকিত্সাই সবচেয়ে জরুরি। আর এই উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন তাহলে এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু তার তারেক জিয়া মনে করছে যদি বেগম জিয়া তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান তাহলে সেটি হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যার সামিল। এর ফলে বিএনপির রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারেক জিয়ার ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। নিজের স্বার্থে তিনি তার মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করছেন জিয়া পরিবারের দুই সদস্য। 

বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হল আদালতের আশ্রয় নেওয়া। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যেরকম তা নিয়ে যদি আদালতে আবেদন করা হয়, আদালত সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে যদি রায় দেয় যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সরকার কোন বাধা হবে না। কারণ আদালতের রায় চূড়ান্ত। এভাবে বহুবার উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের রায়ে বিদেশ যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের। এটি কোন নতুন প্রক্রিয়া নয়। কিন্তু তারেক জিয়া বিএনপির আইনজীবীদেরকে এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য বাধা দিচ্ছেন।

বিএনপি নেতারাও এই ধরনের বাধা বিস্মিত। তারা জানেন না তারেক জিয়া কেন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধা দিচ্ছেন এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন না। এ নিয়ে বিএনপির কারোরই কোন ব্যাখ্যা নেই। 

বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে, বেগম জিয়ার আইনি প্রক্রিয়া তারেক জিয়ার নির্দেশে থমকে গেছে এবং সেই থমকে যাওয়ার কারণ অজানা। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া বন্দি অবস্থায় দেশের তিলে তিলে মৃত্যুবরণ করুক- এটিই হয়তো তারেক জিয়া চান। কারণ তারেক জিয়া যদি তার মার প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা দেখাতেন সে ক্ষেত্রে তিনি সরকারের সাথে সমঝোতা না করুন কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু সেটি তিনি গ্রহণ না করাতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে,বেগম জিয়াকে এই অবস্থায় রেখে তারেক জিয়া পূর্ণ ক্ষমতা গ্রহণ করতে চান। 

অনেকে মনে করেন যে, বেগম জিয়া যদি না থাকেন, সে ক্ষেত্রে তারেক জিয়ার একক কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। বেগম জিয়া সুস্থ হলে তারেক জিয়ার কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এ কারণেই কি তিনি বেগম জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে নিতে অনাগ্রহী? এই প্রশ্নটি এখন উঠেছে। 

বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার তৃতীয় পথ হলো সরকারের সাথে সমঝোতা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, সেটির কোন সুযোগ নেই। কারণ ইতোমধ্যে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার মাধ্যমে জামিন নিয়েছেন। একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে সরকারের দুটি সুবিধা দেওয়ার কোন বিধান নেই। আর বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন যদি বেগম জিয়াকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করানো যায় এবং তিনি যদি বিএনপি সঙ্গে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করেন তাহলে হয়তো সরকারের সাথে একটা সমঝোতা হতে পারে। কিন্তু সেটাতেও তারেক জিয়ার সায় নেই। তারেক জিয়ার কারণেই যেমন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তারেক জিয়ার কারণেই হয়তো বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসাও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।




খালেদা জিয়া   বিএনপি   এভারকেয়ার হাসপাতাল   তারেক জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে কেবল সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেন। ফলে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই আর উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আলোচনায় নিয়ে আসেনি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কীভাবে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় ও ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করা এবং শেষদিনে বড় সমাবেশ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করবে। সেই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসা হয়।

আর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আনেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা উপজেলা নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, দলের নির্দেশনা অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে মনে করলে ভুল হবে।

বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হটকারী ভাবে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, ধীরস্থিরভাবে, আস্তে আস্তে।

জাতীয় সংসদে একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন যে, বাঘে ধরলেও ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। যারা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লেখালে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয় তা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়।

এক এগারোর সময় যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সেই সমস্ত ডাকসাইটে নেতাদের কাউকেই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেননি। কিন্তু দলে তাদের অকার্য করেছেন, নিষ্ক্রিয় করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত উপলব্ধি করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল।

শেখ হাসিনা এক এগারোর পর সংস্কারপন্থিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যারা কম সংস্কারপন্থী ছিলেন, কম ষড়যন্ত্র করেছেন- তাদেরকে তিনি নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলঙ্কারিক পদ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। এই শাস্তি দল থেকে বহিষ্কারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি রাজনীতিতে নতুন করে বিদ্রোহী এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সুযোগ দেননি। বরং দলে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন।

আর দ্বিতীয় প্রকার যারা ছিল এক এগারোর সংস্কারপন্থীর মূল হোতা তাদেরকে তিনি মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে দলে নিষ্ক্রিয় করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন দল করেছে। কিন্তু রাজনীতিতে জীর্ণ শীর্ণ ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার কৌশল।

কাজেই এবার যারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তবে তারা কবে কীভাবে পাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কী হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।

কারণ যারা আত্মীয়স্বজনদেরকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভাপতির কালো খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয় তা অতীতে অনেক নেতাই উপলব্ধি করেছেন। অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।

বহিষ্কার হলে একজন রাজনৈতিক নেতা পরিত্রাণ পায়, নির্বাণ লাভ করে। তিনি নতুন সুযোগ পান অন্য কিছু করার। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যখন দলেই উপেক্ষিত হন, অনাহূত হন, পরিত্যক্ত ঘোষিত হন- তখন তার রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।


শেখ   হাসিনা   আওয়ামী লীগ   তৃণমূল   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতি   ড. আব্দুর রাজ্জাক   শাজাহান খান   জাহিদ মালেক   মোস্তফা কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে ৭টা ৫ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতই। তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা কিছু পরীক্ষা দিয়েছেন সেটা করাতে নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দফায় তিনদিন হাসপাতাল থাকার পর গুলাশানের বাসায় ফেরেন তিনি।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।

৭৯ বয়সী এই রাজনীতিবিদ লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত কয়েক বছর ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।

এভারকেয়ার হাসপাতাল   খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আরও ৬৬ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবার একযোগে ৬৬ জন নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দু–এক দিনের মধ্যেই তাদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে দল থেকে নির্দেশনার পরও এ সব নেতারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। একই কারণে সম্প্রতি তৃণমূলের ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দুই ধাপে বিএনপির নেতাদের বহিষ্কারের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৪১।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় বহিষ্কারের তালিকায় থাকা ৬৬ জনের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৯ জন। ২০ জন নেতা হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী; আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১৭ জন। এর বাইরে দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া নেতাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের ২ জন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, এবার কমবেশি ৪৮০ উপজেলা পরিষদে চার ধাপে ভোট হবে। প্রথম ধাপে ভোট হবে ৮ মে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে সব ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

বহিষ্কার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন