নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০৭ নভেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফার সংলাপে ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের জন্য এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া দরকার। তবে এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে এবং নির্বাচন পিছিয়ে দিলে কারও কোনও ক্ষতি হবে না। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে মার্চ মাসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন এবং তিনি বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনও সুযোগ নাই এবং সংবিধান এটার অনুমোদন করে না। আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুণ, আপানারা দেখেন যে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে কি না? আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, কাজেই জনগণের ভোটের অধিকার নষ্ট হয়, এমন কোনও কিছু আমরা করবো না।
আজ বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসেন। বেলা সোয়া ২ টার দিক সংলাপ শেষ হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।