নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
নির্বাচন হয়ে গেছে। শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। নতুন মন্ত্রিসভাও গঠিত হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্যন্ট বিধ্বস্ত, বিপন্ন। নির্বাচন প্রত্যাখান করলেও তাদের মধ্যে পরাজয় মেনে নেওয়ার আত্মসর্মপন। আপাতদৃষ্টিতে রাজনীতি শান্ত, সবকিছুই ঠিকঠাক। কিন্তু বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন, ‘দ্য গেম ইজ নট ওভার ইয়েট।’ খেলা এখনও শেষ হয়নি। এখনও অনেক কিছুই বাকি। সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলছে নানা ষড়যন্ত এবং চক্রান্ত। সামনে অপেক্ষা করছে অনেক কিছুই। আর বিএনপির নেতারা এসব কথা বলছেন লন্ডনে পলাতক তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বরাত দিয়েই। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারেক এখন দলের মধ্যস্তরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। এরকম একজন নেতা বলেছেন, ‘আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে অনেক কিছুই হবে।’ বিএনপির বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘নতুন সরকারকে বিপদে ফেলতে নানা রকম ষড়যন্ত্রের ফাঁদ আটছেন তারেক।’ একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাও এ ধরনের তথ্যের স্বীকৃতি দিচ্ছেন। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছিলেন ‘স্বাভাবিক পন্থায় এবং নির্বাচনে না পেরে তারেক এখন অন্য খেলায় মেতেছেন।’ একটি সূত্র দাবি করেছে, বিএনপির একাধিক নেতাকে তারেক বলেছে, সরকারকে এক মুহূর্ত শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না।’ একটি সূত্র বলছে, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে গার্মেন্টস শ্রমিকদের যে ‘অসন্তোষ’ তার পিছনে ষড়যন্ত্রকারীদের হাত রয়েছে। শুধু পোষাক খাত নয়, পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সড়ক আইন নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলন নতুন করে উস্কে দেওয়ার পায়তারা চলছে। তারেক এবং জামাত কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যেও কাজ করছে বলে জানা গেছে। ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রিত কোটা সংস্কারের নেতাদের নতুন তৎপরতার খবর পাওয়া গেছে। একটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, প্রচুর অবৈধ অস্ত্রের চালান বাংলাদেশে প্রবেশের তথ্য তাদের কাছে আছে। এসব অবৈধ অস্ত্র দিয়ে হত্যা, নাশকতা করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর ব্লু প্রিন্ট করা হয়েছে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক আন্দোলনের বাস্তবতা নেই, এজন্যই অন্য প্রক্রিয়ায় সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় সক্রিয় তারেক জিয়া। গুপ্ত হত্যা, নাশকতা, শ্রমিক আন্দোলন ইত্যাদি করে একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। একজন বিএনপি নেতা বলেছেন, ‘আমরা হাল ছেড়েছি বলে মনে করা হলেও তা সঠিক নয়। অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেখবেন একের পর এক ঘটনা ঘটছে।’ অবশ্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, ‘নির্বাচনের আগেও এরকম নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য তাদের হাতে ছিল। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃঢ়তা এবং দায়িত্বশীলতার কারণে সেসময় বিএনপি জামাতের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।’ গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা এ ব্যাপারে তৎপর আছেন।
বিএনপি সূত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল বাতিল নিয়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। কিন্তু তারেক জিয়াই আপাতত আন্দোলন নয় বলে মত দিয়েছে। বিএনপি দেখাতে চায় তারা নির্বাচনের পর বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত। যেন নাশকতা বা অন্য কোনো ঘটনার দায় তাদের ওপর না আসে। একাধিক সূত্র বলছে, তারেক ভয়ংকর সব পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।