নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে এক ব্যক্তির ফোনালাপ হাতে পাওয়ার দাবি করেছে থাইল্যান্ড ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল এশিয়ান ট্রিবিউন। তাদের দাবি, মেহমুদ নামের ওই। ব্যক্তি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) কর্মকর্তা।
ফোনালাপটি তাদের দু`জনেরই কিনা সেটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে এশিয়ান ট্রিবিউনের দাবি, ৭ মিনিটের ফোনালাপটির বিষয়ে তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ আছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে সাহায্য করার জন্য আইএসআই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ফোনালাপে দাবি করেন মেহমুদ নামের ওই ব্যক্তি। ফাঁসকৃত ফোনালাপে নির্বাচনে বিএনপিকে জয়ী করতে আইএসআই`র কাছে খন্দকার মোশাররফকে সাহায্য চাইতে শোনা যায়।
এজন্য একপর্যায়ে তিনি চীনকে ম্যানেজ করার জন্য মেহমুদের কাছে সাহায্য চান। মেহমুদ তার জবাবে জানান চীনের সঙ্গে বিএনপিকে সাহায্যের ব্যাপারে তাদের (আইএসআই) যোগাযোগ চলছে। বিএনপির এ নেতাকে আইএসআই`র বিশ্বস্ত বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেন। খন্দকার মোশাররফও তাদের বন্ধু হয়েই থাকতে চান বলে মেহমুদকে আস্বস্ত করেন।
ফোনালাপে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে আগেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এই এজেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বিএনপির সিনিয়র এ নেতা।
দু`জনের ফোনালাপটি তুলে ধরা হল-
মোশাররফ: আসসালামু আলাইকুম ভাইজান।
মেহমুদ: আসসালামু আলাইকুম ভাইজান। কেমন আছেন?
মোশাররফ: ভালো আছি। ধন্যবাদ।
মেহমুদ: অনেকদিন পর আপনার সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগছে।
মোশাররফ: জী, জী। আমার কথা মনে আছে! ওই যে শেষবার ইসলামাবাদের একটা হোটেলে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছিলো।
মেহমুদ: হ্যাঁ, হ্যাঁ। এখন মনে পড়ছে।
মোশাররফ: হোটেলে আপনি একজন অতিথির সঙ্গে এসেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে।
মেহমুদ: হ্যাঁ, হ্যাঁ। মনে পড়েছে।
মোশাররফ: কেমন আছেন আপনি? কোথায় আছেন?
মেহমুদ: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি এখন দুবাই আছি। যদি সম্ভব হয় এবং সময় পেলে আমার সঙ্গে দেখা করেন। আপনার সঙ্গে দেখা করা জরুরি।
মোশাররফ: অবশ্যই। আমি কিছু বলতে চাই। আমরা এখন বাংলাদেশে বেশ সমস্যার মধ্যে আছি। আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। একটি মামলায় আমার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আমি দেশের বাইরে যেতে পারছি না। এই হলো আমার অবস্থা।
মেহমুদ: আমার যতদূর মনে পড়ে আপনি আমাদের একজন এজেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
মোশাররফ: হ্যাঁ, আমি আপনাদের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম।
মেহমুদ: ঠিক আছে। তবে আমাদের সঙ্গে আপনার দেখা হওয়াটা জরুরি।
মোশাররফ: দেখা হলে তো ভালই হতো। তবে আমরা এখন ভীষণ সমস্যার মধ্যে আছি। এই বিপদ থেকে আপনারাই আমাদের উদ্ধার করতে পারেন। আপনারা সবই জানেন।
মেহমুদ: জ্বী, জ্বী।
মোশাররফ: আমার মনে হয় আপনি সবই জানেন।
মেহমুদ: আপনি বাংলাদেশে আমাদের একমাত্র প্রকৃত বন্ধু। আমরা আপনার সঙ্গে আমাদের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম।
মোশাররফ: আমি আপনাদের বন্ধু হিসেবেই থাকতে চাই। যদিও আপনাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করাটা আমার পক্ষে এখন সম্ভব নয়। সেটি করতে পারলে উপকৃত হতাম। তবে আমি বাংলাদেশে আপনাদের এজেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করবো। আপনি সেটার খবর অবশ্যই পাবেন। আমি বলতে চাই, আপনারা যদি চীনকে ম্যানেজ করতে পারেন তবে এই নির্বাচনে আমরা ভালো ফল পেতে পারি।
মেহমুদ: অবশ্যই। আমরা চীনের বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। কাজ অলরেডি শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত হলে আরো অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যেত। যাই হোক সেটি তো আর সম্ভব হচ্ছে না।
মোশাররফ: আপনারা চাইলে এখানে আমি আপনাদের যেকোনো লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলতে পারি। তবে আমার পক্ষে বিদেশে গিয়ে সাক্ষাৎ করাটা সম্ভব নয়।
মেহমুদ: বুঝতে পেরেছি। তবে আপনি চিকিৎসা বা ওমরাহ করার বাহানায় বিদেশে আসতে পারলে আপনার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা যেত। যাই হোক, আমাদের এজেন্ট আপনার সঙ্গে শীঘ্রই দেখা করে কথা বলবে।
মোশাররফ: হুমম। আপনাদের কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্ট যদি আমার সঙ্গে দেখা করে, তবে সেটি উত্তম হয়। সেক্ষেত্রে আমি আপনাদের এজেন্ট বা আপনাদের সঙ্গে পরবর্তীতে আলোচনা করবো।
মেহমুদ: অবশ্যই। আমারা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার। আপনি যা বললেন তা আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবো। আশা করি, বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো। একই সঙ্গে আমরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের এজেন্ট মারফত আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবো। আপনাদের জন্য কাজ করার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত।
মোশাররফ: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।
মেহমুদ: আপনাকেও ধন্যবাদ। এখন আমাদের উভয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় একে অপরকে সহায়তা করতে হবে। তবেই আমাদের মিশন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।
মোশাররফ: আমরা যেটা অনুধাবন করতে পেরেছি যে, একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। কারণ আমরা ভীষণ বিপদের মধ্যে আছি। আমাদের সাহায্য দরকার।
মেহমুদ: অবশ্যই, অবশ্যই। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। যেভাবেই হোক বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে হবে। যেহেতু আপনি বলছেন সরাসরি সাক্ষাৎ সম্ভব নয়, তাই আমরা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করছি। যদি কোনদিন সম্ভব হয় আপনার সঙ্গে দেখা হবে।
মোশাররফ: অবশ্যই। আমি চেষ্টা করছি পাসপোর্ট ফিরে পেতে। পাসপোর্ট হাতে পেলেই আপনাদের সঙ্গে দেখা করবো।
মেহমুদ: জ্বী।
মোশাররফ: এবং আমি এখানে (ঢাকায়) আপনাদের এজেন্টের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবো।
মেহমুদ: অবশ্যই। ঢাকায় আমাদের এজেন্টের সঙ্গে আপনার সাক্ষাতের বিষয়টি আমরা দেখছি। এরপরও আপনার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে ইনশাআল্লাহ।
মোশাররফ: আমিও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করবো। সেক্ষেত্রে আপনি আমাকে আপনাদের পুরনো বন্ধু হিসেবে ভাবতে পারেন।
মেহমুদ: অবশ্যই। এজন্যই কিন্তু আপনার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।
মোশাররফ: আপনার সহযোগিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি জানি আপনারা আমাদের ভুলে যাবেন না। যার কারণেই কিন্তু আপনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।
মেহমুদ: অবশ্যই, অবশ্যই।
মোশাররফ: আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবো। বন্ধুত্বের খাতিরে হলেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।
মেহমুদ: ইনশাআল্লাহ। আপনি এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।