নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২২ জানুয়ারী, ২০১৯
গতকাল সোমবার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ আদালতে বেগম জিয়া তার আইনজীবীদের মাধ্যমে এক চিরকুট দিয়েছেন। এই চিরকুট নিয়ে চলছে দলে তোলপাড়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ নিজে আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলছেন, এ রকম কোন চিরকুটের খবর তাঁর জানা নেই। কিন্তু যে আইনজীবী আদালত থেকে ঐ চিরকুট বয়ে এনেছেন তিনি বলেছেন, ‘ম্যাডামই এটা আমাকে দিয়েছেন।’ তার দাবী বেগম জিয়া মওদুদকে বিশ্বাস করেন না জন্যই তার অগোচরে এটা আমাকে দিয়েছেন। তিন বাক্যের এই চিরকুটে বলা হয়েছে, ‘ফখরুলই থাকবে। দলে বিরোধ নয়। সারাদেশে জনসংযোগ চলবে।’ হাতের লেখা বেগম জিয়ার মতোই। কিন্তু বিএনপির স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্যই বলছেন, ‘এজলাসের এ রকম গোয়েন্দা এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারি এড়িয়ে। কিভাবে চিরকুট পাঠানো সম্ভব। কিন্তু যে আইনজীবী এটা নিয়ে এসেছেন, তাকে ‘অবিশ্বাস’ করা অসম্ভব বলেই মধ্যস্তরের নেতা কর্মীরা মনে করেন।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর নিজের দলেই সমালোচিত মির্জা ফখরুল। দলের সিনিয়র নেতারা তাকে সরানোর জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছে। লন্ডনে পর্যন্ত নালিশ গেছে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে। দলের সিনিয়র নেতারা এখন প্রকাশ্যেই দল পুন:গঠনের কথা বলছেন। বিএনপিতে এমন আভাস পাওয়া যায় যে, ফখরুলের সরে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে লন্ডনে তলব করা হয়েছে বলেও বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
ফখরুলপন্থিরা নির্বাচনের পর থেকেই তাদের কারারুদ্ধ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাশি। সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে দুই দফা চিঠিও দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের পর থেকেই বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ সবার। বিএনপি মহাসচিব পরিবর্তন এবং স্থায়ী কমিটির পুন: গঠনের আগে তারেক জিয়াও তার মায়ের মনোভাব জানতে চান। কিন্তু বেগম জিয়ার মতামত নেয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে নাজিম উদ্দিন রোডের বিশেষ কারাগারে শুরু হয়েছে নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠন প্রশ্নে শুনানি। এই শুনানির প্রথম দিন ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে দেখা হয় বেগম জিয়ার। কথাও হয়। কিন্তু তা দল পুন:গঠন বা মহাসচিব পরিবর্তন নিয়ে নয়। কথা হয় ২০ দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে। সেখানে ভরা আদালতেই বেগম জিয়া জানিয়ে দেন, ২০ দল বিলোপের প্রশ্নই আসে না। শুনানীর দ্বিতীয় দিন অসুস্থতার কারণে বেগম জিয়া উপস্থিত হন নি। গতকাল সোমবার তিনি আসেন হুইল চেয়ারে। এসেই আইনজীবীকে ডেকে নেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে স্রেফ কুশল বিনিময় করেন। আজ এই চিরকুট ছড়িয়ে পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাতে হাতে। এর ফলে বেগম জিয়া মির্জা ফখরুলের প্রতিই আপাতত আস্থা রাখলেন বলে দাবি করছেন মহাসচিবের পক্ষের লোকজন। কিন্তু ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমেদসহ সিনিয়র নেতারা বলছেন, এটা বানোয়াট। ফখরুলের এটি আরেক জালিয়াতি। কিন্তু বেগম জিয়ার চিরকুট সত্য না ‘জাল’ কে সনাক্ত করবে?
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ
থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে)
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও
প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে
একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে,
বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং
আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু
মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে
অনুরোধ করেছে।
এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে
মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১
মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের
বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।
ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে।
৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ভারত নির্বাচন বিজেপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন