নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
শরিকদের জন্য ৭০ টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, কমপক্ষে আরও ৮ থেকে ১০ টি মনোনয়ন পূন:বিবেচনা এবং পরিবর্তন হতে পারে। তবে এটা চূড়ান্ত ভাবে করবেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিএনপির মনোনয়ন দেখার পরে যদি মনে করি কোনো কোনো জায়গায় রদবদল করা দরকার। তাহলে সেই রদবদলটা আমরা করবো।
এছাড়াও কয়েকজন মনোনয়ন প্রার্থীর অন্যদলে যোগদান নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। আওয়ামী লীগ মনে করে, দেশের যে উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ। তা দেখে জনগণ তাদের ফেরাবে না।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থীদের জন্য কৌশলগত রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেমন বিএনপি যে মনোনয়ন দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে ভোলার দুটি আসনে বিএনপির যে প্রার্থী, সেই প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুর্বল। সেই বিবেচনায় ভোলার দুটি আসনে প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি আসনেও বিএনপির প্রার্থিতা দেখে আওয়ামী লীগ রদবদল করছে। এছাড়াও কিছু মানবিক বিষয় আওয়ামী লীগের সামনে এসেছে। যেমন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের দুর্দিনের সাথী। দলের দু:সময়ের কাণ্ডারি। তার মনোনয়নের বিষয়টি পুন:বিবেচনা করা হতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এছাড়াও যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু-একজনকে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। কিন্তু এ সবকিছুই নির্ভর করছে মহাজোটের সঙ্গে আসন বিন্যাস নিয়ে।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সর্বশেষ যে দরকষাকষি হয়েছে। তাতে আওয়ামী লীগ কৌশলগত কারণে আরও দু- একটি আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগ মহাজোটের দুর্বল কয়েকটি আসন পেতে পারে। সেক্ষেত্রে আবার একটা অবস্থানগত রদবদলেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, এগুলো সবই চূড়ান্ত হবে ৮ ডিসেম্বরের পর। কয়েকটি আসনে আওয়ামী লীগ একাধিক প্রার্থী দিয়েছেন। যেমন: জামালপুরের দুটি আসনে, রেজাউল করিম হীরার আসনে মোজাফফর হোসেনকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের আসনে নূর মোহাম্মদকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, দুইজনারই ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত প্রশ্ন জড়িত আছে। সেজন্য এখানে বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই জানিয়েছেন যে, দলীয়ভাবে যারা মনোনয়ন পাননি, এমন অনেকেই এবার নির্বাচনে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। তারা অপেক্ষায় আছে যে, যদি কোনো কারণে যে প্রার্থীকে দল মনোনয়ন দিয়েছে তাঁদের প্রার্থিতা যদি বাতিল হয়, তাহলে তাঁদের কপাল খুলবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২৮ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া এবং এই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী সংস্থা সংসদীয় মনোনয়ন কমিটি আবার বসবে এবং চুলচেরা বিশ্লেষণের পরে যদি কোনো যোগ বিয়োগ করতে হয়, সেটা তারা বিবেচনা করবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।