নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৯ এএম, ০৮ অগাস্ট, ২০১৮
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ। কূটনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, কানাডা, জার্মানি, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। এই বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এই বৈঠকে বিএনপি নেতারা কূটনীতিকদের জানান, অক্টোবর পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ইত্যাদি বিষয় পর্যবেক্ষণ করার পর নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা। তবে বৈঠকে মূল আলোচনা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতায় বিএনপির সম্পৃক্ততা নিয়ে। কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়, এই যে বিভিন্ন আন্দোলনে সহিংসতা হচ্ছে এই সহিংসতার পেছনে বিএনপির কোনো হাত আছে কী না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্তরে বলেন, এসবের পেছনে বিএনপির কোনো হাত নেই। তখন কূটনীতিকরা প্রশ্ন করেন, আপনারা এই আন্দোলনগুলো সমর্থন করেন কী না। বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, তাঁরা আন্দোলন সমর্থন করেন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কূটনীতিক। বিএনপি নেতাদের ভারতীয় কূটনীতিকদের বলেন, তাঁদের কাছে বিভিন্ন ডকুমেন্ট আছে যা প্রমাণ করে এই সহিংসতার সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর উত্তর বিএনপি নেতারা কিছু বলেননি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোনলনটিই শেষ আন্দোলন নয়। নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে আরও আন্দোলন হবে বলেও বৈঠকে কূটনীতিকদের বলেন বিএনপির নেতারা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।