নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসম্মুখে বিএনপি বলছে, তারা যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য গঠন করবে। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও জাতীয় ঐক্যে যাওয়া হবে, এই ধরনের মুখরোচক কথাও বলছে দলটি। কিন্তু বাস্তবে ভেতরে ভেতরে তারা নাশকতামূলক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই আন্দোলনে বিএনপির প্রধান মিত্র হতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
অক্টোবর থেকেই সারাদেশে নানা ভাবে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে বিএনপি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক জিয়ার রায় ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির দেশজুড়ে নাশকতা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর আক্রমণ, এমনকি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের একটি নীলনকশা গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে জানতে চেয়েছে, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হলে তার মোকাবেলায় কতটুকু প্রস্তুত আছে তারা।
যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য জামাতকে বাদ দিয়ে ঐক্য করার শর্ত দিয়েছে বিএনপিকে। কিন্তু এই ঐক্যের ব্যাপারে বিএনপি এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট করে কিছু বলেনি। যুক্তফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জামাতের বিষয়টি থাকার কারণে বিএনপির সঙ্গে এখনো তারা সবকিছু নিয়ে গুছিয়ে উঠতে পারছে না। এ থেকে প্রমাণিত হয়, জামাতকে ত্যাগ করার কথা বিএনপি এখন আর ভাবছে না। বরং জামাতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির ক্যাডার গ্রুপ নির্বাচনের আগে, বিশেষ করে যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টির একটি পরিকল্পনা করছে। আর এই নাশকতা সৃষ্টির নীলনকশা তৈরি হচ্ছে লন্ডনে। সেখানে তারেক জিয়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান মীর কাশিম আলীর পুত্র, গোলাম আযমের পুত্র, আলী আহসান মুজাহিদের পুত্র এবং মতিউর রহমান নিজামীর পুত্র উপস্থিত আছেন। বড় ধরনের নাশকতা করে তাঁরা দেশকে অচল করে দেওয়ার এবং সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার ষড়যন্ত্র করছেন। আর জাতীয় ঐক্যে অংশ নেওয়ার কথাটি বিএনপি বলছে সরকার ও জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য।
বিএনপির নাশকতার পরিকল্পনা সম্প্রতি গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে। এই কারণেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরপাকড় বেড়েছে। এখন পর্যন্ত বিএনপির যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, নাশকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনকালীন সময়ে এরাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সময় যদি বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করা সম্ভব হয় তাহলে দেশে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তাই নাশকতার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে দেখছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
ওবায়দুল কাদের গত তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার ভাবে দলের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা যেন নির্বাচনে না দাঁড়ায় সে জন্য আহ্বান জানাচ্ছিলেন। এ জন্য তিনি কঠোর হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি বলছিলেন, যারা দলের নির্দেশনা লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ব্যবস্থাগ্রহণ তো দূরের কথা তাদেরকে সতর্ক পর্যন্তও করা হয়নি। উল্টো ৩০ এপ্রিলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি।