নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৮ অক্টোবর, ২০১৮
বৃহত্তর ঐক্য, জাতীয় ঐক্য কিংবা সরকার বিরোধী ঐক্য যে নামেই ডাকা হোক না কেন, নতুন মোর্চার লক্ষ্য একটাই- সরকারের পতন। গতকাল রোববার রাতে বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ড. খন্দকার মোশাররফের বাসায়। এই বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছে, তার মোদ্দাকথা হলো বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার নীতিগত অবস্থান। আরও নির্দিষ্ট করে বললে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার অবস্থান। ঐ বৈঠকে দুজন প্রাক্তন আওয়ামী লীগ নেতাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার। বৈঠকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আর যাই হোক শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে কোনোভাবেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’ আরেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রায় একই সুরে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে সরতেই হবে।’ দেখা যাচ্ছে, সরকার বিরোধী ঐক্যে যে তিনজন সবচেয়ে উদ্যোগী তাঁরা তিনজনই প্রাক্তন আওয়ামী লীগার। আর এরাই সবচেয়ে বেশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সোচ্চার। মান্না আর সুলতান ছাড়া তৃতীয় ব্যক্তিটি হলেন ড. কামাল হোসেন। ড. কামাল হোসেনের সামনে যেন আর কোনো ইস্যু নেই। যুদ্ধাপরাধের বিচার, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি সবই তাঁর কাছে তুচ্ছ। তাঁর কাছে ইস্যু একটাই, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো। জাতীয় ঐক্যের অন্যান্যরা শেখ হাসিনার ব্যাপারে যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তাঁকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলেন। কিন্তু এই তিনজন যেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অজানা আক্রোশে ফেটে পড়েন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, শেখ হাসিনার উপর কেন এত রাগ।
৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ড. কামাল হোসেনকে শেখ হাসিনাই পুনর্বাসিত করেছিলেন। ৮১’তে তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করেছিলেন শেখ হাসিনাই। আওয়ামী লীগে তখন বাম ঘেঁষারা অনেক শক্তিশালী ছিলেন। আবদুর রাজ্জাকের মতো নেতারা চাননি ড. কামালকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বাকশাল থেকে আওয়ামী লীগে এলে শেখ হাসিনাই তাঁকে ছাত্রলীগের সভাপতি করেন। ডাকসুর ভিপি পদে তাঁকে মনোনয়ন দেন। এই সুলতানই ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
জাসদ, বাসদ থেকে মাহমুদুর রহমান মান্না যখন একজন উদ্বাস্তু রাজনীতিবিদ তখন তাঁকে আওয়ামী লীগে নিয়ে আসেন শেখ হাসিনাই। মান্নাও ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু চেয়েছিলেন।
এদের প্রত্যেকের রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা কিছু না কিছু উপকার করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে শেখ সাদীর একটি গল্প মনে পড়ে। বাজারে দাঁড়িয়ে একজন লোক শেখ সাদীকে গালাগালি করছিল। একজন পথচারী তা শুনে এসে শেখ সাদীকে জানালেন। শেখ সাদী ওই লোকটির পরিচয় জেনে একটু অবাক হলেন। বললেন, ‘জানামতে আমি তো তাঁর কোনো উপকার করিনি।’ উপকার করে, তিনিই সবচেয়ে বেশি আক্রোশের লক্ষ্যবস্তু হন। শেখ হাসিনা এদের উপকার করেছিলেন জন্যই কি এঁদের এত রাগ?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।