ইনসাইড পলিটিক্স

ফেরার অপেক্ষায় যাঁরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনার পর বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালীন হওয়া ভবনের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদসহ সন্ত্রাস, বিভিন্ন কেলেঙ্কারি ও অনিয়মের জন্য এখনো সমালোচিত দলটি। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে বিএনপি। এবার অবশ্য দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছে, তারা ক্ষমতায় এলে পরিবর্তিত রূপে আবির্ভূত হবে। পরিবর্তনের লক্ষ্যেই তাঁরা ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, আ. স. ম. আবদুর রবেকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। কিন্তু দলটি যে একেবারেই পাল্টায়নি তা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নে অনেকটাই স্পষ্ট। কেননা এবারের মনোনয়নে বিগত সময়ের সেই বিতর্কিত মানুষগুলোর উপরেই আস্থা রেখেছে তারা।  বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালীন এদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ছিল। এমনকি এমন প্রার্থীদেরও দলটি মনোনয়ন দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদসহ যুদ্ধাপরাধের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।  বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তা ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারেই হোক কিংবা ২০ দলের ব্যানারেই হোক তাদের যে কোনো বদল হবে না তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেই জানান দিয়েছে দলটি। কেননা, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত নিজেদের অপকর্মগুলোর জন্য এখনো পর্যন্ত জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা দুঃখ প্রকাশ করেনি বিএনপি। এই প্রেক্ষাপটে আমরা ধারণা করতে পারি, বিএনপি যদি এবার ক্ষমতায় আসে তবে রাজনৈতিক দুষ্টচক্ররা যাদেরকে ম্যাকিয়াভেলির ভাষায় ডেভিল বলা হয়, সে সব ডেভিলরা দেশে ফিরে আসবে। বিগত ২০০৬ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে দেশ ত্যাগ করেছিল এরা। এইসব ডেভিলরা যে বিএনপির ক্ষমতায় আসার জন্য অপেক্ষা করছে তা স্পষ্ট। দলটি ক্ষমতায় আসলে আবার দেশে ফিরে আসবে তারা, কেননা মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব বিতর্কিত মানুষদের উপর আস্থা রেখেছে বিএনপি।

১.তারেক জিয়া : যে সকল দুষ্টচক্র দেশের রাজনীতিকে দূষিত-কলুষিত করেছিল এমনকি খোদ বিএনপিকেই বিতর্কিত করেছিল তাদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন তারেক জিয়া। এখনো দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনি। যদিও ২০০৭ এর সেপ্টেম্বরে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি আর না করার জানান দেন তিনি। এরপর চিকিৎসার অজুহাতে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। অতঃপর বাংলাদেশের পাসপোর্ট জমা দিয়ে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন তারেক জিয়া। অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিভাজনের বলিরেখা তৈরি হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের লালন হয়েছে, প্রতিহিংসার চর্চা হয়ে থাকে তার উত্থান হয়েছে স্বয়ং তারেক জিয়ার হাতেই। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, বাংলা ভাইয়ের উত্থান, ভারতের  বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য প্রদানসহ নানা ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে তারেকের নাম। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ মানি লন্ডারিং মামলায় সাত বছরের সাজায় দণ্ডিত তিনি। ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড আসামিদের মধ্যে তারেক একজন। বিশ্বের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারেকের সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি বিশ্বব্যাপী কালো টাকার লেনদেনেও সম্পৃক্ততা রয়েছে তার।  ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র`-এর মতে, ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তারেকের। বিএনপি যদি এবার ক্ষমতায় আসে তবে সর্বপ্রথম বীরদর্পে যে ব্যক্তিটি দেশে ফিরে আসবেন তিনি আর কেউই নন স্বয়ং তারেক জিয়াই। রাজনীতিতে তারেক মানেই হাওয়া ভবন, কমিশন বাণিজ্য, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। এমন একজন দুষ্টগ্রহ যদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরে আসে তাহলে দেশের আপামর জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত অনেকেই।

