নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্ষমতায় এসেই দেশের উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের দিকে নজর দেন তিনি। নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছেন। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, দেশে বেকারত্বের হার কমেছে, নাম লিখিয়েছে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মধ্য দিয়ে মহাকাশে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ, শুরু হয়েছে নৌবাহিনীর সাবমেরিন যুগ। দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আরও আছে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় ও সমুদ্র সীমা বিজয়ের মতো অর্জন। অর্জনগুলোর সংখ্যা এতটাই বেশি যে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে তার পরিমাপ করা যাবে না।
এসব অর্জনের জন্য এবার দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করার উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই উদ্দেশ্যে আগামী ২১ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেবে দলটি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন, অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন করায় তাঁকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা তার শুরুটা এত সহজ ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী হায়েনাদের কারণে তাঁর সে স্বপ্ন সফল হয়নি। ১৫ আগস্টের এক কালরাতে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাবিরোধী শকুনেরা। পরের দুই দশকে স্বাধীনতা বিরোধী ও স্বৈরাচারদের শাসনে বিপর্যস্ত হয় বাংলাদেশ, বিধ্বস্ত হয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা। এই উত্তাল সময়ে সংগঠন হিসেবেও সংকটের মুখোমুখি হয় আওয়ামী লীগ।
এই পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বহুধা বিভক্ত আওয়ামী লীগকে রক্ষায় হোটেল ইডেনে দলীয় কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। তখনও কিন্তু শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসতে পারেননি। অবশেষে ১৭ মে ১৯৮১ সালে স্বৈরাচারী সরকারের সকল ভ্রুকুটি ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে যদি সে সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত না করা হতো, তবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হত কেউ জানে না। দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে শক্তিশালী করে তুলতে এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে দলকে জনপ্রিয় করে তুলতে প্রধান দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দুই দশক পর ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সে সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি-জামাত জোট সরকার এবং ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন অগণতান্ত্রিক সরকারের সময় এসব উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আবার ২০০৮ সালে এক গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জনগণের রায়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে জাতির পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণেই কাজ করে চলেছেন তিনি।
বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এমন সময়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। আমাদের মাথায় রাখতে হবে, বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন ২০৪১ এর ঘোষণা করেছেন, আবার যদি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় চলে আসে তবে তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। আর অতীতে দেখা গেছে, জাতীয় নির্বাচনে যতবার স্বাধীনতা বিরোধী ও ধর্মান্ধ-মৌলবাদীরা এক হয়েছে ততবারই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী এই শক্তিটি আবার শক্তি সঞ্চয় করে মাঠে নেমেছে। আর তাঁদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে শক্তিটিকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে সেক্যুলার বাম দলগুলোও। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনটি যে আওয়ামী লীগের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত। তাই এই কঠিন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য পরবর্তী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। দেশকে এত কিছু দেওয়ার পর এই সংবর্ধনাটি তাঁর প্রাপ্য ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার অবদানের সঙ্গে মানানসই উপহার একটিই হতে পারে – আগামী নির্বাচনে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে জনসেবার সুযোগ করে দেওয়া। দেশের উন্নয়ন, জনগণের সেবাই শেখ হাসিনার ধ্যান-জ্ঞান। তাই জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়াই হবে শেখ হাসিনার জন্য বড় উপহার। এ লক্ষ্যে সকল বিভেদ ভুলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জনগণের সামনে শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের খতিয়ান তুলে ধরতে হবে। এসব উন্নয়ন সম্পর্কে জানলে অবশ্যই জনগণ আবার শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এই একতাবদ্ধ থাকার প্রতিজ্ঞাটিই আসলে শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা থেকে দেশের সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কাজ করার দায়িত্ব কিন্তু কেবল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরই নয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, যারা বাংলাদেশকে আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান তাঁদের প্রত্যেকের দায়িত্ব শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। যেদিন শেখ হাসিনা আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে, সেদিনই বলা যাবে, বাংলাদেশের উন্নয়নের সারথী এই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর যোগ্য সংবর্ধনা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন এবং এই লক্ষ্যে তাঁর পেছনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে এমন চেতনার বিস্তারই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা থেকে আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের
সুযোগ দিতে চাচ্ছে বিএনপি। সেক্ষেত্রে ভোট থেকে সরে এসে ক্ষমা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
বরাবর আবেদন করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে তার
সরে আসার খবর জানাতে হবে।
গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর শান্তিনগরে বিএনপির উদ্যোগে
পথচারীদের মধ্যে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতারা নির্বাচন থেকে
সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনো সুযোগ আছে যারা নির্বাচন
থেকে সরে দাঁড়াবেন, দল তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল
শনিবার আরো তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষৃ্কতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর
জেলার হালুয়াঘাট বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নম্বর
পৌর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির
উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।
একই কারণে এর আগের দিন শুক্রবার ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় পৌরসভায় একজন এবং ইউনিয়ন পরিষদে আটজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২১ এপ্রিল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৮৫ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন রুহুল কবীর রিজভী
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা
পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।
রোববার (২৮ এপ্রিল) শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার মনে হয় এরা (বিএনপি) পড়াশোনা করে না।
কথাটা বলেছেন (বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরীফ। পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের
উন্নয়ন দেখতে পায়। পাকিস্তান একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত। এতে রিজভীদেরই লজ্জা
পাওয়া উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে। শেহবাজ শরীফ যা দেখে সেটাও দেখে
না। তারা (বিএনপি) কেন দেখে না সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন’।
জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা
গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে।
ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে,
কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫'এর ১৫ আগস্টের
হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদত দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও
ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ
করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে
দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে’।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি শেখ জামাল নানী কবরস্থান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। রোববার (২৮ এপ্রিল) শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।