ইনসাইড পলিটিক্স

রাজশাহী ও নাটোরের ১০ আসন: নৌকা ৪, ধানের শীষ ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

দেশের উত্তরের দুই জেলা রাজশাহী ও নাটোরে নির্বাচনী আসন রয়েছে ১০টি। রাজশাহী জেলার হালনাগাদ ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৩৫০। এদের মধ্যে নারী ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৭ এবং পুরুষ ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৩। অন্যদিকে নাটোরে মোট ভোটার ১৩ লাখ ৩ হাজার ৭৩১। এর মধ্যে নারী ভোটার ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৩। আর পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৫০ হাজার ৩৮৮। এই আসনগুলোর রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং অতীত নির্বাচনের ফলাফলসহ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে, এখানে নৌকা ৪টি এবং ধানের শীষ ৬টি আসন পাবে।

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা)

রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমিনুল হক। এই এলাকায় আওয়ামী লীগের মধ্যে অন্তঃকলহ প্রকট। ‘সেভেন স্টার’ নামে পরিচিত গোদাগাড়ী ও তানোরের ৭ আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছিলেন। তারা একযোগে ফারুক চৌধুরীর বিরোধিতাও করেছিলেন। এখন প্রকাশ্যে তারা ফারুকের প্রচারণায় অংশ নিলেও গোপনে তাঁর বিরোধিতা করছেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে আমিনুল হক এই এলাকার প্রভাবশালী নেতা। ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে তিনি এখানকার সাংসদ নির্বাচিত হন। গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। একারণে এই আসনে ধানের শীষ জিতবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।

রাজশাহী-২ (রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকা)

এই আসনে বিএনপির মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে লড়ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হাসান বাদশা। ফজলে হাসান বাদশা এই আসনের বর্তমান সাংসদ। ২০০৮ এর নির্বাচনেও তিনি এখান থেকে জয় পেয়েছিলেন। তবে এবার এই আসনে ধানের শীষ জয় পাবে বলে মনে করছে বাংলা ইনসাইডার। কারণ মিনু এই এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০০১ সালে তিনি এই আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন। ওয়ান ইলেভেনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছে। বিগত ১০ বছরে তিনি নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। এটা তাঁর প্রতি মানুষের সহানুভূতি এবং সমর্থন আরও বাড়িয়েছে। 

রাজশাহী-৩ (পবা ও মোহনপুর উপজেলা)

এখানে আওয়ামী লীগের আয়েন উদ্দিনের মুখোমুখি হয়েছেন বিএনপির শফিকুল হক মিলন। এই এলাকায় বিএনপির সমর্থন বেশি। তাছাড়া এখানে বিএনপির নেতা কর্মীদের নানাভাবে নির্যাতন নিপীড়নের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এটা ধানের শীষের পক্ষে ভোট টানতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে আয়েন উদ্দিন এই আসনের বর্তমান সাংসদ। মাত্র এক মেয়াদ ক্ষমতায় থেকেই তিনি নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। এসব কারণে আমরা মনে করছি এখানে ধানের শীষ জয় পাবে।

রাজশাহী-৪ (বাঘমারা উপজেলা)

এই আসনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এনামুল হক এবং বিএনপির আবু হেনা। সাবেক সচিব আবু হেনা ১৯৯৬ ও ২০০১ পরপর দুই মেয়াদে এই আসনের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে এনামুল হকও গত দুই মেয়াদ ধরে এই আসনের সাংসদ। এই আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপি দুই দলেই বিভক্তি রয়েছে বলে জানা যায়। তবে নির্বাচনকে সামনে জয়ের জন্য বিএনপি অনেকটাই একতাবদ্ধ। তবে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে বিবাদ মিটিয়ে ফেলার কথা বললেও গোপনে নেতারা একে অপরের বিরোধিতা করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এসব কারণে এখানে ধানের শীষ জয় পাবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলা)

এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনসুর রহমান। অন্যদিকে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নাদিম মোস্তফা। মনসুর রহমান একেবারেই নতুন প্রার্থী। অন্যদিকে নাদিম মোস্তফা ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর দুই মেয়াদে এলাকার সাংসদ নির্বাচিত হন। এই এলাকায় তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিএনপিও এখানে শক্তিশালী। একারণে ধানের শীষ এই আসনে জিতবে বলে মনে করছি আমরা।

রাজশাহী-৬ (চারঘাট ও বাঘা উপজেলা)

এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি এই আসনের গত দুই মেয়াদের সাংসদ। তরুণ এই নেতা নিজ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন আবু সাইদ চাঁদ। তবে উচ্চ আদালতের আদেশে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এখানে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন ইকবাল হোসেন। জনসমর্থন কিংবা শক্তি সামর্থে তিনি শাহরিয়ার আলমের তুলনায় একেবারেই দুর্বল। এ কারণে এই আসনে নৌকার জয় নিশ্চিত বলেই মনে করছি আমরা।

নাটোর-১ (লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা)

নাটোর-১ আসনে নৌকার শহীদুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনজুরুল ইসলাম। এই দুজনই নতুন প্রার্থী। তবে প্রচার- প্রচারণা কিংবা সাংগঠনিক শক্তির দিক থেকে এখানে আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে। এ কারণে বাংলা ইনসাইডারের প্রেডিকশন হলো, এই আসনে নৌকা জয় পাবে।

নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলা)

এখানে আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাবিনা ইয়াসমিন। সাবিনা ইয়াসমিন বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী। দুলু সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তবে এলাকায় তাঁর প্রভাব রয়েছে। স্বামীর বদলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সাবিনা এলাকাবাসীর সহানুভূতি পাচ্ছেন। এটা নিশ্চিতভাবেই তাঁর ভোট বাড়াবে। অন্যদিকে শফিকুল ইসলাম এখানে কিছুটা দুর্বল। এসব কারণে এখানে ধানের শীষের জয় দেখছি আমরা।

নাটোর-৩ (সিংড়া উপজেলা)

এই আসনে আওয়ামী লীগের জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির দাউদার মাহমুদ। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এই আসনের বর্তমান সাংসদ। ২০০৮ সালেও তিনি এখান থেকে জয় পেয়েছিলেন। তরুণ এই নেতা এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। গত ১০ বছরে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তিনি। এতে তাঁর জনসমর্থন আরও বেড়েছে। বিপরীতে দাউদার মাহমুদ এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। জনসমর্থন এবং প্রচার প্রচারণাতেও তিনি অনেকটাই পিছিয়ে। এ কারণে এই আসনে নৌকার জয় দেখছি আমরা।

নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলা)

নাটোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল কুদ্দুসের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল আজিজ। আবদুল কুদ্দুস প্রবীণ নেতা। এলাকায় তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। এর আগে পাঁচটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে চারটিতেই জয় পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ধানের শীষের আবদুল আজিজ একেবারেই নতুন প্রার্থী। আবদুল কুদ্দুসকে হারিয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ঠ শক্তিশালী অবস্থানে নেই তিনি। এ কারণে এখানে নৌকা জিতবে বলে প্রেডিক্ট করছে বাংলা ইনসাইডার।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘এক জায়গা বউকে, আরেক জায়গা ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না’

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ কেউ আগে থেকেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, বা উপজেলা চেয়ারম্যান আছেন। আবার নিজের স্ত্রী বা ছেলেকে নির্বাচনে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। এক জায়গা বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত।

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
 
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা সংক্রান্ত ওই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, পারিবারিক ফর্মুলায় কারা পড়েন? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো? হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলে-মেয়ে, কয়জন স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন? এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। যেন প্রভাব বেশি না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’ 

তিনি বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না,বিরাট ব্যাপার দেখালাম।আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হাসপাতালে থেকে আজই বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।

এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। 


খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওমরাহ পালনে আজ সস্ত্রীক সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০১:৩১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম। 

বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


মির্জা ফখরুল   ওমরাহ হজ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে বিজেপির আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করেছে।

এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।

ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।


ভারত নির্বাচন   বিজেপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পানি ও শরবত বিতরণ

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ বিপর্যস্থ জনজীবনে পরিশ্রান্ত ও তৃষ্ণার্ত জনসাধারণের মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র নেতৃত্বে সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বুধবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্পট ঘুরে বেলা সাড়ে তিনটায় জিগাতলায় এসে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ- সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ হান্নান হাওলাদার শাওন প্রমুখ।


স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন