ইনসাইড পলিটিক্স

তারকা প্রার্থীর অবস্থান কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন কিনেছিলেন বেশ কয়েকজন তারকা। তবে এর মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন হাতে গোনা কয়েকজন। তাদের খবর জানানো হয়েছে:

আকবর হোসেন পাঠান ফারুক

দল: আওয়ামী লীগ প্রতীক: নৌকা

আসন নং: ১৯০

আসন: ঢাকা-১৭ (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড- ১৫,১৮,১৯ ও ২০ এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা)

মোট ভোটার: ৩,১৩,৯৯৮

মোট প্রার্থী: ১০

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি: আন্দালিভ রহমান(জাতীয় পার্টি-বিজেপি) প্রতীক: ধানের শীষ, এইচ এম এরশাদ (জাতীয় পার্টি) প্রতীক: লাঙল

কৈশোরে দেখেছেন, মিশেছেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। সেই কিশোরবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু তার নায়ক, আদর্শ, লিডার! তার উৎসাহেই রাজনীতিতে আসা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু খুন হবার পর থেকে আর কোনোদিন ১৫ আগস্ট নিজের জন্মদিন পালন করেন না। নায়ক ফারুক স্কুলজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহভাজন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

গাজীপুর-৫ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন বলে মনোনয়ন কিনেছিলেন। তবে সেখানে নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি থাকায় তাকে ঢাকায় মনোনয়ন দেওয়া হয়। ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদেরকেও মনোনয়ন দেয়া হবে বলে কথা উঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফারুকই ওই এলাকার নৌকার মাঝি হন।

ফারুক বলেন,‘ ত্রিশ বছর ধরেই স্বপ্ন দেখেছি আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করব। কিন্তু নানা কারণে হয়ে উঠেনি। এবার মনোনয়ন পেয়েছি। আর এমন এক আসনে বঙ্গবন্ধু কন্যা নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন যা আমার ত্রিশ বছরের আক্ষেপ মুছে দিলো এক নিমিষেই। ঢাকা-১৭ আসনটি আমার জন্য স্বপ্নের, বিশেষ উপহারের। আমি আবেগী মানুষ। নেত্রীর এই অসামান্য উপহারে কৃতজ্ঞতায় আমার চোখে বারবার পানি এসেছে। তিনি আমাকে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসনে প্রার্থী করেছেন। ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি এই উপহার ও বিশেষ আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’

মানুষের মাঝে গিয়ে কী দেখছেন?‘সবাই শুধু বলেছেন, আমরা এবার নৌকা চাই। উৎসব করে নৌকার ইলেকশন করতে চাই। মানুষ আমাকে ভালবাসে জানতাম, কিন্তু সর্বস্তরের মানুষ এত কাছের ভাবে তা বুঝিনি। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে আবেগী হয়ে যাই।’

চিত্রনায়ক, পরিচালক, প্রযোজক- একাধিক পরিচয়ে তিনি পরিচিত। সব ছাপিয়ে ভক্তদের কাছে তার বড় পরিচয় তিনি ‘মিয়া ভাই’।

তার হাত ধরে ১৮ বছর পর গুলশান-বনানীতে নৌকা মার্কা ফিরলো। এই আসন থেকে অতীতে নির্বাচন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ। ২০১৪ সালের বিএনপিবিহীন নির্বাচনে বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ আসনটি থেকে নির্বাচিত হন, সেবার আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না এই আসনে।

আসাদুজ্জামান নূর

দল: আওয়ামী লীগ প্রতীক: নৌকা

আসন নং: ১৩

মোট ভোটার: ৩,১১,৬৯৯

নীলফামারী-২: নীলফামারী সদর উপজেলা

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি : মনিরুজ্জামান মন্টু (বিএনপি প্রতীক) প্রতীক: ধানের শীষ

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সফল ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর রাজনীতির মঞ্চেও সফল। নীলফামারী-২ (সদর উপজেলা) আসন থেকে তিনি পরপর তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছেন আওয়ামী লীগের টিকিটে। ১৯৬২ সালে স্বৈরাচারী আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন আসাদুজ্জামন নূর। পরবর্তীতে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আসাদুজ্জামান নূর মুক্তিযুদ্ধে ৬ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সক্রিয় সংস্কৃতিকর্মী আসাদুজ্জামান নূর ১৯৯৭ সালের দিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। সক্রিয় হন নীলফামারীর রাজনীতিতে। ২০০১ সালে প্রথম তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিরোধী দলের সংসদ সদস্য হয়েও ব্যাপক জনসম্পৃক্ততার কারণে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পান সংস্কৃতিমন্ত্রীর।

