নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
তদ্বির প্রশ্রয় না দেয়া, মন্ত্রণালয়ে দলীয় কর্মীদের নিরুৎসাহিত করা, টেন্ডার বাণিজ্য বন্ধসহ ১০ দফা অনুশাসন আসছে নতুন মন্ত্রিসভার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই এসব দিক নির্দেশনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চতুর্থ দফায় সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি বন্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রণালয়গুলোতে কাজে গতি আনতে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সকল মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম মনিটরিং করবে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দূর্নীতি বন্ধ নতুন সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভাকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর নতুন মন্ত্রিসভার জন্য যে ১০ টি অনুশাসন দিতে পারেন সেগুলো হলো;
১. মন্ত্রীরা তাঁদের দপ্তরে কাজে তদ্বির বা অন্যায় আবদার প্রশ্রয় দেবেন না।
২. মন্ত্রণালয় দাপ্তরিক কাজের স্থান। সেখানে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের যাওয়া নিরুৎসাহিত করতে হবে। রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের জন্য দলীয় কার্যালয়ে, বাসায় বা নিজস্ব কার্যালয়ে আলাদা সময় দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
৩. টেন্ডার বাণিজ্য কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। সরকারি কাজ বন্ঠন হবে নিয়মনীতির ভিত্তিতে।
৪. নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশ এবং ডিও লেটার ইস্যু করা যাবে না। যোগ্য এবং যথাযথদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. মন্ত্রীদের দাপ্তরিক কাজে মনোযোগী থাকতে হবে। দ্রুত ফাইল নিষ্পত্তি করতে হবে। কোন ফাইল অকারণে দীর্ঘ সময়ে আটকে রাখা যাবে না।
৬. মন্ত্রণালয়ে টীম ওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। সচিব এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা মিলে সম্মিলিত ভাবে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব বণ্টনও সুনির্দিষ্ট করণ করতে হবে।
৭. আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে লক্ষ্য যে মন্ত্রণালয়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তা অগ্রাধিকার তালিকায় রাখতে হবে। ইশতেহারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সময় নির্ঘন্ট তৈরি করতে হবে।
৮. গত দশবছরে যে অর্জনগুলো হয়েছে, তা উর্ধ্বে তুলে ধরে নতুন অর্জনের লক্ষ্য স্থির করতে হবে।
৯. মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জন হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনকল্যাণমুখী এবং জনবান্ধব মন্ত্রণালয় গড়তে হবে।
১০. দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। দুর্নীতি বন্ধে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে কার্যকর এবং প্রায়োগিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে।
এই ১০ দফা অনুশাসনের বাইরেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের শুরুতেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে যেতে পারেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি লক্ষ্য (টার্গেট) নির্দিষ্ট করে দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জনকল্যাণ এবং জনবান্ধব একটি সরকার প্রতিষ্ঠাই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। মন্ত্রণালয় যেন জনকষ্টের স্থান না হয়ে জনকল্যাণের স্থান হয়, সে লক্ষ্যেই কাজ করবে নতুন সরকার।
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।