নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
মহানগর নাট্যমঞ্চে আগামীকাল ২২ সেপ্টেম্বর গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ডাকে সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্ট। সেই সমাবেশের জন্য প্রধান বক্তা হিসেবে বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ও যুক্তফ্রন্ট সভাপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সমাবেশে যাবেন কি যাবেন না সে ব্যাপারে এখনো কিছু নিশ্চিত করেননি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। যুক্তফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে, বি. চৌধুরী যেন সমাবেশে যান, সে ব্যাপারে তাঁকে রাজি করতে যুক্তফ্রন্টের নেতারা তাঁর বাসায় যাবেন এবং তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন।
ড. কামাল হোসেনকে যেহেতু বিএনপি তাদের নেতা মনোনীত করেছে, এবার বি. চৌধুরীকেও পাশে চাইছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা। বিশেষ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং জাসদের নেতা আ স ম আব্দুর রব চাইছেন বি. চৌধুরী যেন ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত থাকেন। তবে বি. চৌধুরী ঐক্যে থাকার ব্যাপারে এখনো মনস্থির করে উঠতে পারেননি। অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বি. চৌধুরী যদি আগামীকালের সমাবেশে যোগদান করেনও তবুও ঐক্য প্রক্রিয়ায় তাঁর থাকার বিষয়টি নিশ্চিত নয়। কারণ বি. চৌধুরী এর আগেও বহুবার এমন সভা-সমাবেশে গিয়েছেন কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছেন।
বিকল্পধারার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানাচ্ছে, নির্বাচনের ব্যাপারে বি. চৌধুরীর একটি বিকল্প চিন্তাভাবনা রয়েছে। নিজের বিকল্প চিন্তাভাবনায় নির্বাচনের বিষয়টিকে তিনি মুখ্যভাবে দেখছেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, একটি জায়গায় ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বড় অমিল রয়েছে। ড. কামাল হোসেন যেখানে চাচ্ছেন এই ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে, সেখানে বি. চৌধুরী এক স্বেচ্ছ্বাচারিতা থেকে মুক্ত হয়ে আরেক স্বেচ্ছাচারিতায় যেতে ইচ্ছুক নন। তাঁর কাম্য তৃতীয় শক্তির উত্থান।
তবে ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যাপারে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের আগামীকালের সমাবেশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কাল বি. চৌধুর নাগরিক ঐক্যের সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার পরই বোঝা যাবে ঐক্য প্রক্রিয়ার মেরুকরণ কীভাবে হতে যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ঐক্য প্রক্রিয়ার এটি কেবল প্রাথমিক স্তর। এখানে অনেকের অনেক রকম স্বার্থের জায়গা আছে, অনেকের অনেক রকম আদর্শের জায়গা আছে। মান্না বলেন, তাঁরা নুন্যতম একটি ইস্যুতে ঐক্যের পথ খুঁজছেন এবং আশা করছেন যে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের ব্যাপারে তাঁরা ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারবেন। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী সেই ঐক্যমত প্রক্রিয়ায় থাকবেন কী না জানতে চাওয়া হলে মান্না বলেন, বি. চৌধুরী থাকবেন কি থাকবেন না তা আগামীকাল সকালের মধ্যে স্পষ্ট হবে। তবে তাঁরা আশা করছেন বি. চৌধুরী অবশ্যই ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হবেন এবং এজন্য যুক্তফ্রন্টের নেতারা তাঁকে অনুরোধও করেছেন। প্রয়োজনে ড. কামাল হোসেন বি. চৌধুরীকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করবেন বলেও জানিয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।