নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলে যখন নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন তীব্র আকার ধারণ করেছে, ঠিক তখনই গণফোরাম উত্থাপিত এক ফর্মুলায় জোটে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে জাতীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য একটি দেড়শো-দেড়শো আসনের ফর্মুলা উপস্থাপন করেছে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল গণফোরাম। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক দল বিএনপিকে আজ রোববার এই ফর্মুলা দেওয়া হবে।
গণফোরামের ফর্মুলায় বলা হয়েছে, ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতায় গিয়ে কোনো দল যাতে একক কর্তৃত্ব না করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনে বিএনপির দেড়শো প্রার্থীকে এবং ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটে বিএনপির অন্যান্য শরিক দলগুলোর দেড়শো প্রার্থীকে বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন দিতে হবে। এতদিন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের দলগুলো বিভিন্ন প্রার্থী তালিকা দিচ্ছিল এবং তারা কতগুলো আসন চায় সে তালিকা দিচ্ছিল। এর মধ্যেই হঠাৎ করে নাটকীয়ভাবে গতকাল দেড়শো আসনের ফর্মুলা উপস্থিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ড. সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দেড়শো আসন না, আমরা চাই বিজয়ী হবেন এমন প্রার্থী। শুধু নির্বাচনে জয়লাভই আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। নির্বাচনের পর যেন সুশাসন ও জবাবদিহিতার সরকার প্রতিষ্ঠা হয় এবং ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকে সেজন্যই আমরা এখন থেকেই বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে চাই।’
গণফোরামের একটি সূত্র জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনের জন্য গণফোরাম ১৬০টি আসনের একটি তালিকা করেছে। এই আসনগুলোতে তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাশী। মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও ইতিমধ্যে ৩৫ জনের একটি প্রার্থী তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশিত করেছে। এছাড়া জাসদের আ স ম আব্দুর রব ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির কাছে ২০টি আসন দাবি করেছেন।
ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের বিষয়টিও বিএনপিকে ভাবতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে ২০ দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় এই জোটের শরিকদের জন্য ৩০ থেকে ৪০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি।
এখন আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে শরিকদের এতসব দাবিদাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একটি নীতিগত প্রশ সামনে চলে এসেছে যে, বিএনপি তার শরিকদের জন্য দেড়শো আসন ছেড়ে দেবে কিনা। কারণ বিএনপি যদি শরিকদের জন্য দেড়শো আসন ছেড়ে দেয় তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি সবগুলো আসনে বিজয়ী হলেও সংসদে একক কর্তৃত্ব করতে পারবে না। সম্ভবত এমন একটি ধারণা থেকেই গণফোরাম দেড়শো-দেড়শো আসন ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে।
গণফোরামের একটি সূত্র জানিয়েছে, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং কয়েকটি বিদেশি দূতাবাস এই প্রস্তাব তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।