ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর কাজ কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য, বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের জন্য, সর্বোপরি বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের জন্য এ এক অসাধারণ অর্জন। যেহেতু মৎস্য খাতের এই অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ভূমিকা রেখেছে, তাই এটি প্রত্যাশা করা অস্বাভাবিক ছিল না যে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জনগণকে অবহিত করে ক্যাম্পেইন করা হবে। আর ক্যাম্পেইন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকাটি নিতে পারত বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ। বাংলাদেশের মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ও মৎস্যখাতের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যেই আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠনটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু মৎস্যখাতে এত বড় অর্জনেও তাদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

শুধু আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগই নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বেশ পুরনো। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মিছিল, মিটিং, সভা-সেমিনার করে পত্রিকার পাতা গরম রাখে। বাংলাদেশ যুবলীগও বেশ কিছু সৃজনশীল ও মননশীল উদ্যোগের কারণে বেশ প্রশংসিত। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ দিবস ভিত্তিক কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর বাইরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের তেমন কোনো খবর পাওয়া যায় না। স্বাভাবিকভাবেই তাই আওয়ামী লীগের ওপর মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এই সহযোগী সংগঠনগুলোর কাজ আসলে কী? কী তাঁদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য?

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছিল মাত্র ৫টি। এগুলো হলো ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ। এদের মধ্যে অবশ্য ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগকে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে অভিহিত করা হয়। সময়ে সময়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলটির অঙ্গ সংগঠনের সংখ্যা এখন বেড়েছে। দলটিতে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সংগঠন যেমন - তাঁতি লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ প্রভৃতি।

বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর একটি সুস্পষ্ট ও অতুলনীয় চেতনা ছিল। সেই চেতনার মূল কথা ছিল, আওয়ামীপন্থী বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে দলটির যেসব অঙ্গ সংগঠন গঠন করা হবে তাদের নেতাকর্মীরা নিজেদের পেশাজীবী মধ্যে আদর্শ ও চেতনার গ্রুমিং করবেন।  এভাবেই দেশের সকল পেশাজীবীর মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা, রাজনৈতিক চেতনা ছড়িয়ে পড়বে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে রাজনৈতিক চেতনা ধারণ করবে তা সকল অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে সেটাই প্রত্যাশা ছিল বঙ্গবন্ধুর। চেতনার প্রবাহমান এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করা যায়। রক্ত হৃদপিণ্ড থেকে শিরা, ধমনীর মধ্য দিয়ে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পৌঁছে যায়। তেমনি কেন্দ্র থেকে পুরো দেশটির মধ্যে যাতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চেতনা পৌঁছে যায় তার জন্য দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলো কাজ করবে সেই উদ্দেশ্যেই গঠন করা হয়েছিল অঙ্গ সংগঠনগুলো।

দেশে বিভিন্ন পেশা আছে, পেশাজীবী আছেন। এই পেশাজীবীদের মধ্যে আছেন কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী ইত্যাদি। তাদের সবার মধ্যে যাতে আদর্শের চেতনাটা সঞ্চালিত হয় তা নিশ্চিত করাই ছিল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলো হয়ে গেছে দলবাজি, টেন্ডারবাজির আখড়া। এসব অঙ্গ সংগঠনে পদ পাওয়াকে অনেকে আরও বড় পদ-পদবী পাওয়ার সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেন, বিবেচনা করেন বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ হিসেবে। অথচ নিজেদের পেশাদারি আদর্শ বাস্তবায়নের কাজে তাঁদের অনীহা দেখার মতো।

অথচ এই সংগঠনগুলো যদি ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতো, আদর্শিক জায়গা থেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতো তবে তাঁরা সফলভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতো। সরকারকে পরামর্শ দিতে পারতো সংশ্লিষ্ট খাত ও পেশার উন্নয়নে।

বর্তমানে দেশের সড়কগুলোতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে শ্রমিক লীগ আছে, পরিবহণ লীগ আছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে কিন্তু এরা সহায়তা করতে পারে, সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিভিন্ন পরামর্শ দিতে পারে। কিন্তু এই সংগঠনগুলোর কাছ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল চিকিৎসা বিষয়ক অঙ্গ সংগঠন। কিন্তু বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য চলছে তা নিরসনে স্বাচিপের কোনো ভূমিকাই নেই।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। এই ক্যাম্পেইনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত জনসভায় তিনি বারবার বলছেন, দেশের প্রত্যেকটি গ্রামকে তিনি শহরে রূপান্তরিত করবেন। শহরের অধিবাসীরা যে নাগরিক সুযোগ-সুবিধাগুলো পায় গ্রামের অধিবাসীদের জন্যও তিনি একই রকম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করবেন। আর আমরা সবাই জানি, একটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে অবকাঠামো লাগে, লাগে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অবশ্যই উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। এই উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে স্বাচিপের চিকিৎসকরা নিতে পারে উদ্যোগী ভূমিকা। কিন্তু সেরকম কোনো ভূমিকার চিত্র এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।

বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি ভালো নয়। জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়া অন্যসব জটিল অসুখে গ্রামের মানুষকে এখনো শহরের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে ছুটতে হয়। আমাদের চিকিৎসকরা যদি গ্রামের হাসপাতালগুলোতে গিয়ে সেবা দিত তাহলে এ পরিস্থিতি পাল্টে যেত। আর এ বিষয়ে সবচেয়ে উদ্যোগী ভূমিকা তো বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী চিকিৎসকদেরই নেওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাচিপ করা কোনো চিকিৎসক গ্রামে থাকতে চান না।

আরেকটি বিষয় না উল্লেখ করলেই নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি কখনো নোবেল পান তবে তার পেছনে অন্যতম কারণ হবে গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। এ বিষয়টি বৈশ্বিক পর্যায়েও আলোচনায় এসেছে। অথচ বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, স্বাচিপের এ বিষয়ে কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা বা উদ্যোগ নেই। নেই কোনো প্রোগ্রাম। এই গাফিলতির কারণে আওয়ামী লীগের ভালো কাজগুলোর খবর জনগণের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।

একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে আওয়ামী পন্থী প্রকৌশলীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদেও। সরকারকে সহযোগিতা করা কিংবা সরকারের কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণা তাঁদেরকেও করতে দেখা যায় না। বরং পদ-পদবীর ভাগাভাগি নিয়ে সংগঠনটিতে ব্যস্ততা বেশি দেখা যায়।

আওয়ামী লীগ সভাপতির গ্রামকে শহরে রূপান্তর করার যে স্বপ্ন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে দলটির প্রকৌশলীদের নিয়ে গঠিত অঙ্গ সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কোনো বিকল্প নেই। অবকাঠামো নির্মাণ বা উন্নত যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থার সূচনার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের উচিত ছিল যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হাতে একটি মডেল তুলে দেওয়া। সে মডেলে গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার সমস্ত খুঁটিনাটি সংযুক্ত থাকতে পারতো। কিন্তু এমন কোনো উদ্যোগ আওয়ামীপন্থী প্রকৌশলীদের এই সংগঠনটি গ্রহণ করেনি। এমনকি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ করা কোনো লোক ঢাকার বাইরে পোস্টিংই নিতে চান না।

ঢাকার বাইরে মফস্বলে যেতে চান না আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সমিতির নেতারাও । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ছাত্র পড়ানোর চেয়ে তাঁদের নজর বেশি থাকে তদবির করে কীভাবে পদ-পদবি পাওয়া যায় তার দিকে।

আওয়ামীপন্থী বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনগুলোর এসব কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়, এই অঙ্গ সংগঠনগুলো প্রতিষ্ঠার পেছনে বঙ্গবন্ধুর মূল চেতনার যে জায়গাটি ছিল, যে আকাঙ্ক্ষা থেকে অঙ্গ সংগঠনগুলো তৈরি করা হয়েছিল তা পূরণ হচ্ছে না।

একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে নির্বাচনী কর্মসূচি দিয়ে। এই কর্মসূচিগুলো দেখেই জনগণ তাঁদের ভোট দেন। তাই ক্ষমতায় আসার পর কর্মসূচিগুলোর বাস্তবায়নই হলো সরকারের প্রধান কাজ। কিন্তু সেই কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণ দরকার। সরকারের কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলো যদি দায়িত্ব পালন না করে তাহলে কোনো ভাবেই সরকার সফলতার সঙ্গে তাঁদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না।

মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর এক সময় দারুণ রমরমা ছিল। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উদ্যোগের কারণে তরুণদের মধ্যে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা ছিল সংগঠনটির। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আলমগীর কুমকুম ছিলেন সংগঠনটির শেষ প্রদীপ। কিন্তু বর্তমানে এই সংগঠনের কোনো অস্তিত্বই যেন চোখে পড়ে না। অথচ আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে সংস্কৃতি অঙ্গন আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠার কথা ছিল।

বাস্তবতা হচ্ছে, সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছাড়া কখনো চেতনার আন্দোলন সমৃদ্ধ হয় না। মুক্তিযুদ্ধ সফল হতো না যদি না সে সময় একটি সফল সাংস্কৃতিক আন্দোলন হতো। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ে বড় একটি ভূমিকা রেখেছিল সে সময়ে গৃহীত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উদ্যোগ। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত অস্থায়ী রেডিও স্টেশন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র আমাদের উজ্জীবিত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল শোনো একটি মুজিবুরের থেকে, জয় বাংলা বাংলার জয়ের মতো দেশাত্মবোধক গানগুলো। কিন্তু এখন আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনার মান কোথায়? আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করার স্বপ্ন দেখছি, সেই বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মানটিও উন্নত হতে হবে, উন্নত একটি দেশের সঙ্গে মানানসই হতে হবে। না হলে উন্নত জাতিসত্তার একটি রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে না। এই উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিষ্ক্রিয়তার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে।

