নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮
দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশেই জেঁকে বসছে নির্বাচনী উত্তেজনা। ভোলা-১ আসনও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এই আসনটি ঘিরে নির্বাচনী উত্তাপ একটু বেশিই। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। প্রবীন এই নেতা দশম বারের মতো তাঁর দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট ভোলা-১ আসনে বিজেপির চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থকে মনোনয়ন দিয়েছে। অভিজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে তুলনা করলে পার্থকে নবীনই বলা চলে। একারনে ভোলা-১ আসনের লড়াইকে অনেকে প্রবীণের সঙ্গে নবীনের লড়াই হিসেবে অভিহিত করছেন।
ভোলার সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-১ আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার। এর মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে তোফায়েল আহমেদ প্রথম ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৯ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন তালুকদারের কাছে হেরে যান তিনি। ১৯৮৬’র নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে সেবার তিনি আন্দালিভ রহমান পার্থর বাবা নাজিউর রহমান মঞ্জুর তাকে পরাজিত করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জিতে রাজত্ব পুনরুদ্ধার করেন তোফায়েল। এরপর ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে আবারো নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মোশারফ হোসেন শাজাহানের কাছে পরাজিত হন তোফায়েল।
ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা প্রবাহের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোলা-১ আসন থেকে ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনকে মনোনয়ন দেয়। এই নির্বাচনেই বিজেপির প্রার্থী হিসেবে আন্দালিভের আবির্ভাব হয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরের এই নির্বাচনে আন্দালিভ জয়ী হন। তবে ২০১৪ সালে আবারো ভোলা-১ আসনের সাংসদ হন তোফায়েল আহমেদ। বিভিন্ন সময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন বর্ষীয়ান এই নেতা। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদে তিনি কার্য উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যদিকে আন্দালিভ রহমান পার্থ মূলত ২০০০ সাল নাগাদ রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এর আগে ব্যারিস্টার রফিকুল হকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে ৩ বছর কাজ করেন তিনি।
প্রবীনের সঙ্গে নবীনের লড়াই বলা হলেও তোফায়েল আহমেদ এবং আন্দালিভ রহমান পার্থ দুজনই হেভিওয়েট প্রার্থী। পুরোনো অনেক হিসাব নিকাশ থাকলেও এবারই প্রথম নির্বাচনের মাঠে মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। পার্থর বাবা মঞ্জুরের কাছে ভোলা-১ আসনে হেরে গিয়েছিলেন তোফায়েল। এবার তিনি পার্থকে পরাজিত করে ওই হারের প্রতিশোধ নিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ
থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে)
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও
প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে
একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে,
বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং
আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু
মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে
অনুরোধ করেছে।
এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে
মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১
মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের
বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।
ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে।
৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ভারত নির্বাচন বিজেপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন