নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপিতে ক্যু হলো। ক্ষমতা দখল করলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বেগম খালেদা জিয়া দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিএনপি মহাসচিব। আসনগুলো হলো বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭। আপিল বিভাগ বিএনপিপন্থী চিকিৎসক সংগঠনের সভাপতি ডা. জাহিদের এক আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত এলো।
কিন্তু, বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা বলছেন, ‘এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিদায় করতেই এই নাটক সাজানো হয়েছিল।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ডা. জাহিদ আগ বাড়িয়ে কেন আপিল করতে গেলেন। তিনি কি সরকারের নির্দেশেই এমনটা করেছেন?’
শুধু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নন, বিএনপির অনেকেই মনে করছে বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিদায় করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ফখরুল চক্র।
গত মঙ্গলবার দণ্ড স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপির ৫ নেতা। এদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান এবং ডা. জাহিদ মির্জা ফখরুলের অত্যন্ত ঘনিষ্ট।
বিএনপির সিদ্ধান্ত ছিল, দণ্ডিতরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন জমা দেবেন। রিটার্নিং অফিসার যদি মনোনয়ন বাতিল করে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ২০০৮ সালে ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের মামলার রায় অনুসরন করে, তাদের নির্বাচনে নেওয়া হবে।
সূত্রমতে, বিএনপির এটাও সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, এরকম মনোনয়ন বাতিল হতে পারে শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর। তাঁরা সবাই মিলে একসঙ্গে হাইকোর্টে এলে একটা চাপ এবং আন্দোলনের পরিবেশ তৈরি হবে। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ৫ নেতা কেন হাইকোর্টে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচনে যেন জিয়া পরিবারের নাম নিশানা না থাকে সেজন্যই সরকারের নীল নকশা অনুযায়ী মির্জা ফখরুল এটা করিয়েছেন। বিএনপির একজন নেতা বলেন, ‘আমরা বেগম জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে নির্বাচনে একটি আবেগ এবং আন্দোলন সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তা নষ্ট হলো।’ জানা গেছে, বিএনপির মধ্যেও একটা শঙ্কা ছিল যে, শেষ পর্যন্ত হয়তো বেগম জিয়াকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। সেক্ষেত্রে বেগম জিয়ার আসনগুলোতে তাঁর পরিবারের কাউকে দেওয়ার একটা আলোচনা ছিল। জানা গেছে, বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে জিয়া পরিবারের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করেননি।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, মির্জা ফখরুল এখন বেগম জিয়াকে শুধু নির্বাচন থেকেই নয়, রাজনীতি থেকেও বিদায় করলেন। বগুড়ার আসন দুটি প্রতীকি আসন। এই আসন দুটি থেকে সবসময় জিয়া পরিবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এই আসনে মির্জা ফখরুলের প্রার্থী হওয়াকে ধৃষ্টতা বলছেন অনেক বিএনপি নেতা।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, ফখরুল কথায় কথায় কাঁদেন। অতি ভক্তি যে চোরের লক্ষণ, তা প্রমাণিত হলো। ঐ নেতা মনে করেন, সরকার চেয়েছিল বিএনপি যেন বেগম জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যায়, সেটি হয়েছে। এখন ফখরুল বিএনপির নেতৃত্ব দখল করতে চাইছেন। বিএনপির তৃণমূলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, যারা বলেছিল বেগম জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, তারা এখন নির্বাচনে কেন?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।