নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৮
প্রত্যেকটি নির্বাচনেই একটি রাজনৈতিক দলের কিছু ইস্যু থাকে। ওই ইস্যুগুলো উপস্থাপন করে ভোটের মাঠে ভোটারদের মন জয় করতে চায় কোনো রাজনৈতিক দল। এই ইস্যুগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক ইস্যু যখন মানুষ গ্রহণ করে, তখন তাঁর পক্ষে মানুষ ভোট দেয়। বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্থানীয় ইস্যুগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাধান্য পায় খুবই কম। বরং জাতীয় ইস্যুগুলোই স্থানীয় প্রার্থীদের ভোটের হিসাব ওলট-পালট করে দিতে পারে।
একটি রাজনৈতিক দল তার কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করে রাজনৈতিক ইশতেহারের মাধ্যমে। কিন্তু এই নির্বাচনী ইশতেহার কয়জন পড়ে বা বোঝার চেষ্টা করে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। অনেকেরই আগ্রহ থাকেনা ইশতেহারে। বরং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল মানুষকে আকর্ষণ করতে পারবে এমন কিছু ইস্যু নিয়ে ভোটের মাঠে যায়। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনে প্রধান ইস্যুগুলো হলো এরকম।
১. শেখ হাসিনার ইমেজ: শেখ হাসিনার সরকার আরেকবার দরকার- এই শ্লোগান দিয়েই আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। আওয়ামী লীগের সবারই এটি জানা দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। তাঁর নেতৃত্ব শুধু আওয়ামী লীগের মধ্যে নয়, সমগ্র দেশবাসীর মধ্যেই প্রশংসিত। বিরোধী দলের কাছেও তিনি ঈর্ষণীয় একজন নেতায় পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনার ইমেজ, তাঁর জনপ্রিয়তা, নেতৃত্ব দক্ষতাকে পুঁজি করেই আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠ দখল করতে চাইবে। তাই এটিই আওয়ামী লীগের প্রধান ইস্যু।
২. উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা: গত ১০ বছরে দেশজুড়ে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ। দৃশ্যমান উন্নয়নের মধ্যে আন্তর্জাতিক ভাবে আলোচিত হয়েছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল প্রকল্প, নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উঠে আসা। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে, শিক্ষার হার বেড়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আরেকবার দরকার- এই স্লোগান আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় করে তুলতে চায়। আওয়ামী লীগ দেখাতে চাইবে, তারা যদি ভোটে জয়ী না হলে, এই উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হতে পারে। বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হচ্ছে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩. সৌহার্দের বাংলাদেশ: গত এক দশকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সৌহার্দের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ স্বস্তির আবাসে পরিণত হয়েছে। গত ১০ বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, সংখ্যালঘু নিপীড়নের মতো ঘটনা ঘটেনি বললেই চলে। বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু ভোটার, যাঁরা আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক বলেই পরিচিত, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ এই সাফল্য তুলে ধরতে চাইবে।
৪. তারুণ্যের জয়গাঁথা: এই সরকারই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রবর্তন করেছে। সরকার নিজেদের তরুণ বান্ধব বলে দাবি করে। এবার বিপুল সংখ্যক তরুণ ভোটারের মুখোমুখি হতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। এজন্য যুব বান্ধব, তরুণ বান্ধব যে কর্মসূচিগুলো আওয়ামী লীগ নিয়েছে, তার ফিরিস্তি তুলে ধরা হবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ দুটি বিষয় সামনে নিয়ে আসবে। একটি হলো চাকরির বয়সসীমা ৩২ বছর করা। আরেকটি হলো, যুবক-তরুণদের স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য যুব ব্যাংক প্রকল্প চালুর ঘোষণা। বিগত আমলেই সরকার একটি কর্মসংস্থান ব্যাংক করেছে। এখন শুধু তরুণদের উদ্যোক্তাদের জন্য আরেকটি পৃথক ব্যাংক করার ঘোষণা থাকবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায়। আওয়ামী লীগ কোনো রাখঢাক না রেখেই বলছে, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মেই এবারের নির্বাচনে তাদের টার্গেট। তরুণদের জন্যই আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছে। এর সুফল তরুণরাই পাচ্ছে। তরুণ ভোটারদের উদ্দীপ্ত করতে, নিজেদের ঘরে আনতে তারুণ্যের জন্য কাজগুলোকেই বিষয়টি গুরুত্ব দেবে আওয়ামী লীগ।
৫. নারীর ক্ষমতায়ন: বর্তমান সরকারকে বলা হয় নারী-বান্ধব সরকার। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এই সরকার দেশে ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ বাংলাদেশের অনেক পদেই নারীদের সগর্ব অবস্থান। নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের সাফল্যে নেপথ্যে আছে নারী বান্ধব নীতি ও কৌশল। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সরকার একাধিক পরিবর্তন এনেছে, যেন রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ে। এই সরকার নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হবে নির্বাচনী প্রচারণায়। আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক নারী ভোটার রয়েছে, তাই নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারের উদ্যোগের প্রচারণায় একটি উল্লেখযোগ্য অংশই থাকবে।
আওয়ামী লীগ মনে করছে, এই পাঁচ ইস্যুতে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণা সফলভাবে চালাতে পারে, জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারে, জনগণকে যদি সঠিক ভাবে তথ্যগুলো জানাতে পারে,তাহলে তাদের পক্ষের ভোটের জোয়ার আসবে। সুনিশ্চিত জয় পাবে আওয়ামী লীগ।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।