নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
পরশু যে নির্বাচনটা হচ্ছে, তার ফলাফল সবাই অনুমান করতে পারেন। যারা আওয়ামী লীগের সমর্থক নন, তারাও এতক্ষণে মেনে নিয়েছেন যে খুব নাটকীয় কিছু না ঘটলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগই বিজয়ী হবে। তবে, আওয়ামী লীগের এই বিজয়ে দলীয় জনপ্রিয়তা নয়, তাদের প্রার্থীদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা নয়, সবচেয়ে এবং একমাত্র কারণ হলো প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা। আওয়ামী লীগ আরেকবার ক্ষমতায় আসছে এ কারণে যে, শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে এ কারণে যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে মানুষ বিশ্বাস করে, তাঁর উপর দেশের মানুষ আস্থাশীল। আওয়ামী লীগ আরও একবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে, শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এইসব সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. ২০১৪ সালের নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় এবং অনমনীয় অবস্থান। অধিকাংশ বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও শেখ হাসিনা নির্বাচনকে এগিয়ে নেন। এটা ছিলো একটি সাহসী সিদ্ধান্ত। ঐ একতরফা নির্বাচনের ব্যাপারে একটু অস্বস্তি আওয়ামী লীগকে বড় বিপদে ফেলতে পারতো।
২. সকলেই ভেবেছিল, ২০১৪’র ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হবে স্বল্প মেয়াদের। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে আরেকটি নির্বাচন দিতে হবে। যেভাবে ’৮৮ তে এরশাদ এবং ’৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপিকে এরকম স্বল্প মেয়াদের সংসদের কলঙ্ক কাঁধে নিতে হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার কারণে একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করে।
৩. প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পেশাদারিত্বের সুযোগ বৃদ্ধি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিভিল প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছেন। তাদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েছেন। পদোন্নতির ব্যবস্থা সহজীকরণ করেছেন। ফলে এই সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবতে পারছে না।
৪. ভারতের সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন। প্রধানমন্ত্রী গত ১০ বছরে ভারতকে বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার করেছে। বাংলাদেশের মাটি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। ভারতকে এই উপলব্ধি শেখ হাসিনা দিয়েছেন যে, তাঁর কোন বিকল্প ভারতের সামনে নেই।
৫. ফোর্সেস গোলের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক অভিলাষের চোরাগলি থেকে সেনাবাহিনীকে আধুনিক, পেশাদার এক সংস্থায় পরিণত করেছেন। ফলে রাজনীতির চোরাগলি থেকে সেনাবাহিনী নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
৬. হরতাল অবরোধের রাজনীতিকে চিরবিদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের মানুষের মধ্যে এরকম রাজনীতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরী হয়েছে।
৭. বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে ন্যূনতম অনূকম্পা দেখাননি। এমনকি বিএনপিকে এতোটুকু ছাড় দেননি। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে একটি দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত করেছেন।
৮. দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় অবস্থানে থেকেছেন।
৯. জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়ার নাটকীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন।
১০. জনগণের কাছে নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করতে পেরেছেন। এটা স্পষ্ট করেছেন যে, তার কোন বিকল্প নেই।
মূলত: এই দশটি কারণেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো অভিষিক্ত হচ্ছেন শেখ হাসিনা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।