নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচন বর্জন নয়, বরং এখনো আশা দেখছে বিএনপি। ৭টি আসনে প্রার্থী নেই বিএনপির। ১৪টি আসন এখনো আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায়। ২৫ জন প্রার্থী জেলে। তবুও নির্বাচনে নাটকীয় ভোট বিপ্লব দেখছে বিএনপি। বিএনপির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনের মাঠ ছাড়বে না বিএনপি। যদিও নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে বিএনপির মধ্যে তীব্র চাপ আছে। বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি সারাদেশে যে জরিপ করেছে তাতে ভোট বিপ্লবের তথ্য পাচ্ছে দলটি। বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, ‘৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি হবে যা আগে কেউ কখনো দেখেনি।’
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলছেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করবে, ভোট থেকে সরে যাবে এসবই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচারণা। আওয়ামী লীগ জানে, ‘ন্যূনতম’ অবাধ নির্বাচন হলে, তাদের জয়ের কোন সম্ভাবনা নেই। বিএনপি নেতারা বলছেন, এ কারণেই সরকার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে যাতে আমরা নির্বাচন বর্জন করি। বিএনপির একজন নেতা বলছিলেন, ‘নির্বাচন বর্জন করলে কি হবে? সরকার একতরফা নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকবে।’ ঐ নেতা বলেন, ‘এটা আমরা করবো না।’তিনি বলেন, ‘দেখেন অপেক্ষা করেন ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।’বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন বর্জন নয় বরং ভোটের দিন কি করতে হবে, সে সম্পর্কে নির্দেশনা দিচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। আগামী ২৭ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেষ নির্বাচনী জনসভা করবে। বিএনপির নেতারা বলছেন, ঐ নির্বাচনী জনসভার পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করবে। ঐ নির্বাচনী জনসভায় প্রতিটি কর্মীকে সকালে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট গণনা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র পাহারা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে।
বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘সরকার যতোই নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করার চেষ্টা করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত জনগণ তা হতে দেবে না।’বিএনপির ঐ নেতা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত যদি ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে তাহলে সরকারের সব প্রতিরোধই ভেস্তে পড়বে।’বিএনপির অন্য একজন নেতা বলেছেন,‘ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করাটাই বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ। যদি ভোটারদের উপস্থিতি মোটামুটি নিশ্চিত করা যায়, সেক্ষেত্রে শাসক দলের পরাজয় অনিবার্য।
বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বশেষ যে জরিপ করা হয়েছে, তাতে ১১২টি আসনে তাদের নিশ্চিত বিজয়ের পূর্ভাবাস দেয়া হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, এরকম আরো ৫৩টি আসন রয়েছে যেখানে ন্যূনতম নিরাপক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির জয় সম্ভব। মূলত শেষ জরিপই ভোটের লড়াইয়ে বিএনপিকে থাকতে উৎসাহিত করছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।