নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তো বলেই ফেলেছেন, শিগগিরই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে এবং সেখানে তিনি থাকবেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো চূড়ান্ত করেননি। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হবে।
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার পরপরই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সরকারের চার দফা পদক্ষেপের মধ্যে আছে:
এক. নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ দল ছাড়াও সমমনা অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বাম-ফ্রণ্টসহ যে রাজনৈতিক দলগুলো গতবার নির্বাচন করেনি কিন্তু আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে সেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও ধারাবাহিক সংলাপ করবেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা হবে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও। এসব আলোচনা থেকে প্রধানমন্ত্রী ধারণা নিবেন, তারা নির্বাচনে কি ধরনের সুযোগ সুবিধা বা কি ধরনের পরিবেশ চায়। সেই অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে বিএনপির সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক সংলাপে যাবেন না আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না এমন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় যাবেন না প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ না করলেও বর্তমানে দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে থাকা কর্নেল অলি আহমেদ এর এলডিপি, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম এর নেতৃত্বাধীন কল্যাণ পার্টি- এরকম কিছু দলের সঙ্গে সংলাপ করবে আওয়ামী লীগ। এমনকি ইসলামপন্থী দল হিসেবে পরিচিত হেফাজতে ইসলামসহ আরও কিছু ইসলামপন্থী দলের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সংলাপ করবে।
দুই. সংলাপের মাধ্যমে যে সুপারিশগুলো হবে, সেই সুপারিশগুলোর ভিত্তিতে নির্বাচন তফসিল ঘোষণার আগে বা আগের এক সপ্তাহ মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেবেন। ভাষণে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অঙ্গীকার করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকার কেন কোনো হস্তক্ষেপ করবে না এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার কীভাবে নির্বাচনকে বিশেষায়িত করবে-তার একগুচ্ছ বিবরণ উপস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া সকল দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হবে।
তিন. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎ করে মন্ত্রিসভার আকার ছোট করা হবে। জানা গেছে, ১০-১২ জনের মন্ত্রিসভা হতে পারে। এখানে একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকবেন। বর্তমান সিনিয়র মন্ত্রীদের নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে। এছাড়া কিছু নতুন মুখও আসতে পারে। এছাড়া অধিকাংশ মন্ত্রীকেই তখন পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নির্বাচন করবেন না, সেহেতু তিনি নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় থাকবেন। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী গতবারও অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন, এবারও তিনি নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় থাকবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও গতবার অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন, এবারও থাকছেন তিনি। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু গতবার অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন, এবারও তাঁকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ গতবার মন্ত্রিসভায় ছিলেন, তেমন সাফল্য না থাকা সত্ত্বেও এবারও তাঁকে রাখা হবে। নির্বাচনের পরপরই পাঠ্যপুস্তক প্রদানের বিষয়টি থাকায় মন্ত্রিসভায় রাখা হবে শিক্ষামন্ত্রীকে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও মন্ত্রিসভায় থাকবেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। জাসদ থেকে মঈনুদ্দিন খান বাদলকে (বিভক্ত জাসদের একটা অংশ) মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেননও মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। জাতীয় পার্টির একাধিক নেতার মধ্যে রওশন এরশাদও থাকতে পারেন মন্ত্রিসভায়। ইয়াফেস ওসমান ও মোস্তফা জব্বার, আওয়ামী লীগ এই দু’জন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী আছেন। সংবিধান অনুযায়ী এক-দশমাংশ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী রাখার কথা থাকলেও এই দুজনের আসার সম্ভাবনা কম। নির্বাচনে আসা দলগুলোর মধ্যে থেকে কাউকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী করা হতে পারে।
অপরদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী এ. কে. এম শাহজাহান কামাল, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক সহ বেশ কিছু সিনিয়র মন্ত্রীদের এবার নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। গতবার নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম থাকলেও এবার তাঁকে রাখা নাও হতে পারে।
মন্ত্রিসভার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী এখনো চূড়ান্ত করেন নি। তবে যেসব মন্ত্রীর দায়িত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদেরকে রেখে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র।
চার. মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি সংলাপের আয়োজন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যদি দেখা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, তখন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।