নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। তাঁর সমর্থক নেতা কর্মীরা হাজির হয়েছিল। কারও হাতে ছিল নাস্তা, কারও কাছে চা-কেউ এনেছিল কফি। এসব আয়োজনের মধ্যে দিয়েই চলছিল রাজা-উজির মেরে দেশ জাতি উদ্ধারের আলোচনা। আলোচনার মধ্যমণি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের স্থায়ী বাসিন্দা রিজভী।
আলোচনার এক পর্যায়ে রিজভীর এক ঘোষণায় আশে পাশের নেতাকর্মীদের কথাবার্তা থেমে যায়। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমি গতকাল রাতে এক নতুন বিষয় আবিষ্কার করেছি। আমি চিন্তা করে বের করেছি সরকার এখন কেন আমাদের আন্দোলন করার অনুমতি দিচ্ছে।
রিজভী পন্থী নেতাকর্মীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। বলেন, লিডার আপনার আবিষ্কারটা কী, বলেন?
রিজভী আগ্রহী হয়ে বলতে থাকেন, আমি চিন্তা করে দেখলাম আগে অনুমতি না দেওয়া হলেও এখন আমরা সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছি। কারণ হচ্ছে আমরা সমাবেশ করলেই নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আর পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার সুযোগ পায়। অনেক নেতাকর্মী এভাবে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী। এমনকি তাঁর কাছে তালিকা করা আছে বলেও নেতাকর্মীদের জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
মন্ত্রমুগ্ধের মতো রিজভীর কথা শুনতে থাকা নেতাকর্মীদের সম্বিত ফেরে এক নেতার কথায়, কিন্তু সিনিয়র নেতারা তো গ্রেপ্তার হচ্ছেন না?
এমন প্রশ্নে অপ্রস্তুত রিজভী থমমত খেয়ে বলেন, তাঁদের অনেকের তো জামিন পেয়েছেন, তাই হয়তো…
থমমত রিজভীকে আরেক নেতা প্রশ্ন করে বসেন, লিডার তাহলে আপনি কী বলেন? আমরা সমাবেশ করবো না?
এমন প্রশ্নে চিন্তায় পড়ে যান রিজভী? তাঁর চিন্তাকে আরও বাড়িয়ে দেয় অপর এক কর্মীর প্রশ্ন, নেতা সমাবেশ করতে না দিলে আপনিই তো বলেন, সরকার সমাবেশ করতে দেয় না। এখন সমাবেশ করতে দিলেও কী আমরা সমাবেশ করবো না?
এরপর আর রিজভীর খোশ আলোচনা জমেনি। অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যে আড্ডা থেকে উঠে যান রিজভী।
রিজভীর কথার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, দিনরাত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পড়ে থাকে, রাস্তার কোনো কর্মসূচি নেই। এখন কর্মসূচি হলেও তা বন্ধে তত্ত্ব আবিষ্কার। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পড়ে থেকে বিবৃতি আর প্রেস কনফারেন্স করলে কি বেগম জিয়া মুক্ত হবেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।