নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপির পর শরিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদেরও সাক্ষাৎকার নেবেন তারেক জিয়া। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা বলেছেন, ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা কে কত আসন পাবে, তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই ঠিক করবেন। এর অর্থ হলো, ড. কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ.স.ম. আবদুর রবের মতো নেতারা, কে কোন আসন পাবেন তা নির্ধারণ করবেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। যিনি একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, অন্য মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড সাজা প্রাপ্ত। গত দুইদিন ধর আইনের চোখে ফেরারি এই ব্যক্তিটি বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় স্কাইপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, বিএনপির মনোনয়ন শেষ হলেই তারেক প্রথমে ২০ দল এবং তারপর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বসবেন। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, শরিকদের পক্ষ থেকে আসন বণ্টন নিয়ে চাপ আছে।
এনিয়ে বিরোধ এড়াতেই তারেক জিয়ার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিএনপি কতটা আসন শরিকদের জন্য ছেড়ে দেবে সেই সিদ্ধান্ত দিতে পারে মাত্র দুই জন। একজন বেগম খালেদা জিয়া, অন্যজন তারেক জিয়া।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই শরিক যেভাবে তালিকা দিয়েছে তাতে তাদের সন্তুষ্ট করতে অন্তত আড়াইশ আসন ছেড়ে দিতে হয়। তাহলে তো বিএনপিই থাকে না। এজন্য এখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ শেষ হলেই, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঐ বৈঠকে তারেক জিয়া যুক্ত হবেন। তিনি শরিকদের আসন ভাগাভাগি প্রশ্নে সমাধান দিবেন। সূত্র বলছে, ২০ দলের শরিকদের জন্য তারেক সর্বোচ্চ ৩০ টি আসন ছেড়ে দেবেন। অথচ ২০ দলের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জামাত ইতিমধ্যেই ৫০ টি আসনের তালিকা বিএনপিকে দিয়েছে। তারেক জিয়া তাদের সঙ্গে সরাসরি দরকষাকষি করবেন। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, তারেক জিয়ার কাছে সারাদেশের জরিপ আছে। এই জরিপ অনুযায়ী সেখানে বিএনপির প্রার্থী দুর্বল বা মামলার কারণে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য সেখানেই শুধু শরিকদের ছেড়ে দেবেন। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে তারেক জিয়ার ভিন্ন চিন্তা রয়েছে বলে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন। তারেক ঐক্যফ্রন্টের হেভিওয়েট নেতা যেমন ড. কামাল হোসেন, আ. স. ম. আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ঢাকা মহানগরীর আসনগুলোতে প্রার্থী করাতে চায়। এ ব্যাপারে ২০ দলের সঙ্গে বৈঠকের পরপরই ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও স্কাইপে যুক্ত হবেন তারেক জিয়া। এর মাধ্যমে বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুটি জোটের মনোনয়ন প্রদানের একক ক্ষমতার অধিকারী হলেন তারেক জিয়া। এ ব্যাপারে ফ্রন্টের নেতারা কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ হলেও আসন হারানোর ভয়ে কেউ কোনো কথা বলতে রাজি নন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।