নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
স্কাইপে সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের ধমকালেন তারেক জিয়া। বললেন, ‘কথা কম বলেন, আপনারা কে কি করেন সব জানি। আপনাদের কিনতে কোটি টাকাও খরচ করতে হয় না।’ আজ সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই গঠন ঘটে।
আজ ছিল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় দিন। সকালে সাক্ষাৎকার শুরুর আগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গ কথা বলেন তারেক। এ সময় দলের মহাসচিব বলেন, ‘সাক্ষাৎকারের সুবিধার্থে আমরা প্রশ্ন করি, আপনি শোনেন, তারপর কিছু বলার থাকলে বলবেন।’
তারেক জিয়া হেসে বলেন, কেন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দেখাতে চান আপনাদের অনেক ক্ষমতা?’ এরপর তিনি বলেন, ‘আপনাদের দিয়েই যদি হতো তাহলে এই সাত সকালে (লন্ডন সময় ভোর পাঁচটা) আমি থাকতাম না। কেনা-বেচার চিন্তা থাকলে মাথা থেকে নামিয়ে রাখুন।
এরপর থেকে বিএনপির ঢাকায় উপস্থিত নেতারা আনুষ্ঠানিক প্রশ্ন ছাড়া একদম নীরব ছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।