নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগে হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র দিন বাকি আছে। আজ প্রতীক বরাদ্দের পরই শুরু হয়েছে নির্বাচনের প্রচারণা। নির্বাচনে প্রচারের জন্য পাওয়া যাচ্ছে ১৯ দিন। আজ সোমবার থেকে শুরু হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২৮ ডিসেম্বর মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী নিশ্চিত করেছে। দর কষাকষি করে ভাগাভাগি করা হয়েছে জোট সমূহের শকিদের আসনও। প্রধান জোট ছাড়াও বেশ কয়েকটি দল তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন দেড় হাজারের বেশি প্রার্থী।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ৪২টি আসন মহাজোটের শরিকদের জন্য ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি ২৬টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৫, জাসদ (ইনু) ৩টি, তরিকত ফেডারেশন ২টি, জেপি ২টি, জাসদ (আম্বিয়া) ১টি ও যুক্তফ্রন্টকে ৩টি আসনে ছাড় দেয়া হয়। তবে মহাজোটের বাইরে গিয়ে জাতীয় পার্টি ১৪৮টি আসনে এককভাবে নির্বাচন করছে। নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শীর্ষ ৩ নেতা। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে শাহ জিকরুল আহমেদ, গাইবান্ধা-৩ আসনে এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি, রংপুর-২ আসনে কুমারেশ চন্দ্র রায় ও বরিশাল-৬ আসনে মো. মোহসীন দলীয় প্রতীক মশাল নিয়ে নির্বাচন করবেন।
অপরদিকে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের ৫৯টি আসনে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের ৪০ এবং ঐক্যফ্রন্টকে ১৯টি আসন দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০ দলীয় শরিকদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি, এলডিপিকে ৫, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ৪, জাতীয় পার্টি (জাফর) ২, খেলাফত মজলিস ২, বিজেপি ১, এনপিপি ১, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১, লেবার পার্টি ১, পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশকে ১টি আসন দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ১৯টি আসন ছাড় দেয়া হয়। এর মধ্যে গণফোরাম ৭, জেএসডি ৪, নাগরিক ঐক্য ৪ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে ৪টি আসন ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে লড়বেন। এ আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। এর বাইরেও পাবনা-১-এ মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ও চাপাইনবাবগঞ্জ-৩-এ নুরুল ইসলাম বুলবুলকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রেখেছে দলটি।
এ ছাড়া বাম গণতান্ত্রিক জোট ১৪৭ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আটটি দল নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠিত হয়। দলগুলো হল- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন। এসব দলের মধ্যে সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন রয়েছে। বাম জোট ৭৪টি আসনে নির্বাচন করছে। ইতিমধ্যে এসব আসনে প্রার্থিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৭৪টি আসনে বাম জোটের বাইরে ৩টি আসন রয়েছে। ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের ১টি, ১টি গণমুক্তি ইউনিয়নের আর অন্যটি হচ্ছে সমজীবী সংঘ।
এদিকে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) পাঁচটি আসনে দলটির প্রার্থীকে হুক্কা প্রতীক দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে দিনাজপুর-১ আসনে মো. আরিফুর ইসলাম, ঢাকা-১৮ এসএম শাহাদাত, পঞ্চগড়-২ ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, যশোর-৫ মো. নিজামউদ্দিন অমিত ও পঞ্চগড়-১ আসনে আল রাশেদ প্রধানকে দলীয় প্রতীক দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ এক চিঠিতে দলের প্রধানসহ তিনজনকে দলীয় প্রতীক গাভী দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। তারা হলেন- জেবেল রহমান গানি, সুমি আক্তার শিল্পী ও মো. ওয়াজি উল্লাহ মাতব্বর অজু।
জাতীয় পার্টি-জেপি কুড়িগ্রাম-৪ ও পিরোজপুর-২ আসনে দলের প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক বাইসাইকেল দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
২৯৮ আসনে লড়বে ইসলামী আন্দোলন: নির্বাচনে জোট-মহাজোটের বাইরে থাকা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থীরা ২৯৮টি আসনে দলীয় প্রতীক ‘হাতপাখা’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
চূড়ান্ত প্রার্থীদের আজ সোমবার প্রতীক বরাদ্দ দেবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপরই শুরু হবে প্রচার উৎসব। প্রচারের সময় যাতে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন না হয়, সে জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। পাশাপাশি ভোটের মাঠে রয়েছে ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি। এসব কমিটির কাছে নির্বাচনী অপরাধ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে পারবেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এমএস/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।