নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে দল সরকার গঠন করবে সে দলের নেতৃত্বেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন হবে। একই সঙ্গে ওই দলের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের বিজয়ের রজত জয়ন্তীও পালন করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সব বক্তব্যেই এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আমরা সবাই জানি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, একে অপরের পরিপূরক। জাতির পিতা ছাড়া যেমন স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ, তেমনি স্বাধীনতা মানেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বিবেচনায় এবারের নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ভূমিকা কি হবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা এবং ইমেজই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান ভরসা। নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যরা এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকে নির্বাচন করার জন্য গোপালগঞ্জের জনসাধারণ বারবার দাবি তুলছে যে। কিন্তু তিনি নির্বাচন করবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি নির্বাচন না করলেও নির্বাচনের প্রচারনা এবং নীতি নির্ধারনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে। তিনি ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে এসেছেন। অতীতে বিভিন্ন সময় সংকটে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতিকে যেভাবে পরামর্শ ও সাহস জুগিয়েছেন এবারের নির্বাচনেও তিনি একই কাজ করবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
এবারের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এটিই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ নির্বাচন। তিনি সত্তর পেরিয়েছেন এবং নিজেই বলছেন, এবারের পর তিনি আর নির্বাচন করতে চান না। এরপর অবসর জীবন যাপন করতে চান তিনি। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য উত্তরাধিকার মনোনয়ন এবারের নির্বাচনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
আমরা যা-ই বলি না কেন, শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পরিবারই আওয়ামী লীগকে অটুট ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখতে পারে। তাই এই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার কে হবেন তা নির্ধারন করা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই চট জলদি করে কোনো উত্তরাধিকারের নাম বলতে রাজি নন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান। দুজনেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এবং সৃষ্টিশীল বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে পুরোধা পুরুষের ভূমিকা পালন করেছেন। একইভাবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশেষ করে অটিজম ইস্যুতে শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই দুজন সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হলেও নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে সজীব ওয়াজেদ জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা কৌশল প্রনয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একই সাথে তিনি বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ গ্রহণ করবেন। তরুনদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ২০০৮ এর নির্বাচনেও প্রচারনায় অংশ নিয়েছিলেন। সেবারের নির্বাচনে তিনি জনগণের মধ্যে বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিলেন।
এবারের নির্বাচনের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিকের মধ্যে একটি হলো, তারুণ্যের প্রভাব। এবারে নির্বাচনে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ তরুণ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তাঁরাই ভোটের নির্ধারক হিসেবে কাজ করবে। তরুনদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় সজীব ওয়াজেদ জয়। এবারের নির্বাচনে মূল ধারার গণমাধ্যমের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই বেশি ভূমিকা রাখবে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে সরাসরি না দাড়ালেও সজীব ওয়াজেদ জয় নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের একজন মূল সৈনিক হিসেবে কাজ করবেন তা নিয়ে কারোরই কোনো সন্দেহ নেই। তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকাবাসীর চাপ রয়েছে। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ জয় এখনই নির্বাচন করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেকজন সদস্য এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সিআরআই (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন) পরিচালিত হচ্ছে। নির্বাচনের আগে সিআরআই ‘হাসিনা, অ্যা ডটার’স টেল’ নামের একটি প্রামান্য চলচ্চিত্র নির্মান করেছে। এই প্রামান্য চলচ্চিত্রটি নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে বলে সিআরআই মনে করছে। পাশাপাশি তরুনদেরকে উদ্দীপ্ত করা এবং সারা বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি, আওয়ামী লীগের অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে জরিপ করার কাজে সিআরআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তিনি যতটা না বাইরের বক্তা এবং মাঠে কাজ করেন তাঁর চেয়ে বেশি তিনি গবেষনা বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আওয়ামী লীগের যে গবেষণা কার্যক্রম তাঁর নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই। আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো এবারের নির্বাচনে একটি সুনির্দিষ্ট জরিপ ও গবেষণার ভিত্তিতে নির্বাচনি কৌশল প্রনয়ন করেছে। এই গবেষণার পুরোটাই রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নেতৃত্বে করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার কখনোই ক্ষমতার মোহে নয় বরং জনগণের কল্যাণ এবং জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবেই কাজ করেন। এই নির্বাচনে যেন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয় এবং জনগণের যে অগ্রগতি এবং উন্নয়নের ধারার সূচনা হয়েছে সেই ধারা অব্যাহত থাকে সেটার জন্যই বঙ্গবন্ধু পরিবার এবার নির্বাচনে কাজ করবে। শেখ রেহানার অন্য দুই সন্তান টিউলিপ সিদ্দিকি এবং রূপন্তী সিদ্দিকি। টিউলিপ সিদ্দিকি ব্রিটেনের সংসদ সদস্য। এজন্য তিনি এবারের নির্বাচনের প্রচারে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন না। অন্যদিকে অক্সফোর্ড থেকে সদ্য পাশ করেছেন রুপন্তী। তিনিও নির্বাচনে ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে হচ্ছে না।
এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারজন সহযোদ্ধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এই চারজনই হলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য। তারা হলেন, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। প্রতিবারই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিবার একটা না একটা চমক সৃষ্টি করে। এবার তারা কি চমক সৃষ্টি করবে সেটা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেই বোঝা যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।