নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
মার্শিয়া বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত নতুন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বতসোয়ানা থেকে উড়ে গেছেন ওয়াশিংটনে। যেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশীয় ডেস্কে নিয়মিত ব্রিফিং এ অংশ নিচ্ছে এই মেরিন ডিপ্লোম্যাট। খুব শিগগিরই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ত্যাগ করবেন মিলার। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে মিলারের প্রথম কাজই হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মার্কিন আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং এ বলা হয়েছে, এটাই হবে তাঁর প্রথম এবং প্রধান চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে ভালো মতো অবহিত করা হয়েছে।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, রবার্ট মিলারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট আগামী নির্বাচন ‘সকল দলের অংশগ্রহণ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলোও তাঁকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। দক্ষিণ এশীয় ডেস্কের ব্রিফিং এ বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অবস্থান দুই মেরুতে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১০ বছর ক্ষমতায়। টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে দলটি মরিয়া। অন্যদিকে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি মনে করছে, এবার যদি তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে না পারে, তাহলে দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। এ কারণে কেউ কাউকে নূন্যতম ছাড় দিতে রাজি নয়।’ দক্ষিণ এশীয় ডেস্কের মতে, ‘এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনীতি উত্তপ্ত এবং সহিংস হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। যা প্রতিটি নির্বাচনেই আগেই বাংলাদেশের জন্য একটি রুটিন বিষয়।’ মিলারকে দেওয়া ব্রিফিং এ বলা হয়েছে, এর ফলে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিপন্ন হতে পারে গণতন্ত্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নবনিযুক্ত রষ্ট্রদূতকে দেওয়া ব্রিফিং এ বলেছেন, ‘যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা মার্কিন নীতির অংশ।’ এজন্য নতুন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে গিয়েই সংলাপের পথ উন্মুক্ত করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, দুই দলের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য। একাধিক সূত্রের খবরে জানা গেছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং এ বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে।বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত ফ্যাক্টর এবং ভারতের ভূমিকা নিয়েও মিলারকে ব্রিফ কার হয়েছে।
তবে কূটনৈতিক সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, একটি বিষয়ে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন টমাস মিলার, সেটি হলো মিলারের দিল্লির অভিজ্ঞতা। মিলার দিল্লীতে মার্কিন দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাচি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতের কূটনীতিকদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে নির্বাচন পূর্ব রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় তিনি ভারতের সহযোগিতা নেবেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।