২. হারিছ চৌধুরী : বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ রয়েছে, সেই অভিযোগে তারেক জিয়ার যতটুকু অংশীদারিত্ব, ঠিক ততটুকুই অংশীদারিত্ব রয়েছে হারিছ চৌধুরীর। ঐ সময়কার বেগম জিয়ার রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তারেক জিয়া ও বেগম জিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন ছিলেন এই হারিছ চৌধুরী। হাওয়া ভবনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অবস্থান করতেন তিনি। তৎকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়োগ বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্যসহ সকল অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হারিছ চৌধুরীর নাম। ১/১১ এর সময়কালীন দেশ থেকে পালিয়ে যান তিনি। কিন্তু এখনো তারেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। লন্ডন, আমেরিকা, ভারতে খন্ডকালীন অস্থায়ীভাবে অবস্থান করেন তিনি। হাজার হাজার কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ রয়েছে এই হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে এই রাজনৈতিক দুর্বৃত্তের আবার অনুপ্রবেশ হবে বাংলাদেশে, আবার কলুষিত হবে দেশের রাজনীতি।

৩. ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক : জামাত নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক একজন যুদ্ধাপরাধী। যখন যুদ্ধাপরাধী বিচার শুরু হয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রস্তুতিকালেই পালিয়ে লন্ডনে যান ব্যারিস্টার রাজ্জাক।  এখনো পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে হাতে গোনা দু’একজন বিচারের আওতার বাইরে আছেন তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক একজন। অনেকেই বলে গোলাম আজমের দ্বিতীয় সংস্করণ হচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক। জামাতের অনেক শীর্ষ নেতা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় জামাতের মূল নেতা এখন তিনিই। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ বিরোধী যত ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হচ্ছে, তার নেতৃত্বই দিচ্ছেন এই আব্দুর রাজ্জাক।  যেহেতু এবার জাতীয় নির্বাচনে জামাত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য ২৫ টি আসন পেয়েছেন, সেহেতু বিএনপি ক্ষমতায় আসলে অবিসংবাদিতভাবেই দেশে ফিরে আসবেন তিনি।  সেইসঙ্গে দেশে ফিরে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনকে আবার সংগঠিত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

৪. মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ: বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ছিলেন কুমিল্লার এমপি, পাশাপাশি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ সারা দেশে জঙ্গি নেটওয়ার্ক প্রসারে সম্পৃক্ত আছেন তিনি।  বর্তমানে সৌদি আরবে পলাতক আছেন কায়কোবাদ।  বিএনপি-জামাত এবার ক্ষমতায় আসলে দেশে ফিরে আসবেন এই জঙ্গি নেতা, শুরু করে দেবেন অতীতের সেই তাণ্ডব লীলা।

৫. সাদেক হোসেন খোকা : বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি একাধারে ছিলেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। বিগত সময়ে একাধিক মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে খোকার বিরুদ্ধে রয়েছে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ। বর্তমানে পলাতক অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি। এবার বিএনপি থেকে তার ছেলে  ইশরাক হোসেনের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই প্ররিপ্রেক্ষিতে বিএনপি-জামাত যদি ক্ষমতায় আসে, তবে সাদেক হোসেন খোকার দেশে ফেরা সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের মধ্যে খোকা অন্যতম। এই খোকা দেশে ফিরলে দেশের রাজনীতিতে আবার দুর্নীতির দুষ্টচক্রের প্রবাহ শুরু হবে তা নির্দ্বিধায় বলাই যায়।

বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা দলগতভাবে নির্বাচন করবে না। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেননি এবং দলীয় প্রতীকও ব্যবহার করছে না। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রথম ধাপের মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উপজেলায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাতে গোনা দু’একজন। যেমন, তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ছাড়া বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরাই এ সিদ্ধান্ত মানেননি। তাদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই আত্মীয় স্বজনের একটি নতুন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:  উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, স্ত্রী-পুত্র নিয়ে পরিবার। এর বাইরে যদি কেউ নির্বাচন করে তাহলে তাদেরকে আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ধরা হবে না। একই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এটিও বলেছেন যে, অনেকের আত্মীয় স্বজনরা ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতা। কোথাও কোথাও তারা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন। তাদেরকে বাঁধা দেওয়া যায় কিভাবে সে প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তুলেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, স্ত্রী, ভাই, বোন সবাইকে নির্বাচনে প্রার্থী করা ঠিক না। এর বাইরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত হবে। আর এই প্রেক্ষিতেই এ স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন কোন আলোচনা করছে না।

আরও পড়ুন: স্বজন বলতে স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনটাকে সুষ্টু, অবাধ এবং অর্থপূর্ণ করার জন্য কৌশলগত কারনেই এখন কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। তবে উপজেলায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় দেখা হবে। যেসমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা কতগুলো সুনির্দিষ্ট অপরাধ করবেন তাদেরই কপাল পুড়বে। কোন কোন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ উপজেলায় মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দিবেন তার একটি ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:  এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে। যেমন..

১। যদি ঢালাওভাবে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলায় প্রার্থী করা হয়। যেমনটি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, স্ত্রী, পুত্র একসাথে যদি নির্বাচনে প্রার্থী হয় তাহলে সেই মন্ত্রী এমপিদেরকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

২। যদি কোন মন্ত্রী-এমপি তাদের পক্ষের প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতানোর জন্য প্রভাব বিস্তার করে তাহলে তাকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

৩। যদি মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগের বা অন্য কোন প্রার্থীর উপর চড়াও হয় বা সহিংসতা করে বা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সেক্ষেত্রে যেসমস্ত মন্ত্রী এমপিদের স্বজনরা এসমস্ত কাজে জড়িত থাকবেন তাদের কপাল পুড়বে।

৪। যদি মন্ত্রী-এমপিরা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রেও তাদের কপাল পুড়বে।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৌশলী আওয়ামী লীগ

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলছেন, চটজলদি কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাসময়ে যথাযথভাবে সিদ্ধান্ত শৃঙ্খলা লঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা করবেন।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মন্ত্রী-এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় আরও ৬১ জন নেতাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। শনিবার (৪ এপ্রিল) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ২য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বহিষ্কার হওয়া চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে- রংপুর বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৬ জন, ফরিদপুর বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, কুমিল্লা বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন।

বহিষ্কার হওয়া সর্বমোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬ জন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। ২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বহিষ্কার বিএনপি প্রার্থী ৬১ জন।

এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ার শুরুতে ৭৩ জনসহ সবমিলিয়ে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শনিবার (৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ হাবিবের মুক্তির দাবিতে হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

আব্বাস বলেন, ‘আরেকটা ফাঁদ, সর্বশেষ ফাঁদ পেতেছে আমাদের আজকের সরকার। তারা বলছে, উপজেলা নির্বাচন। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছিল, বিএনপিকে নির্বাচনে নেবে, কিন্তু বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।’

তিনি বলেন, যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই। রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন, রাজতন্ত্র ঘোষণা দিতে পারেন, কিন্তু নির্বাচনের কথা আপনাদের মুখ দিয়ে মানায় না।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন ভোট দিতে গিয়েছিল লোকজন? এবারও যাবে না। আমার ছোটভাই রিজভী উদাহরণ দিলেন সরিষাবাড়ি, কক্সবাজার ও বরিশালের…ওরা (আওয়ামী লীগ) নাকি বলেছে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। সরকারের পতন হবেই।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম সরকার উৎখাত করবে। আরে ভাই আমি তো সরকারই দেখি না। এটা তো নির্বাচিত সরকার নয়। সুতরাং এই সরকারকে উৎখাত করার দায়দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে তখন লাথি দিয়ে সরকারকে ফেলে দেবে, সরকার থাকতে পারবে না।’

দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একজন-দুইজন-তিনজন করে প্রতিদিন কোর্টে আত্মসমর্পণ করছে, স্বেচ্ছায় জেলে যাচ্ছে। আমরা তাদের মুক্তি দাবি করে আসছি, আজকে এই মানববন্ধনে হচ্ছে। খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো না’

মির্জা আব্বাস বলেন, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার দল বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া এখন গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আল্লাহ জানেন কখন যে কি হয়।

তিনি বলেন, তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা কতবার বলেছি, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে অথবা চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। তার অবস্থা বেশি ভালো না। আজকে তারা বলছে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যাবে না। অর্থাৎ তাকে হত্যা করতে হবে এবং এমনভাবে করতে হবে যাতে কেউ কিছু বলতে না পারে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এভাবে গ্রেপ্তার করে পৃথিবীর আন্দোলন কোনো স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই। একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই, জনরোষের মুখে এটাকে কেউ টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আন্দোলন হবে, মুক্ত হবে দে ‘

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশের সর্বনাশ করে গেছে। উনি নাকি ঠিকঠাক করছেন। ভাই কি ঠিক করছেন আমার জানা নেই।

হাজার হাজার লাখ কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষের পেটে ভাত নেই, যারা তিন বেলা খেতেন তারা দুই বেলা খায়। 

সংগঠনের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়দেব জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাসহ নেতারা বক্তব্য রাখেন।


উপজেলা নির্বাচন   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান বেগম জিয়ার ভাই ও বোন

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে নেওয়ার জন্য এবার প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান তার ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন সেলিমা রহমান। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সার্বিক রিপোর্ট, এভারকেয়ার হাসপাতালের মতামত এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। বেগম জিয়ার পরিবারের সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা গণভবন থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ নিয়ে সরকারের একাধিক নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। শামীম ইস্কান্দারের ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু বলেছেন যে, শামীম ইস্কান্দার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সময় প্রার্থনা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদেরকে সময় দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও ২০২০ সালে শামীম ইস্কান্দার এবং তার বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেই সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছোট শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শামীম ইস্কান্দার এবং বেগম জিয়ার ছোট বোন খালেদা জিয়ার জন্য করুণা ভিক্ষা করেন। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তত বাসায় থেকে চিকিৎসা করার অনুমতি প্রার্থনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে উদারতার পরিচয় দেন। অতীতের তিক্ততা এবং বেগম খালেদা জিয়ার কর্মকান্ড ইত্যাদিকে ভুলে তিনি মানবিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে বিশেষ বিবেচনায় জামিন দেন। সেই জামিনেই গত ৪ বছর ধরে বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা। নির্বাচনের আগে থেকেই শামীম ইস্কান্দার এ ব্যাপারে তৎপর হয়েছিলেন। তিনি সরকারের কাছে এব্যাপারে তিন দফা আবেদন করেন। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামতে জানান, যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া ইতোমধ্যেই ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১ ধারা ব্যবহার করে ফেলেছেন, কাজেই তার জন্য এখন আর কোনরকম উদারতা প্রদর্শন করা আইনগতভাবে অসম্ভব ব্যাপার। কারণ ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১ একবার প্রয়োগ হলে তা দ্বিতীয়বার একই ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করা যায় না।

আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, বেগম জিয়া যদি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চান তাহলে তাকে আগে কারাগারে যেতে হবে। বর্তমান যে সুবিধা তিনি পাচ্ছেন তা বাতিল করতে হবে। তারপর তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।

কিন্তু বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে সেধরনের কোন আবেদন করা হয়নি। সরকারের সঙ্গে নির্বাচনের পর থেকেই শামীম ইস্কান্দার তাকে বিদেশ নেওয়ার জন্য আবেদন করছেন। তবে সেই আবেদনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোন সাড়া দেওয়া হয়নি। আর একারণেই শমীম ইস্কান্দার এবং তার বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান।


বেগম খালেদা জিয়া   শামীম ইস্কান্দার   সেলিমা রহমান   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত: ইসি রাশেদা

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত। কোনো প্রভাবশালী (এমপি) নির্বাচনে প্রভাব খাটালে, কমিশন প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কারণ, ভোটারবিহীন নির্বাচনে কোনো আনন্দ নেই, সৌন্দর্য্য নেই।

শনিবার (৪ মে) সকালে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিভাগীয় প্রশাসন।

রাজশাহীর স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আপনারা দয়া করে আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনার মান ইজ্জত, মর্যাদা আপনিই রক্ষা করবেন। প্রার্থীরা এমপিদের আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে কারও সুবিধা নিলে দয়া করে সরে আসেন। এরকম অবস্থা যদি দাঁড়ায়, যদি অভিযোগ আসে তাহলে প্রার্থিতা বাতিলও হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়া উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই মতবিনিময় সভায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং জয়পুরহাট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


উপজেলা নির্বাচন   প্রভাবমুক্ত. ইসি রাশেদা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন