নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতাদের যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। ঐক্যের দুই নেতাকেই আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, যে প্রক্রিয়ায় ঐক্যফ্রন্টের বৃহত্তম শরিক বিএনপি পুরো জোটই দখল করে ফেলেছে তা নিয়ে দুজনের মধ্যেই অসন্তোষ আছে। এরই মধ্যে, সম্প্রতি বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দুই ঐক্যফ্রন্ট নেতাই অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। ঐক্যফ্রন্টের এই দুই নেতা হলেন, মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী।
মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী দুজনই ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বিশ্বস্ত দুই সহচর বলেই পরিচিত। মোস্তফা মহসীন মন্টু হলেন ড. কামালের দল গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক। আর সুব্রত চৌধুরী হলেন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি। মূলত তাঁদের দুজনের কারণেই নিভু নিভু অবস্থায়ও টিকে ছিল গণফোরাম।
জানা গেছে, মোস্তফা মহসীন মন্টু ঢাকার কেরানীগঞ্জের দুটি আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দুটি আসন বিএনপি দলীয় নেতাদের মনোনয়ন দিতে চায়। মন্টুর আগ্রহের একটি আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনোনয়ন পেতে পারেন। আরেকটি আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান। বিএনপি কোনো অবস্থাতেই মন্টুকে দুটি আসন ছেড়ে দিতে রাজি নয় বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত এই নিয়ে মন্টুর সঙ্গে বিএনপির নেতাদের কথা হলেও কোনো সমঝোতা হয়নি বলেই সূত্র জানিয়েছে।
আর সুব্রত চৌধুরী যে আসনে মনোনয়ন চান সেখানে বিএনপি মনোনয়ন দিতে ইচ্ছুক তাদের অপর জোট ২০ দলের শরিক এলডিপির কর্নেল (অব.) অলি আহমেদকে। জানা গেছে, অলি আহমেদ কোনো ভাবেই তাঁর আসন ছেড়ে দিতে রাজি নন। এছাড়া বিএনপি দাবি করেছে, ওই আসনে সুব্রত চৌধুরীর কোনো জনপ্রিয়তাও নেই।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, দুজনই আজকের দিনটি সময় চেয়েছেন। আজকের মধ্যে আসন নিয়ে যদি কোনো সমঝোতা না হয়, তাহলে দুজনই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। আর এমনটি ঘটলে, তা হবে ঐক্যফ্রন্টের জন্য এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।