একটি সময় ছিল যখন আওয়ামী লীগের বুদ্ধিজীবীরাই শিল্প-সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান তথা বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনের প্রতিভূ ছিলেন। শিক্ষাবিদ ও লেখক আনিসুজ্জামান, আইবিএর প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ এম. শফিউল্লাহ প্রমুখের নাম এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। সাংস্কৃতিক অঙ্গন বা ক্রীড়া অঙ্গনের প্রতিভাবান এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও প্রতিনিধিত্ব করতেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখা দল আওয়ামী লীগেরই। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল। বিখ্যাত ফুটবলার শফিউল আলম টুটুল এবং কাজী সালাউদ্দিনও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ক্রিকেটার রকিবুল হাসান ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় কমনওয়েলথ একাদশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করেন। কিন্তু দুঃসাহসের পরিচয় দিয়ে সেদিন তিনি ব্যাটে জয় বাংলা লিখে নেমেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে আওয়ামীপন্থীদের কোনো উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। ফলে দেশে একটি অদ্ভুত সুশীল সমাজের উদ্ভব হয়েছে যারা শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরাজনীতিকরণকে গুলিয়ে ফেলছেন।

এসব দেখেশুনে এবং তৃণমূলে গণসংযোগ করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এটি প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া অন্য অনেক দারুণ সিদ্ধান্তের মতোই একটি ভালো সিদ্ধান্ত কারণ আমরা যদি উন্নত জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই তবে পেশীশক্তি, অস্ত্র-গোলাবারুদের ব্যবহার কমিয়ে এনে বাড়াতে হবে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা। দেশের উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে হবে বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত অঙ্গ সংগঠনগুলোকেই। এই সংগঠনগুলো যদি থিংক ট্যাংক হিসেবে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পারে, নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে এবং সরকারের উন্নয়ন-উদ্যোগ প্রচারে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে পারে তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু সংগঠনগুলো যদি নিষ্ক্রিয়ই থেকে যায় তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে অদূর ভবিষ্যতেই মূল্য দিতে হতে পারে।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

২৬ এপ্রিল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। এরপর একই দিনে আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেয়। তবে প্রকৃতির বৈরি আচরণের কারণে আপাতত পিছু হঠছে বিএনপি। চলমান তাপদাহ ও হিট অ্যালার্টের কারণে এই সমাবেশ কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে আবার সরকার পতন আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা ছিল দলটির। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণার অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। 

দলের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান তাপদাহ কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থগিত হওয়া সমাবেশ কর্মসূচি করবে বিএনপি। একই সঙ্গে চলমান বিভিন্ন সংকট বিশেষ করে লোডশেডিং ইস্যুতে আন্দোলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচন বর্জনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি। এভাবে ধীরে ধীরে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে দলটি। তবে অতীতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনকে স্বাগত জানানো হলেও এবার তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ করে লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুতের দাম ইত্যাদি ইস্যুতে আন্দোলনে স্বাগত জানিয়েছিল সরকার। তবে এবার সরকার হয়তো কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে এমন ধারণা কারও কারও। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এ ধারণা করা হচ্ছে।

সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমি পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। অথচ ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদেরই মার খেতে হয়েছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তো আমার মনে হয় আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা চাইলে গ্রহণ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে দেশের বাইরে বসেও আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করে করুক, তাতে আমরা বাধা দিচ্ছি না। এখন আন্দোলন দমাতে আমেরিকান স্টাইল ফলো করা যেতে পারে। আমেরিকান পুলিশ যেভাবে আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের দমন করে, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পুলিশ তা অনুসরণ করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে কিনা সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। এখন দেখার বিষয় বিরোধী দলগুলো সেরকম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে কিনা আর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে সেক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কী হয়।

আন্দোলন   সরকার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  

রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ আহ্বান জানান।

বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।  

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এসব কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, কালকের (সোমবার) সমাবেশ বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ। পৃথিবীর সব স্বাধীনতাকামী রাষ্ট্রের পক্ষে ও মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কালকের সমাবেশ হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, মারধর ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার কারণে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ এসব অব্যাহতি ও হেনস্তার বিরুদ্ধে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   ফিলিস্তিনের পতাকা   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মামলা গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-

১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন

২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল

৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   শাহদাত হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপি স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং অফিসার দিতে পারবে ভোট

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।

সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।

সেগুলো হচ্ছে…

১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।

২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।

৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।

৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।

৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।

আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।

প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


নির্বাচন কমশিন   ইভিএম   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন