নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ জুলাই, ২০১৮
সিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিএনপি তাঁর সকল শক্তি প্রয়োগ করছে মেয়র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে। বিএনপি তাঁদের দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের কোনো খোঁজ-খবর রাখছে না। প্রতিটা সিটি কর্পোরেশনের প্রায় প্রতিটা ওয়ার্ডেই একাধিক বিএনপির প্রার্থী এমনকি কোনো কোনো ওয়ার্ডে তিন থেকে চারজন কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। একই সমস্যা আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও।
আওয়ামী লীগ সিটি নির্বাচনে অভিন্ন ও কোন্দলমুক্ত মেয়র প্রার্থী দিতে পারলেও কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দিতে পারে নাই। তবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদে একাধিক প্রার্থী অংশগ্রহণ করলেও, তাঁরা নিজেদের মতো করে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির একই ওয়ার্ডে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীরা যখন দেখছে কেন্দ্র থেকে তাঁদের কেউ কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছে না, কোনো ধরনের দিক-নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে না। তখন তাঁরা বাঁচার জন্য এবং অস্তিত্ব রক্ষা ও ভোটের জন্য আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে একধরনের চুক্তি করছেন। বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের মেয়রের সঙ্গে সমঝোতায় বলেছেন, ‘মেয়র হিসেবে আপনাকে আমরা সমর্থন প্রদান করব, আপনি কাউন্সিলের পদে আমাদেরকে সমর্থন করবেন, কিংবা আমাদের ভোটে ক্ষেত্রেও কোনো ধরনের বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করেন।’
গতকাল বরিশাল সিটির আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ ও বিএনপির ১৬ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী একটি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তাঁরা সবাই সাদিক আবদুল্লাহকে সমর্থন প্রদান করেছে। প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী সিটিতেও। রাজশাহীতে শুধু বিএনপি নয়, বিএনপি ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনকে সমর্থন করেছেন।
আওয়ামী লীগ গত দুই সিটি নির্বাচনে যে কৌশল গ্রহণ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে, একই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে একটানা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছে। যার ফলে সেই ওয়ার্ড কার্যত বিএনপির জন্য ব্লক হয়ে যাচ্ছে। সেই ওয়ার্ডে বিএনপির কোনো ভোটের ক্যাম্পেইনই হচ্ছে না।
সিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, একজন মেয়রের পক্ষে এত কম সময়ে সকল ওয়ার্ডে সবার কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। কাউন্সিলর প্রার্থীরা ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের প্রচারণা চালায়। কাউন্সিলর প্রার্থীরা ওয়ার্ডের প্রায় মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় থাকার কারণে তাঁদের প্রচারণা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। গাজীপুর সিটিতে দেখা যায়, কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের ৩৭, বিএনপি ১২, জাতীয় পার্টি ২ ও স্বতন্ত্র ১ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছে। আবার খুলনা সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ১৩ জন, বিএনপির আটজন এবং নয়টি ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছেন। খুলনা ও গাজীপুরে বিএনপির কাউন্সিলর যারা জয়ী হয়েছেন তদের অধিকাংশই বিদ্রোহী প্রার্থী। কাউন্সিলর প্রার্থীরা সিটি নির্বাচনে মেয়রের ভোটের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় পিছিয়ে পরছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের ঐক্যবদ্ধ করে সিটি নির্বাচনে প্রচারণার যে কৌশল গ্রহণ করেছে তাতে অনেকটাই সফলতা এসেছে। আসন্ন তিন সিটিতেও এই কারণেই এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে কিছু জরুরি শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার
জন্য আজ বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার
হাসপাতালে নেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং
কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
শামসুদ্দিন দিদার জানান, সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর রোডের ০১ নম্বর বাসভবন
ফিরোজা থেকে
হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা.
এ জেড এম জাহিদ হোসেন হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়ার একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তারেক জিয়া তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। অপছন্দের ব্যক্তিদেরকে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে এবং এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা দলের ভিতরে চলছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল।
সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচিত হয়েছিলেন। দল তাকে আদেশ করেছিল দায়িত্ব গ্রহণ না করার জন্য। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদটি গ্রহণ করেন। আর তার এই পদ গ্রহণের কারণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম তাকে অব্যাহতি দিয়েছিল। কিন্তু এই অব্যাহতি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। এখন তাকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তারেক জিয়ার এই সিদ্ধান্তে বিএনপির আইনজীবীদের একাংশ যারা মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলীসহ সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, তারেক জিয়ার নির্দেশেই তারা খোকনের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আবার তারেক জিয়াই তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মাঝখান থেকে তারেক জিয়া তাদেরকে অসম্মান করবেন বলেও এই সিনিয়র আইনজীবী মনে করেন।
তারেক জিয়ার পরামর্শেই তারা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে দায়িত্ব না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারেক জিয়াই এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে কথা বলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে যেমন আছেন, তেমনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদেও বহাল থাকছেন।
বিএনপির মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে মাহবুব উদ্দিন খোকন যদি নির্বাচন করে এবং জিতে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে তাহলে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা কী দোষ করল? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত হল বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। আর এই ধারাবাহিকতায় বিএনপির বিভিন্ন পেশাজীবীদের নির্বাচনও বর্জন করছে। এর আগে বিএনপি নিয়ন্ত্রিত ড্যাব চিকিৎসকদের বিএমএ নির্বাচনও বর্জন করেছিল।
প্রকৌশলীদের নির্বাচনেও বিএনপি সরে গিয়েছিল। আর এরকম একটি পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কেন বিএনপি অংশগ্রহণ করল? সেটি যেমন একটি বড় প্রশ্ন, তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল যে- একই সিদ্ধান্ত একেক জনের ব্যাপারে এক রকম হবে কেন? এ নিয়ে বিএনপির নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ দলের কিছু বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদেরকে বলেছেন, এই সমস্ত কীভাবে হচ্ছে আমি জানি না। আপনাদের যদি কোনও কিছু বলার থাকে আপনারা লন্ডনে যোগাযোগ করেন। এখন বিএনপিতে কেউ দায় নিতে চাচ্ছে না। কেউ জানছেও না যে কাকে কখন কীভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। যার ফলে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে দলটির মধ্যে।
উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছেন সে রকম ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, উপজেলা নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি নির্দলীয় ধরনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তারা ব্যবহার করবে না।
অনেক বিএনপি নেতা মনে করেন যে, দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তটাই সঠিক ছিল। কিন্তু কেউ যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটি তার নিজস্ব ব্যাপার। এ জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা বাঞ্ছনীয় নয় বলেই বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা মনে করেন। আর একারণেই বিএনপির সব নেতারাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন এবং তারা এখন তিক্ত-বিরক্তও বটে।
বিএনপি রাজনীতি মির্জা ফখরুল তারেক জিয়া ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়ার একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তারেক জিয়া তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। অপছন্দের ব্যক্তিদেরকে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে এবং এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা দলের ভিতরে চলছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল।