ইনসাইড পলিটিক্স

মাঠ দখলের লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল রোববার সমাবেশ করল বিএনপি। ওই সমাবেশে দলটির শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। সবাবেশ থেকেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আজ পয়লা অক্টোবরও বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকেই মাঠে পাওয়া যায়নি। দেখা মেলেনি দলটির সিনিয়র নেতাদেরও। বিএনপি ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, আগের দিনের জনসভা করে নেতারা সবাই ক্লান্ত। পার্টি অফিসেও শীর্ষ নেতাদের তেমন একটা দেখা যায়নি। বক্তব্য ও সংবাদ সম্মেলন করে নিয়মিত মিডিয়ায় থাকেন- বিএনপির এমন নেতাদের মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকেই শুধু পার্টি অফিসে পাওয়া গেছে। বিএনপি ঘোষণা দিয়ে মাঠে না থাকলেও আজ সকাল থেকেই মাঠে দেখা গেছে আওয়ামী লীগকে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আজ আওয়ামী লীগের নেতারা জনসংযোগ চালিয়েছেন। জনসংযোগ হয়েছে রাজধানীর বাইরেও। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের বিস্তারিত তুলে ধরে জনগণকে আবার এই সরকার আনার আহ্বান জানিয়েছেন দলের নেতারা। এসব জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে রাজধানীর রাজনীতির মাঠ মোটামুটি গরম রেখেছে আওয়ামী লীগ। আর ধারাবাহিক কর্মসূচির কারণে চাঙ্গা আছে নেতাকর্মীরাও।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, আমরা জনসংযোগ অব্যাহত রাখবো। এখন থেকে নিয়মিত ভাবেই রাজধানীজুড়ে জনসংযোগসহ আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়। এই রায় নিয়ে বিএনপি জামাত দেশে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যই মাঠ দখলে রাখতে চান তারা। 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়কে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এমন ধারণা থেকেই আগামী ১০ অক্টোবর রাজধানীতে বড় আকারের শো ডাউনের কথা ছিল বিএনপিরও। সর্বশেষ বড় পরিসরে বিএনপি শো-ডাউন করেছে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় হয়। মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে নেওয়ার মুহূর্তে শো-ডাউন করে বিএনপি। তবে এরপরও পুলিশি প্রহরায় বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতের রায়ে দণ্ডিত হলে ওই দিন থেকেই কারাগারে আছেন বেগম জিয়া। চলতি মাসের তাঁর কারাবাসের ৮ মাস পূরণ হচ্ছে। বিএনপি ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ১০ অক্টোবরে ৮ ফেব্রুয়ারি চেয়েও বড় শো-ডাউন করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিএনপির নূন্যতম শো-ডাউন করতে পারবে কিনা তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।

বিএনপির শো-ডাউন হওয়া নিয়ে সংশয় মূলতঃ জামাতের কারণে। পূর্বে বিএনপির শো-ডাউনগুলোতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশই ছিল জামাতের। অনেকের মতে, সরকারের না থাকলে বিএনপির কর্মীদের মাঠে পাওয়াই যায় না। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি কারণে জামাত ও এর নেতাকর্মীদেরও পাশে পাচ্ছে না বিএনপি।

সম্প্রতি জামাতকে একপ্রকার ত্যাগ করেই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দেয় বিএনপি। বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, বৃহত্তর স্বার্থেই তারা ঐক্য প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন এবং ত্যাগ স্বীকার করছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিএনপি জামাত ত্যাগ না করলেও দলের নেতাদের মতিগতির কারণে জামাত-বিএনপির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই সম্প্রতি বিএনপির কর্মসূচিতে জামাতের কর্মীদের তেমন একটা দেখা যায় না। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশেও জামাতের কর্মীদের তেমন চোখে পড়েনি। জামাতের নেতারা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা জীবন দেই, আমরা রাস্তার আন্দোলন করি, আর আমাদেরই পাত্তা নাই।

জামাত ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, আগামী ১০ অক্টোবর বিএনপি পরিকল্পিত শো-ডাউন নিয়ে জামাত অনেকটাই নিঃস্পৃহ। সেখানে জামাতের কর্মীদের অংশগ্রহণের আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।

অপরদিকে, বিএনপির মাঠ গরম করার কর্মীরা, যাঁদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মামলা আছে, সেই মামলাগুলো আবার সচল করছে সরকার। এর ফলে গ্রেপ্তার হচ্ছেন তাঁরা। এরই মধ্যে মামলার আসামি এমন অনেক বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর গ্রেপ্তারের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন অনেকে। আগামী শো-ডাউনে তাঁদেরও মাঠে পাচ্ছে না বিএনপি।

এছাড়া, ৩০ তারিখ পর্যন্ত সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। বলেছিল, এরপর তারা কর্মসূচি দেবে। কিন্তু ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ঐক্য প্রক্রিয়ার দুই প্রধান নেতাই ইতিমধ্যে পিছুটান দিয়েছেন। ১০ অক্টোবর যে ঐক্য প্রক্রিয়াকেও পাশে পাচ্ছে না, তাও ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন বিএনপি নেতারা। 

আর এসব কারণে ১০ অক্টোবর বিএনপির শো-ডাউনের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে।

অপরদিকে, গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী জুড়ে নানা সমাবেশ, ১৪ দলের সমাবেশ এবং সর্বশেষ আজ দিনব্যাপী রাজধানীর বিভিন্ন অংশে জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে ঢাকার নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর রাজধানী ব্যাপী কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ঢাকায় বিএনপির কোনো কর্মসূচি করা কঠিন হয়ে পড়বে।

আওয়ামী লীগ মনে করছে, ১০ অক্টোবর রায় হয়ে গেলে, রাজনৈতিক গতিপথ স্পষ্ট হবে। ওই সময় বড় কিছু করতে না পারলে নির্বাচনের সড়কই ধরবে বিএনপি।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তাপদাহে স্থগিত বিএনপির সমাবেশ শুক্রবার

প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশ আগামী শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: কাদের

প্রকাশ: ০৮:৫৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ বছরও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৩ জুন আলোচনা সভায় নেতাদের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা আমাদের সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও দাওয়াত করা হবে। তবে বাস্তবতার কথা বিবেচনা করেই আমরা চিন্তাভাবনা করছি বিদেশি অতিথিদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না।’

তিনি বলেন, ‘বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা পার্টির হীরকজয়ন্তী উদযাপন করব। ব্যাপকভাবে এটা সংগঠিত করার চিন্তাভাবনা করছি। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে থাকবে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি। বিদ্যুতের সংকটের কথা বিবেচনা করে আলোকসজ্জা বাদ দিয়েছি। আনন্দ র‍্যালি করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৩ জুন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা হবে। আলোচনা সভার আগে আধাঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দুপুরে সব ধর্মালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সবুজ ধরিত্রী কর্মসূচি নিয়েছি। সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৭ মে সকালে নেতাদের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হবে। দুপুরে সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা হবে। বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস কার্যালয়ে আলোচনা সভা করা হবে। আগের দিন ১৬ মে দুপুরে অসচ্ছল গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে আলোকসজ্জার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়েছে।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী   বিএনপি   ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলাতেও আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাগজে কলমে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছেন না। নৌকা প্রতীক ছাড়াই আওয়ামী লীগের এমপিরা যে যার মতো করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন। ১৫০ টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮ মে এই নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আজ মধ্যরাত থেকেই নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচনে প্রথম দফায় যে দেড়শটি উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে সেখানে লড়াই হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই। এ সব উপজেলা নির্বাচনে ১৫০ টি উপজেলার মধ্যে ৫৮ টিতে বিএনপির প্রার্থীরা রয়েছেন। তবে একাধিক স্থানে বিএনপিরও একাধিক প্রার্থী রয়েছে। গড়ে প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনজন করে। যেখানে যেখানে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হচ্ছে অর্থাৎ সমঝোতার মাধ্যমে মন্ত্রী এবং এমপিরা তাদের নিজস্ব ব্যক্তিদেরকে প্রার্থী করেছেন এবং অন্য প্রার্থীদেরকে বসিয়ে দিয়েছেন এরকম প্রায় ৬৭ টি উপজেলায় এবার নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই হবে তীব্র। কোথাও কোথাও এই লড়াই সহিংস রূপ নিয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন উপজেলায় সহিংসতা দেখা যাচ্ছে। মূলত উপজেলা নির্বাচনে লড়াই হচ্ছে মন্ত্রী-এমপিদের মাইম্যান বনাম আওয়ামী লীগের তৃণমূলের। 

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা তাদের মাইম্যানদেরকে নির্বাচিত করার জন্য মাঠে নেমেছেন। যদিও নির্বাচন কমিশন বারবার ঘোষণা করছে যে, মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না বা প্রচারণা চালালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের কলকাঠি মন্ত্রী-এমপিরাই নাড়ছেন। তারা এলাকায় যাচ্ছেন না, সরাসরি নির্বাচনে প্রচারণা করছেন না- এটা যেমন সত্য। কিন্তু পাশাপাশি এটাও সত্য যে, তাদের সমর্থক, কর্মী এবং নিজস্ব লোকজনদেরকে তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য মাঠে নামিয়েছে। ঢাকায় বসেই মন্ত্রীরা নির্বাচনের তদারকি করছেন, নিশ্চিত করতে চাইছেন যে, নিজের পছন্দের ব্যক্তি যেন জয়ী হয় অন্যদিকে তৃণমূলের জন্য এই নির্বাচন একটি অগ্নিপরীক্ষা। অস্তিত্বের পরীক্ষাও বটে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন যে, দলের ভিতর যে জমিদারতন্ত্র এবং আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মন্ত্রীদের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার একটাই রাস্তা, সেটি হল নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এবং জয়ী করে দেওয়া। 

এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যে আবহ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলায় তাতে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোটামুটি নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে এজন্য ওপর থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোন মন্ত্রী-এমপির বা কোন প্রার্থীর পক্ষে যদি কেউ কাজ করে তাহলে না বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সাফ ঘোষণা করা হয়েছে। আর একারণ বাস্তবতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউই ঝুঁকি নিতে রাজি হচ্ছেন না। প্রশাসনও নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কারণ নির্বাচন কমিশনের নজরদাবি রয়েছে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনে মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছে মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব লোক নাতি তৃণমূল আওয়ামী লীগ। আর প্রথম ধাপের ফলাফল কী হয় সেটি বুঝা যাবে ৮ মের পর। 

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সৌদিতে ফখরুল-ফালুর রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে তোলপাড়

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সস্ত্রীক সৌদি আরবে গেছেন। সেখানে তিনি ওমরাহ পালন করার জন্য গেছেন বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আগামী ৮ মে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবে ওমরাহ’র ফাঁকে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে এক সময়ের বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এবং বেগম জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি মোসাদ্দেক আলী ফালুর বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, সৌদি আরবে অবস্থানরত মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সেই বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রীও ছিলেন।

তবে সৌদি আরবের প্রবাসী বিএনপির নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন যে, যেহেতু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরব সফরে গেছেন এবং যেহেতু তিনি মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠ পূর্বপরিচিত ও রাজনৈতিক সহকর্মী, সে কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সপরিবারে নৈশভোজে দাওয়াত দিয়েছিলেন। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ফালুর বৈঠক লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ইতিবাচকভাবে দেখছেন না। তারেক জিয়ার সঙ্গে ফালুর বিরোধের খবর বিএনপিতে অজানা নয়। বিশেষ করে তারেক জিয়ার অনাগ্রহ এবং আপত্তির কারণেই মোসাদ্দেক আলী ফালু রাজনীতি ছেড়েছেন বলেই অনেকে মনে করেন।

মোসাদ্দেক আলী ফালু ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার দেহরক্ষী। পরে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সেই ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরেই ১৯৯১ সালে বেগম জিয়া ক্ষমতায় আসার পর তাকে একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। একান্ত সচিব হলেও ক্ষমতাকেন্দ্রে মোসাদ্দেক আলী ফালু তখন থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।

অনেকেরই ধারণা যে, বেগম খালেদা জিয়ার যে অবৈধ সম্পদ তার একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে মোসাদ্দেক আলী ফালু। মোসাদ্দেক আলী ফালু বাংলাদেশে এনটিভির মালিক। আইএফআইসি ব্যাংকে তার শেয়ার রয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু শিল্প কলকারখানায় তার বিনিয়োগ রয়েছে। এই সমস্ত বিনিয়োগের অর্থ বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে পাওয়া বলে একাধিক সূত্র দাবি করে। যদিও এ ব্যাপারে মোসাদ্দেক আলী ফালু সবসময় অস্বীকার করে আসছিলেন।

এক এগারোর সময় দুর্নীতির অভিযোগে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তিনি জামিনে মুক্তি পান এবং এই মামলাগুলো যখন বিচারিক আদালতে ওঠে তখন ফালু পালিয়ে সৌদি আরবে যান। এখনও তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

এর মধ্যে বিএনপিতেও তার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যায়। তারেক জিয়া যখন বিএনপিতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হন, তখন মোসাদ্দেক আলী ফালুকে অপাংক্তেয় করা হয়। তাকে একটি অসম্মানজনক পদ দেওয়া হয়েছিল সর্বশেষ কাউন্সিলে। এই পদ প্রাপ্তির পর মোসাদ্দেক আলী ফালু অভিমান করেন এবং তিনি বিএনপি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগ করেন। যদিও ফালুর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এখনও খালেদা জিয়ার সমর্থকরা এবং তারেক জিয়া বিরোধীরা নিয়মিত মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বিপদে আপদে তিনি সহযোগিতা করেন বলেও জানা গেছে।

ফালুর একটি আলাদা প্রভাব বলয় রয়েছে বিএনপিতে। সাম্প্রতিক সময়ে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে যখন বিএনপির অনেকেই সোচ্চার, বিশেষ করে তার অদূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন, তখন অনেকেই নতুন করে ফালুর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ব্যয় ছাড়াও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ মোসাদ্দেক আলী ফালুই করে থাকেন বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করে।

আর এই কারণেই বিএনপিতে ফালু না থেকেও আছেন। ফালু এখনও বিএনপিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী বলেই অনেকে মনে করেন। আর এ কারণেই তারেক জিয়ার চক্ষুশূল মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক নতুন করে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন তারেক জিয়ার উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। আর একারণেই ফালুর সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠতা তিনি ঝালাই করে নিলেন।

তবে অনেকেই মনে করেন যে, এটি একটি স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ। বিদেশে গেলে নিকটজনের সাথে সাক্ষাৎ করলে একটা অন্যরকম আমেজ পাওয়া যায়। সেজন্যই ফালুর সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল।


তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   মোসাদ্দেক আলী ফালু   বিএনপি   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা: নেপথ্যে নোয়াখালীর রাজনীতি?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনগুলোতে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা অংশগ্রহণ করতে পারবে না মর্মে একটি নির্দেশনা জারি করেছিল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই নির্দেশনাটি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন এবং যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু হাতে গোনা দু একজন ছাড়া অধিকাংশই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই নির্দেশনা শোনেননি।

এরপর গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আত্মীয় স্বজনের বিষয়টি ব্যাখ্যা দেন এবং এ ব্যাপারে তার অবস্থান তিনি জানিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যায় দেখা যায় যে, আত্মীয় স্বজন বলতে তিনি মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যাদের কথাই বুঝিয়েছেন এবং তারা যেন একই পরিবার থেকে সবগুলো জায়গায় প্রার্থী না হন সেরকম একটি বার্তা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। এটি একটি সতর্কবার্তার মত, কোন নিষেধাজ্ঞা নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন ইস্যুটিকে জমিয়ে তুলেছিলেন এবং এ নিয়ে তিনি কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছিলেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, এর পিছনে নোয়াখালীর রাজনীতি কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওবায়দুল কাদেরকে এই আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না- এ বিষয়ে অত্যন্ত সরব এবং সক্রিয় দেখা গেছে। এটির নেপথ্যের কারণ জাতীয় রাজনীতির চেয়ে নোয়াখালীর রাজনীতি বেশি বলেই বিভিন্ন মহলের ধারণা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় নেতা এবং আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু নোয়াখালীর রাজনীতিতে তিনি অনেকটাই কোণঠাসা। নোয়াখালীর রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী একরামুল করিম চৌধুরী। একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে এবার নির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন। তার ছেলে যদি উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় তাহলে একরামুল করিম চৌধুরীর পরিবারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হবে নোয়াখালীতে। এরকম একটি শঙ্কা থেকে ওবায়দুল কাদের চাননি যে, একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হোক। তার প্রার্থীতার ঠেকানোর জন্যই কি আত্মীয় স্বজনদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী না করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উদ্যোগী হয়েছিলেন, অনেকেই এখন এই প্রশ্নটাই করছেন।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, বিষয়টি তেমন নয়। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন এবং বিভিন্ন স্থানে মাই ম্যানদেরকে প্রার্থী করছেন। আবার কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা তাদের নিজের আত্মীয়স্বজনকে প্রার্থী করে এলাকায় নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এর বিরোধীতার জন্যই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অবস্থান নেওয়া হয়েছে।

তবে নোয়াখালীর রাজনীতির জটিল সমীকরণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, একরামুল করিম চৌধুরী প্রার্থী হওয়ার সাথে সাথে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই এবং তার আরেকজন নিকটতম আত্মীয় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। যদিও তার ভাইয়ের মনোনয়ন ইতোমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে।

কিন্তু নোয়াখালীর রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদের এবং একরামুল করিম চৌধুরীর বিরোধ নতুন নয়। এর আগেও ২০০১ সালে এ বিরোধ প্রকাশ্য ছিল এবং সেই সময় একরামুল করিমের বিরোধীতার কারণে ২০০১ এর নির্বাচনে ওবায়দুল কাদের প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আমাদের কাছে পরাজিত হন। এখনও ওবায়দুল কাদেরের জন্য একরামুল করিম একটা বড় ফ্যাক্টর।

তাহলে কি একরামুল করিমের নোয়াখালীতে আধিপত্য ঠেকানোর জন্যই আত্মীয় স্বজনদেরকে নির্বাচনে দাঁড়ানো যাবে না এমন একটা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছিল? অবশ্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোন ব্যক্তিকে ঠেকানোর জন্য নয়, এটি আওয়ামী লীগের একটি নৈতিক এবং নীতিগত অবস্থান।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী   আওয়ামী লীগ   একরামুল করিম চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন