নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৫ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয় ঘটেছে। এই নির্বাচনে যে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জয়ের কোন সম্ভাবনা নেই, তা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে বিএনপি যে এতো খারাপ করবে তা সম্ভবত আওয়ামী লীগও অনুমান করতে পারেনি। যেমনটি আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, শেষ পর্যন্ত হয়তো বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে, তেমনটি ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন ভাবে বিএনপির অনেক প্রার্থী ভোট বর্জন করলেও দলীয় ভাবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি ভোটের লড়াইয়ে থেকেছে। যেমনটি অন্য সব নির্বাচনে ঘটে, হারার পর পরাজিত দল কারচুপির নানা অভিযোগ করে, বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও তেমনটা বলেছে। কিন্তু বিএনপি যেমন ভোট বিল্পব ঘটাতে পারেনি তেমনি তাদের ভাষায় নির্বাচনে কারচুপির বিরুদ্ধেও বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে বলেও মনে করার কোন কারণ নাই। তারপরও সাধারণ মানুষ জানতে এবং বুঝতে চায় বিএনপি এখন কি করবে। বিএনপির সামনে যে পথগুলো খোলা আছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেগুলো হলো:
১. আপত্তি স্বত্ত্বেও বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবে। সংসদে বসবে। বিরোদী দল হিসেবে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সংসদকে কার্যকর এবং প্রাণবন্ত করবে। আগামী ৫ বছরের বিএনপি নিজেদেরকে পুনঃগঠন করবে। সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে বিএনপি আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করবে।
২. বিএনপি এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করবে। সংসদে যোদ দিবে না, শপথও নেবে না। আবার দীর্ঘ মেয়াদী আন্দোলনের জন্য দল গুছাবে। এর মধ্যে যারা নির্বাচনে নেবার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিল তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। বিএনপিতে দেখা দেবে গৃহবিবাদ এবং শেষ পর্যন্ত বিএনপি হয়ত ভাঙ্গনের পথেই যাবে।
৩. নির্বাচনকে প্রত্যাখান করা স্বত্ত্বেও বিএনপি সংসদের যাবে। সংসদে গিয়ে তাদের ভাষায় ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করবে। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে আন্দোলন গড়ে তুলবে।
৪. বিএনপি পুরো নির্বাচনকালীন সময়ের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে। ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করবে। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা ডেকে তাদের করণীয় ঠিক করবে।
তবে, বিএনপি যেটাই করুক না কেন, এই নির্বাচন বিএনপিকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলেছে। এই সংকট কাটিয়ে বিএনপি কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে নাকি ইতিহাসের অতলে বিলীন হয়ে যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমএস/বিকে
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।