নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কুমিল্লায় নির্বাচনী আসন রয়েছে ১১টি। এখানে মোট ভোটার ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার ৪৭৪। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৭১৯। আর পুরুষ ভোটার ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৫। গত ১০ বছর ধরে এখানে আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য থাকলেও এই জেলায় মূলত বিএনপির প্রভাব বেশি। সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে এখানে ধানের শীষ ৭টি এবং নৌকা ৪ট আসনে জয় পাবে।
কুমিল্লা-১
কুমিল্লা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হেভিওয়েট নেতা খন্দকার মোশাররফ। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সুবিদ আলী ভুঁইয়া। খন্দকার মোশাররফ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। এই এলাকাতেও তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত টানা তিনবার এই আসন থেকে জয় পায় বিএনপি। অন্যদিকে নৌকার সুবিদ আলী ভুঁইয়া এই এলাকায় গত দুই মেয়াদের সাংসদ হলেও জনসমর্থনের দিক দিয়ে তিনি খন্দকার মোশাররফের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন। এ কারণে এই আসনে ধানের শীষের জয়ের সম্ভাবনা বেশী।
কুমিল্লা-২
এই আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। ২০০৮ সালে বিএনপির ভরাডুবির নির্বাচনেও এই আসন থেকে জয় পেয়েছিল তারা। এখানেও ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন খন্দকার মোশাররফ। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছে সেলিমা আহমেদ। খন্দকার মোশাররফ এই এলাকার ১৯৯১ থেকে ২০০১ টানা তিন মেয়াদের এমপি। অন্যদিকে সেলিমা আহমেদ একেবারেই নতুন প্রার্থী। অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা সব দিক থেকেই খন্দকার মোশাররফের থেকে পিছিয়ে তিনি। এ কারণে এই আসনে ধানের শীষের জয় অনেকটাই নিশ্চিত।
কুমিল্লা-৩
কুমিল্লা-৩ আসনটিও বিএনপির ঘাঁটি। এখানে বিএনপির প্রার্থী কাজী মুজিবুল হক। আর আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইউসুফ আবদুল্লাহ। ইউসুফ আবদুল্লাহ এই এলাকার বর্তমান সাংসদ হলেও এলাকায় তিনি খুব একটা শক্ত অবস্থানে নেই। অন্যদিকে কাজী মুজিবুল হক নতুন প্রার্থী। তবে এলাকায় বিএনপির সমর্থন বেশি থাকায় এখানে ধানের শীষের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।
কুমিল্লা-৪
এখানে আওয়ামী লীগের রাজি মোহাম্মদ ফখরুলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জেএসডি’র আবদুল মালেক। রাজি মোহাম্মদ ফখরুল ২০১৪ সালে স্বন্তন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছিলেন। এবারও এই আসনটি তাঁর দখলে থাকবে বলে মনে করছি আমরা। কারণ জেএসডি’র কোনো নেতা কর্মী নির্বাচনের মাঠে সরব নন। এখানে বিএনপির নেতা কর্মীদেরও সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সংঘবদ্ধ হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। এটা নিশ্চিতভাবেই নৌকাকে নির্বাচনী রেসে এগিয়ে রাখবে।
কুমিল্লা-৫
এই আসনে নৌকার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুল মতিন খসরু। আর বিএনপির প্রার্থী মো ইউনুস। আবদুল মতিন খসরু এই এলাকার জনপ্রিয় নেতা। এর আগে পাঁচবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে চারবারই জয়ী হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মো ইউনুস শুধুমাত্র ২০০১ সালে এই আসন থেকে জয় পান। এখানে এবার নৌকাই জিতবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা। কারণ প্রচার-প্রচারণা এবং জনপ্রিয়তায় নৌকার তুলনায় এখানে অনেকটাই পিছিয়ে ধানের শীষ।
কুমিল্লা-৬
কুমিল্লা-৬ এ ধানের শীষের আমিন উর রশিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকার আ ক ম বাহাউদ্দিন। এই এলাকাতেও বিএনপির প্রভাব বেশি। এ কারণে এখানে ধানের শীষ জয় পাবে বলে মনে করছি আমরা।
কুমিল্লা-৭
এখানে আওয়ামী লীগের আলী আশরাফের প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ। এই দুজন ৩৮ বছর ধরে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছেন। এর মধ্যে রেদোয়ান আহমেদ চারবার জয় পেয়েছেন আর আলী আশরাফ জয় পেয়েছেন দুই বার। এবার এখানে রেদোয়ান আহমেদের জয় দেখছি আমরা। কারণ এই এলাকায় আওয়ামী লীগের মধ্যকার কোন্দল নির্বাচনী যুদ্ধে দলটিকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
কুমিল্লা-৮
এই আসনে বিএনপির জাকারিয়া তাহেরের বিরুদ্ধে লড়ছেন জাতীয় পার্টির নাছিমুল আলম। জাকারিয়া তাহের শক্তিশালী প্রার্থী। এখানে বিএনপিরও প্রভাব বেশি। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি এবার মাঝিবিহীন নৌকায় পরিণত হয়েছে। নির্বাচনী মাঠে তাদের কোনো নেতা কর্মীরই দেখা মিলছে না। এ কারণে এই আসনে ধানের শীষের জয় অনেকটাই নিশ্চিত।
কুমিল্লা-৯
কুমিল্লা-৯ এ আওয়ামী লীগের তাজুল ইসলামের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারুল আজিম। আনোয়ারুল আজিম শক্তিশালী প্রার্থী। এবার এলাকাবাসীর সহানুভূতিও পাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে দলীয় কোন্দলের কারণে তাজুল ইসলাম নির্বাচনী যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। একারণে এখানে ধানের শীষ জয় পাবে বলে প্রেডিক্ট করছে বাংলা ইনসাইডার।
কুমিল্লা-১০
আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা আ হ ম মুস্তফা কামাল এবার কুমিল্লা-১০ এর প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মুনিরুল হক চৌধুরী। আ হ ম মুস্তফা কামাল এই এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয়। এর আগে চারবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনবারই জয় পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বিএনপির মুনিরুল হকও শক্তিশালী নেতা। তবে এবার নির্বাচনী মাঠে তার দলীয় নেতাকর্মীরা একেবারেই নীরব। এ কারণে এখানে নৌকা জিতবে বলে মনে করছি আমরা।
কুমিল্লা-১১
কুমিল্লা-১১ এ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মুজিবুল হক। আর ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জামায়াতের আবু তাহের। মো. মুজিবুল হক গত দুই মেয়াদে এই এলাকার সাংসদ। এলাকায় তাঁর প্রভাব ও জনপ্রিয়তা আছে। বিপরীতে জামায়াতের আবু তাহের অনেকটাই নিষ্প্রভ। এজন্য এই আসনে নৌকা জয় পাবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।