নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপির একটি গোপন চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এক সঙ্গে নির্বাচন করবে তারা। জানা গেছে, ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়। এই চুক্তি চূড়ান্ত হবার পর গতকাল বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা, কারও নেতৃত্বে যাবার বিরোধী ছিলেন। বরং তাদের অবস্থান ছিল যে, কোনো ঐক্য করতে গেলে তার নেতৃত্ব বিএনপির হাতেই থাকতে হবে। এ নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছিল। তবে, তারেকের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপির যোগদান নিশ্চিত হলো। এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারা থাকবে কি না তা এখনো নিশ্চিত না। অবশ্য অধ্যাপক চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের অন্য দলগুলো যেমন জেএসডি, নাগরিক ঐক্য এতে থাকবে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে। যেহেতু জামাত নিবন্ধিত নয়, তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে জামাত নেই। তবে, জামাত জাতীয় ঐক্যের সকল কর্মসূচিতে অংশ নেবে। আন্দোলনের কথা বলা হলেও এটি মূলত: নির্বাচনী জোট। এই ঐক্য প্রক্রিয়া ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করবে ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে বলেই জানা গেছে। ড. কামাল হোসেন এবং তারেক জিয়া দু’জনই একমত হয়েছেন যে, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করলে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরে যাবে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৭ দফা সমঝোতার ভিত্তিতে বিএনপি ড. কামাল হোসেন ঐক্য হয়েছে। এই ৭ দফা চুক্তির মূল বিষয়গুলো হলো এরকম:
১. ড: কামাল হোসেন হবেন ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান নেতা
২. ঐক্য প্রক্রিয়ার স্বার্থে নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে তারেক জিয়া নেপথ্যে থাকবেন। বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অথবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৩. নির্বাচনে ১০০ থেকে ১২৫ টি আসন বিএনপি তার শরিকদের ছেড়ে দেবে। এই ছেড়ে দেওয়া আসনে অন্তত ১৫টি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেওয়া হবে।
৪. নির্বাচনে জয়ী হলে ড. কামাল হোসেন হবেন প্রধানমন্ত্রী।
৫. ড. কামাল হোসেনের সরকার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করবে, তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করবে, তারেক জিয়াকেও মুক্ত ভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবে। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
৬. নির্বাচনে জয়ী হলে বর্তমান সংবিধান সংশোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৭. দুই বছর পর ড. কামাল বিএনপির কাউকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে পদত্যাগ করবেন।
জানা গেছে, এই গোপন চুক্তি আপাতত প্রকাশ করা হবে না। কেবলমাত্র নির্বাচনে জয়ের পরই এই চুক্তি প্রকাশিত হতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ
থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে)
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও
প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে
একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে,
বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং
আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু
মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে
অনুরোধ করেছে।
এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে
মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১
মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের
বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।
ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে।
৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ভারত নির্বাচন বিজেপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন