নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় আসবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগাম শুভেচ্ছা জানান সৌদি বাদশাহ। সৌদি বাদশাহ আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ যে বিস্ময়কর সাফল্য লাভ করেছে, উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য শেখ হাসিনা আবারও দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন।
শুধু সৌদি আরবই নয়, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতগুলো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন, সবগুলো সফরেই বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা আগাম অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে আবার জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা আবার সরকারপ্রধান হবেন এমন আশা প্রকাশ করছেন তাঁরা।
প্রশ্ন উঠতেই পারে কেন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে আবার বাংলাদেশের নেতৃত্বে চান বিশ্বনেতারা। উত্তরটা খুব সহজ। সারাবিশ্বে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বিশ্বের যেসব দেশ আজ উন্নয়নের পথ খুঁজছে তাদের কাছে অনুকরণীয় বাংলাদেশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কী হবে তা ঠিক করবে জনগণ। জনগণের ভোট হবে ঠিক হবে আগামী বাংলাদেশের সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি সফল দেশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। এজন্য বিশ্বনেতারা মনে করেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যই শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশকে তুলনা করা যায় মাহাথির নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ার সঙ্গে। লি কুয়ানের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের সঙ্গে তুলনা চলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের। মাহাথির মোহাম্মদ ও লি কুয়ান যেমন মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের প্রতীক তেমনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা যেন সমর্থক শব্দে পরিণত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এমন একটি মার্যাদার স্থানে নিয়ে গেছেন যেখান থেকে বাংলাদেশকে কেউ এখন আর অবহেলা করতে পারবে না, তাচ্ছিল্য করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা এমন একজন নেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, যিনি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বনেতার মর্যাদায় আসীন হয়েছেন। গত বছর রোহিঙ্গা সংকটে শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকা তাঁকে বিশ্বনেতার মর্যাদা দিয়েছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে যেখানে বিশ্বের উন্নত বিশ্বের দেশগুলো পিছপা হয়। সেটিই প্রধানমন্ত্রী করেছেন অবলীলায়। লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাবিশ্বে যেখানে মাত্র ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ছড়িয়ে আছে, সেখানে এক বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পেয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বিশ্ব শান্তি ও মানবতার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি মুসলিম দেশের নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি দেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। সারাবিশ্বে যেখানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামকে একটি শান্তির ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী যেমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, তেমনি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন একদিকে উন্নয়নের রাজনীতি করছেন, অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একটি রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করছেন বাংলাদেশকে। প্রাচ্য ও পশ্চাত্যের মেলবন্ধন হিসেবে দেখা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বিশ্বব্যাপী প্রমাণ করেছেন ইসলাম ও উন্নয়ন পরস্পর বিরোধী না। ইসলাম মানেই যে ধর্মান্ধতা নয়, তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর শান্তিবাদী দর্শনের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বার্তা দিচ্ছেন, শান্তিই হলো উন্নয়নের সবচেয়ে বড় সমাধান সূত্র।
শেখ হাসিনাই সম্ভবত প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান যিনি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণা ও অনুকরণীয় অনন্য ব্যক্তিত্ব। শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, সারাবিশ্বেই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী শান্তিবাদী রাজনীতির জন্য শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন। আর এসব কারণেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের নেতৃত্বে আবার দেখতে চান বিশ্বনেতারা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের
সুযোগ দিতে চাচ্ছে বিএনপি। সেক্ষেত্রে ভোট থেকে সরে এসে ক্ষমা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
বরাবর আবেদন করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে তার
সরে আসার খবর জানাতে হবে।
গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর শান্তিনগরে বিএনপির উদ্যোগে
পথচারীদের মধ্যে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতারা নির্বাচন থেকে
সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনো সুযোগ আছে যারা নির্বাচন
থেকে সরে দাঁড়াবেন, দল তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল
শনিবার আরো তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষৃ্কতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর
জেলার হালুয়াঘাট বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নম্বর
পৌর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির
উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।
একই কারণে এর আগের দিন শুক্রবার ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় পৌরসভায় একজন এবং ইউনিয়ন পরিষদে আটজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২১ এপ্রিল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৮৫ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন রুহুল কবীর রিজভী
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা
পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।
রোববার (২৮ এপ্রিল) শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার মনে হয় এরা (বিএনপি) পড়াশোনা করে না।
কথাটা বলেছেন (বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরীফ। পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের
উন্নয়ন দেখতে পায়। পাকিস্তান একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত। এতে রিজভীদেরই লজ্জা
পাওয়া উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে। শেহবাজ শরীফ যা দেখে সেটাও দেখে
না। তারা (বিএনপি) কেন দেখে না সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন’।
জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা
গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে।
ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে,
কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫'এর ১৫ আগস্টের
হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদত দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও
ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ
করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে
দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে’।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি শেখ জামাল নানী কবরস্থান
মন্তব্য করুন
জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের
প্রায় ১০০ পদে সাধারণ ও শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ রোববার (২৮ এপ্রিল)
সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের
(ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, স্থানীয় সরকারের ১৯টি ইউনিয়নে
চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া
দুইটি পৌরসভায় মেয়র ও দুইটি জেলা পরিষদে কাউন্সিলর এবং ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন
শূন্যপদে উপনির্বাচন হচ্ছে। এ ছাড়া সাতটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর
পদে।
এর মধ্যে নীলফামারীর জলঢাকা ও রাজশাহীর
কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচন হচ্ছে। পাশাপাশি সাত পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড
কাউন্সিলরের শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে– ঠাকুরগাঁও পৌরসভার
৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, খুলনার চালনার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর,
গাইবান্ধা পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নওগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত
ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নোয়াখালীর কবিরহাটের ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর, টাঙ্গাইলের
কালীহাতির ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার ৮ নম্বর
সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
যে ১৯ ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে–
লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ;
দিনাজপুরের আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়া; পটুয়াখালীর কমলাপুর ও ভুরিয়া;
বরগুনার আমতলী; সাতক্ষীরার আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও,
ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও পোকখালী।
গত ২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার
ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে ইসি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে বাকি ইউপির
ভোট হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন জেলা পরিষদ পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
এবার উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন এবং নিজস্ব
পছন্দের ব্যক্তিদেরকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন এবং তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার
করে তাদের মাই ম্যানদেরকে জয়ী করার জন্য চেষ্টাও চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়
নেতৃত্বের নজর এড়ায়নি প্রসঙ্গটি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে
এ ব্যাপারে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মন্ত্রী-এমপিরা
এলাকায় তাদের আধিপত্য বজায় রাখা এবং নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য মাই ম্যানদের
প্রার্থী করেছেন। কেউ আত্মীয় স্বজনকে, কেউ নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী
করেছেন। আর এই প্রার্থী করার ফলে এলাকার মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অসন্তোষ, ক্ষোভ
এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
আর আওয়ামী লীগ দলগতভাবে যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা দলীয় প্রতীক
ব্যবহার করবে না এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন নির্দেশনা দিয়েছেন যে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা
প্রার্থী হতে পারবেন না, তখন মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের বিরুদ্ধে একটি গণ প্রতিরোধ
গড়ে উঠেছে উপজেলার নির্বাচনগুলোতে।
একাধিক উপজেলায় দেখা গেছে, মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর
বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়েছে এবং স্থানীয় তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীর
পক্ষে তারা কাজ শুরু করেছেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের নিজেদের প্রার্থী
দিয়েছেন তারা এখন নিজস্ব বলয়ের বাইরে মূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাচ্ছেন না।
অবশ্য কোন কোন উপজেলায় আগেই প্রভাব বিস্তার শেষ করে ফেলেছেন মন্ত্রী-এমপিদের
প্রার্থীরা। তারা কোথাও কোথাও একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু যে সমস্ত
এলাকায় এটা সম্ভব হয়নি, যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী সেই সমস্ত এলাকাগুলোতে আওয়ামী
লীগের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে পড়ছেন উপজেলার প্রার্থীরা। ফলে শেষ পর্যন্ত যদি উপজেলা
নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ থাকে তাহলে বেশিরভাগ
উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের ভরাডুবি ঘটবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন উপজেলায় যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন,
যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য
নির্দেশনা দিয়েছেন, কাজেই মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটা হল একেবারেই
দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন এবং এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ
করাটা নেতাকর্মীদের দায়িত্ব।
আর এ কারণেই নেতাকর্মীরা এখন মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর
বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন এবং তারা তাদের বিকল্প প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর ফলে
উপজেলা নির্বাচন একটি নতুন মাত্রা এবং প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করেছে।
উপজেলা নির্বাচন গণ প্রতিরোধ মন্ত্রী-এমপি মাই ম্যান
মন্তব্য করুন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবার বেকায়দায়
পড়েছেন। ডিবিসি চ্যানেলের রাজকাহন অনুষ্ঠানে একটি বক্তব্য দিয়ে বিএনপির নেতাদের তোপের
মুখে পড়েছেন তিনি। আর তোপের মুখে পড়ে যথারীতি ইউটার্ন নিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি এটি
বলেননি।
কিন্তু সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ভুলে গেছেন যে, ডিবিসির রাজকাহনে
প্রচারিত তার বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে। সেখানে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যা বলেছেন
সেটি প্রচারিত হচ্ছে। সেটি বিকৃত করার কোন সুযোগ নেই। তিনি কোন সাক্ষাৎকার দেননি বা
তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিকের কাছে মৌখিকভাবে এ বক্তব্য দেননি। তিনি দিয়েছেন সরাসরি
টেলিভিশনে এবং এটি লাইভ প্রচারিত হয়েছে। শুধুমাত্র লাইভ প্রচারিতই নয়, বরং এই বক্তব্য
এখন ইউটিউবে ভাসছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রাজকাহনে কী বলেছেন তা একটু দেখে নেওয়া যাক।
তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি
কি না সে বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। তিনি জানান, প্রয়োজনে বেগম জিয়া এবং তারেক
রহমানের পক্ষ থেকে কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে। যারা তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নেবে।
আলালের এই বক্তব্য বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এই বক্তব্য সম্পর্কে আলালের
কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন বলেও জানা যায়। এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও
জানতে চান যে, কেন আলাল এই ধরনের কথা বললেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন যে, বিএনপিতে
বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়ার বিকল্পের কোন ভাবনা নেই এবং এ ধরনের কোন আলোচনাও হয়নি।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে
তারেক জিয়া যথেষ্ট যোগ্যতা এবং পরিপক্কতার সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের বাইরে বিএনপিতে
সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন না গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এই বক্তব্য যখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে
প্রকাশিত হয়েছে তখন আলাল তোপের মুখে পড়েছেন। আলালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে
কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও দলের ভিতর তিনি ব্যাপক তিরস্কার
এবং ভর্ৎসনার মুখোমুখি পড়ছেন।
এরকম পরিস্থিতিতে অন্যান্য রাজনীতিবিদরা যা করেন, আলাল সেই একই
কাণ্ড করেছেন। তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে এরকম বক্তব্য
তিনি দেননি। তার বক্তব্য, মিথ্যা এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও মোয়াজ্জেম হোসেন
আলাল তার এক প্রতিবাদ বার্তায় বলেছেন। অথচ বক্তব্যটি এখনও ডিবিসিতে রাজকাহন অনুষ্ঠানে
পাওয়া যাচ্ছে।
তাছাড়া বিএনপির নেতারাও এই বক্তব্যগুলো দেখেছেন। যে কারণে আলালের
এই প্রতিবাদ বা তিনি এ ধরনের কথা বলেননি বলে যে মন্তব্য করছেন তা তারেক জিয়া বা অন্য
নেতাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। এই বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ার কারণে বেকায়দায় পড়েছেন
বিএনপির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সামনের দিনগুলোতে এখন বিএনপি আলালের ব্যাপারে কী
সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখার বিষয়।
উল্লেখ্য, এর আগে বিতর্কিত বক্তব্য রেখে বিএনপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ
নেতাই দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। যাদের মধ্যে শওকত মাহমুদ অন্যতম। আলালকেও সেই পরিণতি
বরণ করতে হবে কী না সে নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।
বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। রোববার (২৮ এপ্রিল) শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এবার উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন এবং নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন এবং তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে তাদের মাই ম্যানদেরকে জয়ী করার জন্য চেষ্টাও চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর এড়ায়নি প্রসঙ্গটি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে এ ব্যাপারে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের আধিপত্য বজায় রাখা এবং নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য মাই ম্যানদের প্রার্থী করেছেন। কেউ আত্মীয় স্বজনকে, কেউ নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। আর এই প্রার্থী করার ফলে এলাকার মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অসন্তোষ, ক্ষোভ এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবার বেকায়দায় পড়েছেন। ডিবিসি চ্যানেলের রাজকাহন অনুষ্ঠানে একটি বক্তব্য দিয়ে বিএনপির নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। আর তোপের মুখে পড়ে যথারীতি ইউটার্ন নিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি এটি বলেননি। কিন্তু সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ভুলে গেছেন যে, ডিবিসির রাজকাহনে প্রচারিত তার বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে। সেখানে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যা বলেছেন সেটি প্রচারিত হচ্ছে। সেটি বিকৃত করার কোন সুযোগ নেই। তিনি কোন সাক্ষাৎকার দেননি বা তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিকের কাছে মৌখিকভাবে এ বক্তব্য দেননি। তিনি দিয়েছেন সরাসরি টেলিভিশনে এবং এটি লাইভ প্রচারিত হয়েছে। শুধুমাত্র লাইভ প্রচারিতই নয়, বরং এই বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে।