ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র যা চায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে নির্বাচনে ক্ষেত্রে মার্কিনীদের প্রভাবের কথা কারও অজানা নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই দেশগুলোর উপরেই আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে, যে দেশগুলো তুলনামূলক ভাবে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এবং অর্থনৈতিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক নীতিতে প্রকাশ্যেই বলেছে, যে কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্রের বিপক্ষে তাঁদের অবস্থান সুদৃঢ়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাই দেখতে চায় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে। বিশ্বের যেসব দেশে সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদের কথা বলা হয়েছে, সমাজতন্ত্র এবং সাম্যবাদের উত্থান ঘটেছে সেসব দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত নগ্ন ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। চিলির আলেন্দের কথা আমরা জানি, যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটোর কথা আমরা জানি। এমনকি বিপ্লবী চে গুয়েভারার হত্যাকাণ্ডের মার্কিনীদের প্রকাশ্য ভূমিকা ছিল বলে সবরকমের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদ এবং প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথাও এখন বিভিন্ন দলিলপত্রে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অতীতেও ছিল, এখনো আছে। তবে বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে আসার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা অনেক কমে এসেছে। যার ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের বলয়ও এখন অনেক কম। তারপরও ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। কারণ এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়, তাহলে কৌশলগত কারণেই বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।  

অন্যান্য নির্বাচনের মতোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে সুস্পষ্ট কিছু বিষয়ের উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার এসেই বলেছেন, বাংলাদেশে তাঁরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন তাঁরা দেখতে চায়। যে নির্বাচন একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। এই প্রকাশ্য কথার বাইরেও বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নীতি এবং কৌশল আছে। তাঁরা বাংলাদেশে এমন একটা সরকার চায়, যে সরকার সুনির্দিষ্ট কিছু নীতি এবং কর্মপন্থা অনুসরণ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে যে ধরনের সরকার চায় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বিষয় হচ্ছে:

১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে যেন ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান না ঘটে। তাঁরা আরও চায় বাংলাদেশে একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা হোক। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে জামাত এবং হেফাজতসহ মৌলবাদী দলগুলোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে এবং এই বিলের মাধ্যমে স্পষ্টতই মার্কিন আকাঙ্ক্ষা-অভিব্যক্তি প্রকাশ হয়েছে।

২.  কৌশলগত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এমন একটা সরকার চায় যারা চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সংকোচন নীতি গ্রহণ করবে। গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশ দক্ষিণ দক্ষিণ অর্থনীতি গ্রহণ করেছে। এই সময়ে বাংলাদেশের সবগুলো সরকার ধারাবাহিকভাবেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বাণিজ্য অনেক হ্রাস পেয়েছে। এ বিষয়টি তাঁদের বর্তমানে অন্যতম একটি ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে যখন অর্থনৈতিকভাবে একটি স্বাবলম্বী দেশে পরিণত হচ্ছে, তখন বাংলাদেশে অনেক ব্যবসায়িক এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই ব্যবসায়িক সুযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজে লাগাতে পারছে না। সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এমন একটা সরকার চায়, যারা চীনের সঙ্গে বিভিন্ন বাণিজ্য সংকোচন নীতি গ্রহণ করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে।   

৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া কোনো দেশ মার্কিন বিরোধী অবস্থান যেন না থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুস্পষ্ট নীতি হলো কোন রাষ্ট্র যেন সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজমের প্রতিষ্ঠা না হয়। সে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর নির্বাচনে এমন একটা আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে কোন ভাবেই বামপন্থার রাজনীতির উত্থান না হয়। হেনরি কিসিঞ্জারের যে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি, সেখানে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুস্পষ্ট নীতিগত অবস্থান হলো, সমাজতন্ত্রের পক্ষের কোনো শক্তির যেন উত্থান না ঘটে। যেসব দেশে সমাজতন্ত্রের উত্থান ঘটেছে, সেসব দেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশের এবারের নির্বাচনেও তাঁরা চায়, বাংলাদেশে মার্কিন বিরোধী কোনো বামপন্থী দল ভালো অবস্থানে না থাকে।

৪. বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে বিনিয়োগ চলছে, সেইগুলোর ধারাবাহিকতায় আরও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ঘটে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে তার কাছ থেকে প্রত্যাশা করে। 

৫. বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রপন্থী বেশ কিছু সুশীল প্রতিনিধি রয়েছে। যেমন ড. মুহম্মদ ইউনূসকে প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। তাঁকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো লুকোচুরি করে না। ড. মুহম্মদ ইউনূসকে যখন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই তার প্রতিবাদ করেছিল। এছাড়াও মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানহানির মামলা করা হয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাহফুজ আনামের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিল। বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রপন্থী এবং মার্কিন স্বার্থ সংরক্ষক যে সুশীল রয়েছে তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়াও মার্কিনীদের একটা বড় এজেণ্ডা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় এমন একটা সরকার আসুক যারা এইসব মার্কিনপন্থী সুশীলদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।

৬. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা প্রকাশ্য নীতি আছে, যা তারা বাংলাদেশে কোনদিন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সেটা হচ্ছে তাঁরা চায় বাংলাদেশ ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করুক। লক্ষ্য করা যায় বিএনপির একজন নেতা আসলাম চৌধুরী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ভারতে একটা বৈঠক করেছিল। বাংলাদেশে যেন ইসরাইলের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়, সেই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন থেকে কাজ করে করলেও এই বিষয়ে তেমন কোনো সফলতা তারা অর্জন করতে পারেনি।

এগুলোর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা যে, প্রথমত তারা এমন একটা সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়, বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতি আছে, সেই নীতিকে যে সরকার সমর্থন করবে। দ্বিতীয়ত তাঁরা এমন একটা সরকার বাংলাদেশে দেখতে চায়, যে সরকার মার্কিন কূটনীতির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবে। তৃতীয়ত, বাংলাদেশে তারা এমন একটা সরকার চায়, যে সরকার বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণে রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক দূরত্ব বজায় রাখবে। যে রাজনৈতিক দল এই বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন তাঁদের দিকেই থাকবে। যদিও বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোনো ক্ষমতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আর রাখে না।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ   



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

৩০ এপ্রিল কী হবে আওয়ামী লীগে

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ। 

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একটা নিরপেক্ষ অবস্থান রাখতে চেয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। শুধু দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নয়, আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন তাদেরকে মন্ত্রী-এমপিরা সমর্থন দেবে না এবং আওয়ামী লীগ দলগত ভাবে কোন প্রার্থী দেবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগের এই নির্দেশনা অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিরা মানেননি। তারা তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন এবং যারা আত্মীয়স্বজনকে প্রার্থী করেননি তারা নিজস্ব ব্যক্তিকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন এলাকায় আধিপত্য রক্ষার জন্য। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একাধিকবার নির্দেশনা দিলেও সেই নির্দেশনা মানেননি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা। এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের ৩০ এপ্রিলের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এ নিয়ম আওয়ামী লীগের মধ্যে নানারকম চর্চা হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা কারা কারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা নির্বাচন করছেন, স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনের মাঠে নামিয়েছেন সেই তালিকা তৈরি করেছেন। আগামী ৩০ এপ্রিলের বৈঠকে এই তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে দেওয়া হবে। 

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র গুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বিশেষ করে নির্বাচনকে যেন কেউ প্রভাবিত করতে না পারে, নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি কোনো ছাড় দেবেন না- এই বার্তাটি প্রধানত দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দেওয়া হবে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, যে সমস্ত মন্ত্রী এবং এমপিরা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নিজেদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে পর্যায়ক্রমে। আওয়ামী লীগ আকস্মিকভাবে তাদেরকে বহিষ্কার করা বা চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়ার মধ্যে দিয়ে যাবে না। বরং প্রথমে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং যে সমস্ত নেতারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী দিয়েছেন তাদের কমিটিগুলোকে পুনর্গঠন করার বিষয়টিও সামনে আসতে পারে। এ ছাড়া যারা মন্ত্রী এবং এমপি তাদের জন্য এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের বার্তা দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছেন। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো তাৎক্ষনিকভাবে সবাইকে বহিষ্কার করা বা দলে থেকে বের করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ তিনি নেবেন না। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য হলো উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করা। নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি বাড়ে সেটি নিশ্চিত করা। এই বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে উপজেলা নির্বাচনে যেন মানুষ ভোট দিতে যায় সে বিষয়ে জনগণকে উদ্ধ করার পর জোর দিবেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ যেন উপজেলা নির্বাচনের যাকে ইচ্ছা মানুষ ভোট দিক সে বার্তাটি ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই নির্দেশনা দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ   কার্যনির্বাহী কমিটি   উপজেলা নির্বাচন   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ, পুলিশের বাধায় নেতাকর্মীরা

প্রকাশ: ০১:১৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।

পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।

তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।


নয়াপল্টন   বিএনপি   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন থেকে সরলেই বহিষ্কৃতদের ক্ষমা করবে বিএনপি

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সুযোগ দিতে চাচ্ছে বিএনপি। সেক্ষেত্রে ভোট থেকে সরে এসে ক্ষমা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে তার সরে আসার খবর জানাতে হবে।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর শান্তিনগরে বিএনপির উদ্যোগে পথচারীদের মধ্যে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনো সুযোগ আছে যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন, দল তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল শনিবার আরো তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষৃ্কতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলার হালুয়াঘাট বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।

একই কারণে এর আগের দিন শুক্রবার ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।

এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় পৌরসভায় একজন এবং ইউনিয়ন পরিষদে আটজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২১ এপ্রিল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৮৫ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   রুহুল কবীর রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: কাদের

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।

রোববার (২৮ এপ্রিল) শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার মনে হয় এরা (বিএনপি) পড়াশোনা করে না। কথাটা বলেছেন (বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। পাকিস্তান একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত। এতে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে। শেহবাজ শরীফ যা দেখে সেটাও দেখে না। তারা (বিএনপি) কেন দেখে না সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন’।

জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে, কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে’। 

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫'এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদত দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে’। 


ওবায়দুল কাদের   বিএনপি   শেখ জামাল   নানী কবরস্থান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পৌরসভা-ইউপিসহ শত পদে চলছে ভোট

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০০ পদে সাধারণ ও শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, স্থানীয় সরকারের ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া দুইটি পৌরসভায় মেয়র ও দুইটি জেলা পরিষদে কাউন্সিলর এবং ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্যপদে উপনির্বাচন হচ্ছে। এ ছাড়া সাতটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে।

এর মধ্যে নীলফামারীর জলঢাকা ও রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচন হচ্ছে। পাশাপাশি সাত পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে– ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, খুলনার চালনার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, গাইবান্ধা পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নওগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নোয়াখালীর কবিরহাটের ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর, টাঙ্গাইলের কালীহাতির ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

যে ১৯ ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে– লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়া; পটুয়াখালীর কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলী; সাতক্ষীরার আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও পোকখালী।

গত ২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে ইসি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে।



উপজেলা নির্বাচন   জেলা পরিষদ   পৌরসভা   ইউনিয়ন পরিষদ   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন