নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই রাজনীতিতে যারা সৎ, নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমী তাদেরকে পছন্দ করেন। কেবল দলের মধ্যেই নয়, দলের বাইরেও যারা সুস্থ রাজনীতির চর্চা করেন তাদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহভাজন, আস্থাভাজন ও পছন্দের বলে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতেন তখন তাঁর অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রয়াত সভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ। সে সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি ফরহাদের উপদেশ ও পরামর্শ নিতেন বলে জানা যায়। ফরহাদের মৃত্যুর পরও কমিউনিস্ট পার্টির অনেক নেতার সঙ্গেই তাঁর ব্যক্তিগত ভালো সম্পর্ক ছিলো বলে জানা যায়।
এক সময় বঙ্গবন্ধু বিরোধী রাজনীতি করা জাসদ, আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনাকারী ওয়ার্কার্স পার্টিকেও তিনি জোটের মধ্যে ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে তিনি অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বেশ সহানুভূতিশীল। বিশেষ করে ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যখন একের পর এক গ্রেপ্তারের আদেশ জারি হচ্ছিল, তখনও সহানুভূতি দেখান প্রধানমন্ত্রী। তাকে সর্বশেষ যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তাকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছিলো বলে অনেক রাজনৈতিক মহল মনে করে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের সময় তিনি মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।
গতকাল সেনাকুঞ্জে যখন মির্জা ফখরুল অবস্থান করছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ভাষণ ও বিভিন্ন মহলের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাত করার পরে নিজ প্যান্ডেলে মির্জা ফখরুলকে ডেকে নেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা বলছে, যারা সুস্থ ধারার ও সৎ রাজনীতি করে তাদের সঙ্গে মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তাদের স্নেহ করেন। তিনি চান না যে সবাই আওয়ামী লীগ করুক । রাজনীতিতে যেন সব সময় সুস্থ ধারা বেড়ে ওঠে এটাই প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্খা। এজন্য যারা সুস্থ রাজনীতির চর্চা করেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।