ইনসাইড পলিটিক্স

সেনা মোতায়েন: বিএনপির জন্য হিতে-বিপরীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

সমঝোতার পথে না গিয়ে আরেকটা বিপর্যয়ের মুখোমুখি বিএনপি। তারেক জিয়া যেভাবে লন্ডন থেকে নাটকের প্লট সাজিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় সেটাই এখন বুমেরাং হয়েছে বিএনপির জন্য। এখন বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তারেক জিয়ার পরিকল্পনা ছিল, ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে বিএনপির কর্মীরা একযোগে মাঠে নামবে। আওয়ামী লীগের উপর আক্রমণই না, ভোটকেন্দ্র, থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আক্রমণ করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে যেন হয় আওয়ামী লীগ মাঠ থেকে পালিয়ে যায় অথবা এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে নির্বাচন করাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। মূলত: নির্বাচন বানচালের এমন এক নীলনক্সা নিয়ে এগিয়েছিল লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। কিন্তু নির্বাচনের দিন যতোই এগিয়ে আসছে, ততোই তারেকের পরিকল্পনা বুমেরাং হচ্ছে বিএনপির জন্য।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপির প্রচুর নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট মামলায় ২০১৩, ২০১৪ সালের সন্ত্রাস, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যে মামলা গুলো ছিলো, সেই মামলায় আসামী বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ কারণেই তফসিল ঘোষণার পর সরকার সুনির্দিষ্ট মামলায় এদের গ্রেপ্তার শুরু করে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। কারণ, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। অথচ বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলা সবই পুরনো। এসব মামলায় হয় এজাহার দেয়া হয়েছিল অথবা চার্জশিট দেয়া হয়েছে। কাজেই, নির্বাচনের আগে যারা সহিংসতা করতে পারে, তাদের আগে থেকেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে সারাদেশে ‘তাণ্ডব’ সৃষ্টির যে পরিকল্পনা তারেক করেছিলেন, তা ভেঙে গেছে।

তারেক জিয়ার দ্বিতীয় কৌশল ছিল; সেনাবাহিনী মোতায়ন হলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা সাহস পাবে। এ সময় প্রশাসনের একাংশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী। এ কারণেই বিএনপির পক্ষ থেকেও বারবার বলা হয়েছিল যে, সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আগেই নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেনাবাহিনী মাঠে নামলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই তালিকা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। ফলে, সেনা মোতায়ন বিএনপির জন্য হিতে বিপরীত হচ্ছে। কারণ সেনাবাহিনী প্রশাসনের তালিকার বাইরে কোন অভিযান বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। বিএনপিতে তাই নতুন আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, সেনা মোতায়েন হলে পরিস্থিতি বিএনপির জন্য আরো প্রতিকূল হবে। বিএনপির নেতারা বলছেন, সরকার পরিকল্পনা করেই আগে থেকে সেনা মোতায়েন করছে। এর ফলে, বিএনপির আন্দোলনও হবে না, নির্বাচনে জয়লাভও হবে না। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার কৌশলে বার বার বিএনপি এবং তারেক পরাজিত হচ্ছে।’

বাংলা ইনসাইডার/এমআর    



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ, পুলিশের বাধায় নেতাকর্মীরা

প্রকাশ: ০১:১৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।

পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।

তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।


নয়াপল্টন   বিএনপি   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন থেকে সরলেই বহিষ্কৃতদের ক্ষমা করবে বিএনপি

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সুযোগ দিতে চাচ্ছে বিএনপি। সেক্ষেত্রে ভোট থেকে সরে এসে ক্ষমা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে তার সরে আসার খবর জানাতে হবে।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর শান্তিনগরে বিএনপির উদ্যোগে পথচারীদের মধ্যে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনো সুযোগ আছে যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন, দল তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল শনিবার আরো তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষৃ্কতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলার হালুয়াঘাট বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।

একই কারণে এর আগের দিন শুক্রবার ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।

এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় পৌরসভায় একজন এবং ইউনিয়ন পরিষদে আটজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২১ এপ্রিল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৮৫ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   রুহুল কবীর রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: কাদের

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।

রোববার (২৮ এপ্রিল) শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার মনে হয় এরা (বিএনপি) পড়াশোনা করে না। কথাটা বলেছেন (বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। পাকিস্তান একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত। এতে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে। শেহবাজ শরীফ যা দেখে সেটাও দেখে না। তারা (বিএনপি) কেন দেখে না সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন’।

জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে, কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে’। 

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫'এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদত দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে’। 


ওবায়দুল কাদের   বিএনপি   শেখ জামাল   নানী কবরস্থান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পৌরসভা-ইউপিসহ শত পদে চলছে ভোট

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০০ পদে সাধারণ ও শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, স্থানীয় সরকারের ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া দুইটি পৌরসভায় মেয়র ও দুইটি জেলা পরিষদে কাউন্সিলর এবং ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্যপদে উপনির্বাচন হচ্ছে। এ ছাড়া সাতটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে।

এর মধ্যে নীলফামারীর জলঢাকা ও রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচন হচ্ছে। পাশাপাশি সাত পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে– ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, খুলনার চালনার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, গাইবান্ধা পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নওগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নোয়াখালীর কবিরহাটের ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর, টাঙ্গাইলের কালীহাতির ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

যে ১৯ ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে– লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়া; পটুয়াখালীর কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলী; সাতক্ষীরার আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও পোকখালী।

গত ২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে ইসি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে।



উপজেলা নির্বাচন   জেলা পরিষদ   পৌরসভা   ইউনিয়ন পরিষদ   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় গণ প্রতিরোধের মুখে মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন এবং নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন এবং তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে তাদের মাই ম্যানদেরকে জয়ী করার জন্য চেষ্টাও চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর এড়ায়নি প্রসঙ্গটি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে এ ব্যাপারে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের আধিপত্য বজায় রাখা এবং নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য মাই ম্যানদের প্রার্থী করেছেন। কেউ আত্মীয় স্বজনকে, কেউ নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। আর এই প্রার্থী করার ফলে এলাকার মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অসন্তোষ, ক্ষোভ এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

আর আওয়ামী লীগ দলগতভাবে যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন নির্দেশনা দিয়েছেন যে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না, তখন মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের বিরুদ্ধে একটি গণ প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে উপজেলার নির্বাচনগুলোতে।

একাধিক উপজেলায় দেখা গেছে, মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়েছে এবং স্থানীয় তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে তারা কাজ শুরু করেছেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের নিজেদের প্রার্থী দিয়েছেন তারা এখন নিজস্ব বলয়ের বাইরে মূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাচ্ছেন না।

অবশ্য কোন কোন উপজেলায় আগেই প্রভাব বিস্তার শেষ করে ফেলেছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রার্থীরা। তারা কোথাও কোথাও একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু যে সমস্ত এলাকায় এটা সম্ভব হয়নি, যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী সেই সমস্ত এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে পড়ছেন উপজেলার প্রার্থীরা। ফলে শেষ পর্যন্ত যদি উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ থাকে তাহলে বেশিরভাগ উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের ভরাডুবি ঘটবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন উপজেলায় যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন, কাজেই মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটা হল একেবারেই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন এবং এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা নেতাকর্মীদের দায়িত্ব।

আর এ কারণেই নেতাকর্মীরা এখন মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন এবং তারা তাদের বিকল্প প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর ফলে উপজেলা নির্বাচন একটি নতুন মাত্রা এবং প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করেছে।


উপজেলা নির্বাচন   গণ প্রতিরোধ   মন্ত্রী-এমপি   মাই ম্যান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন