নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০১৮
সম্প্রতি লাইভ এক টকশোতে নারী সাংবাদিকের প্রতি অশোভন আচরণ ও কটূক্তি করে দেশজুড়ে সমালোচিত নবগঠিত ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এজন্য এখনো তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাননি। এমনকি এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তিনি অনুতপ্ত এমন কোনো মনোভাবও প্রকাশ্যে দেখাননি। তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে ব্যর্থ হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম নেতা ড. কামাল। এবার তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে ব্যর্থ হলেন ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ ব্যারিস্টার মইনুলকে ফোন দিয়েছিলেন। বলেছেন, আমারও মেয়ে আছে। আপনার কথায় অস্ট্রেলিয়ায় থাকা আমার মেয়েও লজ্জিত হয়েছে। ঐক্যের সবাই বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন। আপনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টির সমালোচনা বন্ধ করুন। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেন ব্যারিস্টার মইনুল। তিনি কোনো ক্ষমা চাইবেন না বলেই জানান।
এর আগে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনও ব্যারিস্টার মইনুলকে ক্ষমা চাইতে বলে ব্যর্থ হন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ দুই নেতার দলহীন ব্যারিস্টার মইনুলকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে ব্যর্থ হলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, তাহলে কার কথা শুনবেন ব্যারিস্টার মইনুল।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর রাতে একাত্তর টেলিভিশনের একাত্তর জার্নাল নামের সংবাদভিত্তিক এক টকশোতে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে অংশগ্রহণ করেছেন? এর উত্তরেই মাসুদা ভাট্টিকে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনি চরিত্রহীন বলে মনে করতে চাই।’ অবশ্য মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল প্রাসঙ্গিক, কারণ এর মাত্র দুদিন আগে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন এবং সেখানে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে শিবিরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। ব্যারিস্টার মইনুলের ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুঁজলে এখনো পাওয়া যায়। আর মাসুদা ভাট্টিকে লাইভ টকশোতে চরিত্রহীন বলার পর ক্ষমা না চেয়ে বরং নিউ নেশন নামের একটি পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে এক বিবৃতি দিয়েছেন মইনুল হোসেন। সেই বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার পূর্বাপর যে বিশ্লেষণ করেছেন, তা এক প্রকারের আত্মপক্ষ সমর্থন। মইনুল হোসেন বিবৃতিতে বলেছেন, ফেসবুকসহ নানা রকম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ঐ নারী সংবাদ কর্মী সম্পর্কে অনেক খারাপ তথ্য পেয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, খারাপ তথ্য পেলেই কি একজন সংবাদ কর্মীকে, একজন নারীকে কুৎসিত অরুচিকর কথা প্রকাশ্যে বলা যায়। অবশ্য ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সবসময় এধরনের অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ এবং নোংরা ভাষায় কথা বলার জন্য প্রসিদ্ধ।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।