নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৯ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ। সকাল থেকেই রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। সাক্ষাৎকারের জন্য মনোনয়ন বোর্ডের প্যানেলে আছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তবে মূল সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তারেক জিয়া। বিএনপি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দেখা গেছে, সিনিয়র নেতারা বসে আছেন, আর একটি দেয়ালে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছে তারেক জিয়ার সরাসরি ভিডিও। মনোনয়ন বোর্ডে থাকা ল্যাপটপের মাধ্যমে তারেক জিয়া সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের। আজ সকালেই ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিওসহ তারেক জিয়ার সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিষয়টি ফলাও করে প্রচার হয়।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তারেক জিয়ার সাক্ষাৎকার গ্রহণে এরই মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। বিএনপির মনোনয়ন সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরই ড. কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য শরিকদের পক্ষ থেকে তারেকের সাক্ষাৎকার গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ জানান ড. কামাল।
ড. কামাল মির্জা ফখরুলকে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কথা ছিল, নির্বাচনের আগে তারেক জিয়াকে আপনারা আড়ালে রাখবেন। তারেকই যদি সবকিছু করে, তারেকই যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে আর আমাকে কেন? আমাকে ছেড়ে দিন।’
জানা গেছে, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির শর্ত ছিল, পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে তারেক জিয়া পুরোপুরি অনুপস্থিত থাকবেন। কারণ তারেক জিয়াকে নিয়ে জাতীয় ও অন্তর্জাতিক ভাবে অনেক আপত্তি আছে। সেই আপত্তির কারণেই ড. কামালকে সামনে আনা হয়েছিল।
তারেক মনোনয়নের সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিএনপি নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকালেই বাংলাদেশে অবস্থিত একাধিক দূতাবাস থেকে ড. কামালের কাছে ফোন করে তারেক জিয়ার সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়েছে। দূতাবাসগুলো থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল নাকি তারেক জিয়া?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ
থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে)
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও
প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে
একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে,
বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং
আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু
মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে
অনুরোধ করেছে।
এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে
মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১
মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের
বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।
ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে।
৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ভারত নির্বাচন বিজেপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন