নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৬ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বানে গত শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটের ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে খেলাফত মজলিসসহ ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল অংশ নেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক সংগঠনের তিনটি তালিকা সংরক্ষণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে সবুজ তালিকায় থাকে গণতন্ত্র চর্চাকারী দলগুলো। হলুদ তালিকায় থাকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসে জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহভাজন দলগুলো। আর লাল তালিকাভুক্ত হচ্ছে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের অভিযোগে নিষিদ্ধ সব দল। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লাল তালিকায় রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ফ্রিডম পার্টি।
যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে, হলুদ তালিকাভুক্ত অনেকগুলো রাজনৈতিক দল মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত শনিবারের সমাবেশে যোগ দিয়েছে যাদের মধ্যে খেলাফত মজলিস ছিল অন্যতম।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক এই দলগুলোর অন্তর্ভুক্তি নিয়েই অসন্তুষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তাদের আগেই কথা ছিল, দেশে যে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান তারা কামনা করে তাকে সেক্যুলার অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ধারার অনুসারী হতে হবে। এ কারণেই তারা শর্ত দিয়েছিল, নতুন জোটে থাকতে পারবে না জামাত। কিন্তু জাতীয় ঐক্যের নাগরিক সমাবেশে অন্যান্য উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জামাতের কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জামাতের পাশাপাশি মৌলবাদী চিন্তা-চেতনার দলগুলোর উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র যখন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে, নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত অন্তত দুটো দল তখন মার্কিন পতাকা পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত ছিল বলে চিহ্নিত করেছে দেশটি।
এসব কারণে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে অসন্তোষ জানিয়েছে এবং এই জোটের মধ্যে যেন কোনো উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক, মৌলবাদী রাজনৈতিক সংগঠন না থাকে সে ব্যাপারে ড. কামাল হোসেনকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তিতে এই জোটের ব্যাপারে নতুন করে আরেকটি জটিলতা সৃষ্টি হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।