নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৬ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন বন্টনে সমঝোতা হলেও প্রার্থী বাছাইয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদপন্থীদের। এবারও মহাজোটে অনেকটা কোণঠাসা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও তাঁর ভাই জিএম কাদের। জাপার নীতি-নিধারনী সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন বেগম রওশন এরশাদ। আর এসব কারণে এরশাদপন্থীরা মহাজোটের সঙ্গে দরকষাকষিতে বেশ হাঁপিয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে। এদিকে,ব্যক্তিস্বার্থে দলকে বলি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে তিনি নিজের স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্নার আসন দুটি নিশ্চিত করেছেন সবার আগে এমন অভিযোগের তীর মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। আর এসব বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে।
একাধিক সূত্র জানায়, বেগম রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে তালিকা দিয়েছেন তাতে ৪০টি আসন দাবি করা হয়েছে আর জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ যে তালিকা দিয়েছেন তাতে ৬৫টি আসন দাবি করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দুটি তালিকা যাচাই-বাছাই করে যেসব স্থানে জাতীয় পার্টি প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল শুধুমাত্র যে আসনগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দলের এক নীতি-নির্ধারক জানান, এরশাদের দেয়া তালিকায় অনেক গরমিল রয়েছে। অহেতুক কিছু আসন চাওয়া হয়েছে যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। বিগত দিনে এসব আসনে জাপা প্রার্থীরা জয়ী হতে পারেনি, উপরন্ত দেখা গেছে অনেক প্রার্থীর জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে বেগম রওশন এরশাদের দেওয়া তালিকাকে যৌক্তিক মনে করছে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণীমহল।
জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, আসন বন্টন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। আর আলাদাভাবেও শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদও। ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে এরশাদের অবস্থান পরিস্কার না হওয়ায় বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে মহাজোটের নেতারা। বিশেষ করে সালমান এফ রহমানের আসনে জাপা ছাড় দেবেনা আওয়ামী লীগ। আবার এ আসনে আওয়ামী লীগকেও ছাড় দেবেনা জাপা। একই অবস্থা এরশাদের নিজ আসন গুলশান নিয়ে। যদিও শেষ অবধি গুলশানে জাপাকে ছাড় দিতে পারে আওয়ামী লীগ।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।