তাঁর প্রচেষ্টায় ২০০০ সালে নীলফামারীতে প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তরা ইপিজেড। সেই ইপিজেডে বর্তমানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩২ হাজার মানুষের। বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়া ইপিজেডটির উন্নয়ন ধরে রেখেছিলেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। বর্তমান সরকারের ১০ বছরে এই শিল্প অঞ্চলটির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তাঁর হাত ধরে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সেখানে ৫০ হাজার মানুষ কাজ করতে পারবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আসনটি থেকে টানা তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এসময় বলেন, ‘২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি বলেছিলাম এলাকার উন্নয়নের জন্য নৌকা মার্কাায় ভোট দিন। নীলফামারীর উন্নয়ন হয়েছে, প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে আশাতীত। এবার উন্নত নীলফামারী গড়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’

দশ বছরে এলাকার অনেক উন্নয়নের কথায় তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে শেখ হাসিনার প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ইপিজেডে ৩২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। মেডিকেল কলেজ, কারিগড়ি ও যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নাসিং ইনিস্টিটিউট, উন্নয়ন হয়েছে ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন হাসপাতালের, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ খেলাধুলার উন্নয়ন হয়েছে, নির্মিত হয়েছে আধুনিক স্টেডিয়াম। সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। শিল্প এবং কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নে এলাকা থেকে দূর হয়েছে এক সময়ের মঙ্গা। এখন দরকার পরিকল্পিত এবং উন্নত নীলফামারী গড়া।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক শাহীন আখতার সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সহধর্মিণী। এলাকার মানুষের সেবায় তাঁর সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন ডা. শাহীন। এই শিশু নিউরোলজিস্ট ও শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞ নীলফামারী সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করে আসছেন। বিনা মূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ এবং রোগীদের ওষুধ দেওয়া হয় ওই ক্যাম্পে। সহধর্মিণী অধ্যাপক শাহীন আখতারের এই কার্যক্রম আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে আসাদুজ্জামান নূরকে।

দলের নেতাকর্মীরা জানায়, আসাদুজ্জামান নূর থাকায় দলে চাঁদাবাজ নেই, সন্ত্রাস বলে নেই কিছু। তাঁর সরলতা এবং মানুষের সঙ্গে মেশার ক্ষমতা সম্মোহিত করছে সবাইকে।

প্রত্যক্ষ কোনো ব্যর্থতা নেই আসাদুজ্জামান নূরের রাজনীতিতে। সফলতার ভারে অনেক পরোক্ষ ব্যর্থতাও ম্লান হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের মতে, এমন ব্যর্থতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গত জেলা পরিষদের নির্বাচন। জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের কোন্দলে হেরেছে দলীয় প্রার্থী। এর আগেও এমন কোন্দল দেখা গেছে পৌরসভার নির্বাচনে। সে নির্বাচনে দলের প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হলেও পক্ষে বিপক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিভক্তি ছিল। পরবর্তী সময়ে এই বিভেদের অবসানও ঘটেছে তাঁরই হস্তক্ষেপে। নেতাকর্মীরা মনে করে—এসব বিপর্যয় এড়ানো যেত আসাদুজ্জামান নূরের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে।

মাসুদ পারভেজ

দল: জাতীয় পার্টি প্রতীক: লাঙল

আসন: বরিশাল-২ (উজিরপুর এবং বানারীপাড়া উপজেলা)

আসন নং: ১২০

মোট ভোটার: ৩,০২,৫৭১

মোট প্রার্থী: ৭

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি: সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ (বিএনপি) প্রতীক: ধানের শীষ, শাহে আলম (আওয়ামী লীগ) প্রতীক: নৌকা

চলচ্চিত্রের ড্যাশিং হিরো খ্যাত মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। ৭০ ও ৮০-এর দশকে ঢাকাই সিনেমার পর্দা কাঁপিয়েছেন দাপটের সঙ্গে। প্রযোজক হয়ে উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় ছবি। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ও মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রের প্রযোজক। এবার রাজনীতির মাঠে জনপ্রিয় হিরো তার কারিশমা দেখাবেন। জাতীয় পার্টির টিকিটে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাকে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে নির্বাচন করার জন্য দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সোহেল রানা বলেন, নিজেকে দেশের সেবায় সর্বদা ব্রত রাখার চেষ্টা করেছি। ছাত্র অবস্থা থেকেই রাজনীতি করে আসছি। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। এবার সংসদ সদস্য হিসেবে দেশ ও জনগণের সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। দেশের উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করব, এটাই আমার অন্যতম অঙ্গীকার। আমি দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চাই। যাতে প্রকৃত অর্থে দেশ ও জনগণের মঙ্গলে কাজ করতে পারি।’

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের ৪১৪৭ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন সোহেল রানা। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) করা আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন এ নায়ক।

রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা

দল: বিএনপি প্রতীক: ধানের শীষ

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি: মোহাম্মদ নাসিম (আওয়ামী লীগ) প্রতীক: নৌকা

সিরাজগঞ্জ-১: কাজিপুর এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নলিখিত ইউনিয়ন সমূহঃ মেছড়া, রতনকান্দি, বাগবাটি, ছোনগাছা ও বহুলি

আসন নং: ৬২

মোট ভোটার: ৩,৪৫,৬৭৬

কনকচাঁপা সিরাজগঞ্জের কাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন তিনি। স্বামী সুরকার মইনুল ইসলামকে নিয়ে তিন নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন।

ভোট প্রার্থনার সময় কনকচাঁপা অভিযোগ করেছেন, ‘প্রচারণায় সরাসরি বাধা না দেওয়া হলেও মুঠোফোনে হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তারপরও আমার মতো করেই প্রচারণা চালাতে হবে। আমার ভরসা সাধারণ মানুষ। আমি মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, ভোটাররা যদি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান, তাহলে আমি ভালো ফলাফল করব। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’

নির্বাচনে অংশ নিতে চান কেন? কনকচাঁপা বললেন, ‘ছোটবেলা থেকে মাকে সমাজসেবা করতে দেখেছি। মানুষের প্রতি ভালোবাসা, অসহায়ের পক্ষে কথা বলা-এগুলো ছিল মায়ের অভ্যাস। তাঁর আদর্শেই বড় হয়েছি। যখন পেশাদার শিল্পী হয়েছি, তখন থেকেই অসহায়ের পাশে আছি। সমাজের সব অসংগতির বিরুদ্ধে আমার কঠোর অবস্থান। একজন সফল শিল্পী হয়েও কখনো আমার বিত্তকে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তে পরিবর্তন করিনি। আমার মানসিক শক্তি, শারীরিক শক্তি সবই বর্তমান। আমি একজন সাহসী মানুষ বটে। আর মানুষের পাশে দাঁড়াতে বড় প্ল্যাটফর্ম দরকার। আমি মনে করি, নির্বাচন সেই প্ল্যাটফর্ম।’

নির্বাচনে অংশগ্রহন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পঞ্চাশের ঘরের একজন মানুষ। এই বয়সেই গানের জগতের সব পুরস্কার, মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পেয়েছি। নাতি-নাতনি, মেয়েজামাই, ছেলেবউদের দিয়ে সাজানো বেহেশতের বাগানের মতো আমার সংসার। কিন্তু এই জীবন ছেড়ে নির্বাচনের যুদ্ধে নেমেছি মানুষকে ভালোবেসে। কারণ, তাঁদের অপার ভালোবাসার বিনিময়ে অনেক বেশি ভালোবাসা উপহার দিতে চাই।’

তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বর্তমান সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

মমতাজ বেগম

দল: আওয়ামী লীগ প্রতীক: নৌকা

মানিকগঞ্জ-২: সিঙ্গাইর, হরিরামপুর এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া, ভাড়ারিয়া ও পুটাইল ইউনিয়ন সমূহ

মোট ভোটার: ৪,০৬,১৯৫

মোট প্রার্থী: ৬

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি: মাঈনুল ইসলাম খান (বিএনপি) প্রতীক: ধানের শীষ

মানিকগঞ্জ-২ আসন (সিংগাইর-হরিরামপুর সদরের আংশিক) আসনের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রচার প্রচারণায় সরব ও মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম এমপি। তিনি সরকারের উন্নয়নের বার্তা জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্বাচনী প্রতিটি এলাকার পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক, কেন্দ্র মিটিং, পথসভা, গণসংযোগ, সভাসমাবেশ করে তৃণমূল ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন। এই আসনের বর্তমান সাংসদও মমতাজ বেগম। ২০০৮ সালে প্রথমে সংরক্ষিত আসনে, দ্বিতীয়বার ২০১৪ সালের নির্বাচনে এমপি হন তিনি।

হিরো আলম

বগুড়া-৪: কাহালু এবং নন্দীগ্রাম উপজেলা

আসন নং: ৩৯

মোট ভোটার: ৩,১২,০৮১

মোট প্রার্থী: ৭

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি: মোশারফ হোসেন (বিএনপি) প্রতীক: ধানের শীষ রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ) প্রতীক: নৌকা

নির্বাচনের মৌসুমে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র তুলেও ব্যাপক সাড়া ফেলেন হিরো আলম। যদিও দলটি তাকে মনোনয়ন দেয়নি। পরবর্তী সময়ে তিনি বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুললে তা বাতিল করা হয়। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনেই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে। মনোনয়নপত্রে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে। হিরো আলম আদালতে গেলে হাইকোর্টের নির্দেশে তাকে মনোনয়নপত্র ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ নিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমে আসেন। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর প্রতীক সিংহ তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিশ সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। এভাবে হিরো আলমের তৈরি মিউজিক ভিডিও এবং ইউটিউব সিনেমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন। পরে ‘মার ছক্কা’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। বলিউড পরিচালক প্রভাত কুমারের ‘বিজু দ্য হিরো’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান। হিরো আলম দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে আসেন।


বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির লক্ষ্যই হলো চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা: কাদের

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে।

শনিবার (৪ মে) রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে অভিযোগ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে ফাঁদ মনে করে, আর সে কারণেই তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়।  তিনি বলেন, বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাঁক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে।’

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না। বরং জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি। 


বিএনপি   ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কার হওয়া পাঁচ নেতাকর্মী হলেন, পঞ্চগড় জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও বোদা উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব এবং বোদা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কলস মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, একই উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, বোদা ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল।

নোটিশে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সকল নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের সকল নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলমান। কিন্তু এর মাঝে যারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে না মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বহিষ্কার করেছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তারেকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেতাদের

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে যারাই প্রার্থী হবে তাদেরকেই বহিষ্কার করা হবে। তারেক জিয়ার এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। হেভীওয়েট নেতারা বলছেন, এধরনের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং ঢালাওভাবে এধরনের সিদ্ধান্ত দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদেরকে দলের সিনিয়র নেতারা আশ্বস্ত করেছেন এ বিষয়টি তারা দেখবেন। আর এই আশ্বাসের কারণেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপির প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন না। তারা বুঝতে পেরেছেন এ সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনা করা হবে পুর্নমূল্যায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গীরাও তারেকের ওপর বিরক্ত

প্রথম দফায় বিএনপির ৬৩ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ৫ জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। দ্বিতীয় দফায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৩ জন। তাদের মধ্যে থেকে মাত্র ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আর তৃতীয় দফায় বিএনপির ৬৮ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

অন্যান্য নির্বাচনগুলোতে যেমন বিএনপি নেতাদের হুমকির পর পরই প্রার্থীরা তাদের মনোন য়ন প্রত্যাহার করেন, এবার তা হচ্ছে না। দলের নির্দেশনা অমান্য করেই উপজেলা নির্বাচনের মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা রয়েছেন। এর পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিভক্তি। বিএনপির যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা মনে করছেন, এই নির্বাচন তাদের মধ্যে একটি সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। নির্বাচনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে প্রার্থী হিসেবে বহাল থাকতে পারলে তাদের জন্য জয় সহজ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। এই কারণেই দলের নির্দেশনা অমান্য করছেন।

আবার কেউ কেউ ভিন্ন চিন্তা থেকে নির্বাচন করছেন। তারা মনে করছেন যে, একের পর এক নির্বাচন বর্জনের কারণে নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে, সংগঠন দূর্বল এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরকম বাস্তবতায় যদি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যায় তাহলে কর্মী সমর্থকদের কাছে যাওয়া যাবে। দল সংগঠতিত করার জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আর এই সুযোগ সৃষ্টি করতেই তারা উপজেলা নির্বাচন করছেন।

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

বিভিন্ন প্রার্থীরা জানিয়েছেন, যখন তাদেরকে বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হয়েছে তখনই তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। একাধিক প্রার্থী দাবী করেছেনে, তারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের প্রতি নমনীয় এবং সহানুভূতিশীল বলে দাবী করেছেন অন্তত ৩ জন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাড়ানো প্রার্থী। দলের মহাসচিব তাদেরকে বলেছেন, ঠিক আছে, নির্বাচন করে জিতে আসুন তারপর দেখা যাবে।

আরও পড়ুন:  খালেদার বিদেশে চিকিৎসা: পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে?

অন্যদিকে কয়েকজন নেতা রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে, রুহুল কবির রিজভী তাদেরকে মোটেও উৎসাহিত করেননি। কয়েকজন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা দুজনই তাদেরকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেন। যদি তারা মনে করেন, তারা নির্বাচনে জয়ী হবেন তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারেন এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে অনেক নেতাকে।

আর একারনেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপি প্রার্থীরা সড়ে যাচ্ছেন না। তারা মনে করছেন যে, নির্বাচনে যদি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, তাহলে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে আবার দলে ফিরিয়ে নেয়া হবে।  


বিএনপি   তারেক রহমান   মির্জা ফখরুল   মির্জা আব্বাস   রুহুল কবির রিজভি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা দলগতভাবে নির্বাচন করবে না। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেননি এবং দলীয় প্রতীকও ব্যবহার করছে না। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রথম ধাপের মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উপজেলায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাতে গোনা দু’একজন। যেমন, তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ছাড়া বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরাই এ সিদ্ধান্ত মানেননি। তাদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই আত্মীয় স্বজনের একটি নতুন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:  উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, স্ত্রী-পুত্র নিয়ে পরিবার। এর বাইরে যদি কেউ নির্বাচন করে তাহলে তাদেরকে আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ধরা হবে না। একই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এটিও বলেছেন যে, অনেকের আত্মীয় স্বজনরা ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতা। কোথাও কোথাও তারা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন। তাদেরকে বাঁধা দেওয়া যায় কিভাবে সে প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তুলেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, স্ত্রী, ভাই, বোন সবাইকে নির্বাচনে প্রার্থী করা ঠিক না। এর বাইরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত হবে। আর এই প্রেক্ষিতেই এ স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন কোন আলোচনা করছে না।

আরও পড়ুন: স্বজন বলতে স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনটাকে সুষ্টু, অবাধ এবং অর্থপূর্ণ করার জন্য কৌশলগত কারনেই এখন কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। তবে উপজেলায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় দেখা হবে। যেসমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা কতগুলো সুনির্দিষ্ট অপরাধ করবেন তাদেরই কপাল পুড়বে। কোন কোন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ উপজেলায় মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দিবেন তার একটি ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:  এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে। যেমন..

১। যদি ঢালাওভাবে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলায় প্রার্থী করা হয়। যেমনটি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, স্ত্রী, পুত্র একসাথে যদি নির্বাচনে প্রার্থী হয় তাহলে সেই মন্ত্রী এমপিদেরকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

২। যদি কোন মন্ত্রী-এমপি তাদের পক্ষের প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতানোর জন্য প্রভাব বিস্তার করে তাহলে তাকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

৩। যদি মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগের বা অন্য কোন প্রার্থীর উপর চড়াও হয় বা সহিংসতা করে বা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সেক্ষেত্রে যেসমস্ত মন্ত্রী এমপিদের স্বজনরা এসমস্ত কাজে জড়িত থাকবেন তাদের কপাল পুড়বে।

৪। যদি মন্ত্রী-এমপিরা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রেও তাদের কপাল পুড়বে।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৌশলী আওয়ামী লীগ

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলছেন, চটজলদি কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাসময়ে যথাযথভাবে সিদ্ধান্ত শৃঙ্খলা লঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা করবেন।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মন্ত্রী-এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় আরও ৬১ জন নেতাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। শনিবার (৪ এপ্রিল) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ২য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বহিষ্কার হওয়া চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে- রংপুর বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৬ জন, ফরিদপুর বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, কুমিল্লা বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন।

বহিষ্কার হওয়া সর্বমোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬ জন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। ২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বহিষ্কার বিএনপি প্রার্থী ৬১ জন।

এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ার শুরুতে ৭৩ জনসহ সবমিলিয়ে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন