নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগে মনোনয়নের জন্য স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, জনপ্রিয় অনেক তারকা, সেলিব্রেটিই মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন। তবে রোববার মনোনয়ন ঘোষণায় শুধু তিনজনই তারকাই টিকে গেলেন মনোনয়নের দৌড়ে। তিন জগতের তিন তারকাকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অভিনয় ও সংগীত জগতের দুজন আগেই মনোনয়ন পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের। এবারও নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে মাঠে লড়াইয়ের সুযোগ পেলেন তাঁরা। আর ক্রীড়াজগত থেকে নৌকা নিয়ে লড়বেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া তিন তারকা হলেন:
১. আসাদুজ্জামান নূর: বাকের ভাই খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর বিগত বছরগুলোর মতোই এবারও আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করছেন। একসময়ের প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব ছোট পর্দা-বড় পর্দা কাঁপিয়ে সারাদেশের মানুষের প্রিয় মানুষে পরিণত হয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে তাঁর রাজনৈতিক জীবনেও।
নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৪’র নির্বাচনে জয়লাভের পর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে সফলতার দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও আওয়ামী লীগের হয়ে নূর ছড়াতে আওয়ামী লীগের টিকেট পেলেন আসাদুজ্জামান নূর।
২. মাশরাফি বিন মর্তুজা: বাংলাদেশে ক্রিকেট দলে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা শুধু একজন ক্রিকেটার, অধিনায়কই নন একজন নেতা হিসেবেও সুপরিচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয়তম ব্যক্তি তিনি। মাশরাফি নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচন করছেন।
৩. মমতাজ বেগম: সঙ্গীত জগতের জনপ্রিয় আইকন মমতাজ বেগম। মমতাজ এবার দ্বিতীয়বারের মত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন। এর আগেও ২০১৪’র নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
এই তিন তারকা আওয়ামী লীগের ৩০০ আসনের ভার নেবেন। কারণ আসাদুজ্জামান নূর, মাশরাফি কিংবা মমতাজ শুধু তাঁদের নিজেদের এলাকায় কাজ করবেন আর তার প্রভাব পড়বে সারাদেশে। এই তিনজনই স্ব স্ব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়। রাজনীতির মাঠে এবার তাঁরা কতটুকু প্রভাব রাখতে পারে সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।